ইমেইল মার্কেটিং কি? কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করবেন?

 ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করুন মাসে ৫০ হাজার টাকা

ইমেইল মার্কেটিং কি? কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করবেন?

ইমেইল মার্কেটিং কি

কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করবেন?

প্রফেশনার ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন
শুরু হতে হচ্ছে “প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং” এর উপর  একটা পূর্ণাঙ্গ ফ্রি চেইন কোর্স । কোর্সটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করে আপনিও হতে পারেন একজন সফল Email Marketer ।

আধুনিক বিশ্বে মার্কেটিং জগতের সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে ইন্টারনেট মার্কেটিং । আর এই ইন্টারনেট মার্কেটিং এর একটি শক্তিশালী মার্কেটিং পদ্ধতির নাম হচ্ছে “ইমেইল মার্কেটিং” বা সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা । ইমেইল এর পূর্ণনাম হল ইলেকট্রনিক মেইল । ১৯৬০ সালে প্রথম ইমেইল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় । তারপর থেকে দিন দিন এর প্রভাব এতটাই বেড়ে চলছে যে যোগাযোগ ব্যবস্থার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হিসাবে ইমেইলকে ধরা হচ্ছে । বর্তমানে ইমেইলকে শুধু অফিস বা ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমই মনে করা হচ্ছে না, এখন ইমেইলকে অনলাইন মার্কেটিং এর কার্যকারী মাধ্যম হিসাবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে ।

ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু কথা

খুব সংক্ষিপ্তভাবে যদি “ইমেইল মার্কেটিং” সম্পর্কে বলতে হয়, তাহলে বলতে হবে ইমেইল আদান-প্রদান এর মাধ্যমে কোন পণ্য বা সেবার বিপণন ব্যবস্থা । তারমানে, ইমেইল মার্কেটিং বা সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা হল মার্কেটিং-এর এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সরাসরি কাস্টমারের ইমেইলে কোন পণ্য বা সেবার বিবরণসহ পণ্য সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যাবলী প্রেরণ করা । যার ফলে কোন কাস্টমার ওই পণ্য বা সেবা সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণাগুলো ইমেইলের ইনবক্সেই পেয়ে যান এবং তিনি পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।

Read More: কিভাবে একজন গৃহিণী ঘরে বসে ইনকাম করতে পারে


“ইমেইল মার্কেটিং” ব্যবহার করে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। কোম্পানির একদিকে যেমন বাড়ছে বিক্রয়ের পরিমাণ, তেমনি সম্প্রসারিত হচ্ছে তাদের সুনাম ও খ্যাতি। নিজের পন্যও বিক্রি ছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বা সেবার এফিলিয়েশনের মাধ্যমেও আয় করতে পারেন। 

 এছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও দিন দিন বাড়ছে ইমেইল মার্কেটিং-এর কাজ। মার্কেটপ্লেসগুলোর তথ্যানুযায়ী, ইমেইল মার্কেটিং এ একজন ফ্রিলান্সার মাসে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। ক্ষেত্রবিশেষে এই আয় কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। আর এ হিসাবে ফ্রিল্যান্সার হতে চাওয়া তরুণ-তরুণীদের অন্যতম পছন্দ হতে পারে “ইমেইল মার্কেটিং”।

উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী, শুধুমাত্র আমেরিকাতে ২০১১ সালে ১.৫১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয় ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য, যেটা বর্তমানে ২.৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। আরেকটি মজার তথ্য আছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যত বিক্রি হয় তার ২৪ শতাংশই ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। তাহলে আমার মতো আপনিও বোঝতেই পাচ্ছেন ইমেইল মার্কেটিং কতটা গুরুত্বপূর্ণ ।
আর যদি বুঝে থাকেন তাহলে “প্রফেশনার ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন”  কোর্সটা আপনার জন্যই।

ইমেইল মার্কেটিং এর কিছু সুবিধাসমূহ:

১। ইমেইল মার্কেটিং করতে বিশেষ কোন দক্ষতার প্রয়োজন হয় না ।
২। ইমেইল মার্কেটিং করতে অতিরিক্ত কোন হার্ডওয়্যার প্রয়োজন হয় না ।
৩। স্বল্প সময়ে অধিক মানুষের কাছে একসাথে আপনার তথ্যের প্রচার করা যায় ।
৪। পন্য বা সেবার বিক্রয়ের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনার বেশি থাকে । কারণ একটি ওয়েবসাইটে একজন ব্যবহারকারি এক সপ্তাহে যতবার না ভিজিট করে তার চেয়ে ইমেইল বেশি ইনবক্স চেক করে ।
৫। ক্লাইয়িন্ট এর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে দেওয়ার সাথে সাথে দিন দিন নিজের পন্য বা সেবার বিক্রয়ের বা এফিলিয়েশনের জন্য বিশাল ইমেইল লিষ্ট তৈরী হতে থাকে । বলতে গেলে এক ঢিলে দুই পাখি ।
 

ইমেইল মার্কেটিং শেখার ক্ষেত্রে কি কি প্রয়োজন:

আমরা যারা নিয়মিত ইংলিশ বা বাংলা ব্লগে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ি তারা অনেকই  গ্রাফিক্স, লিখালিখি বা এইচটিএমএল বা জাভাস্ক্রিপ্ট এর মত কোন না কোন বিষয়ই সম্পর্কে ধারণা আছে বা শেখার আগ্রহ আছে। এই কোর্সটা করার জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু জানতে হবে তা নয়, শুধুমাত্র বেসিক কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা আছে তা দিয়েই আপনি এই কোর্সটা শেখা শুরু করতে পারবেন ।

তবে প্রয়োজন হবে কঠোর পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা, ধৈর্য এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ।
আর যেহেতু প্রজেক্ট ভিত্তিক আলোচনা, ভিডিও টিউটোরিয়াল ও প্রয়োজনীও সব রিসোর্স প্রদানের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই “ইমেইল মার্কেটিং” শিখে নিতে পারবেন বলে আমি আশা করছি। শুধুমাত্র শেখার তীব্র আগ্রহ থাকলেই হবে ।

ইমেইল মার্কেটিং কী? কীভাবে করে? (বিস্তারিত)

বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরতে মার্কেটিং বা প্রচারণা বেশ জনপ্রিয় এক পদ্ধতি। আধুনিক যুগে এসে পরিবর্তিত হয়েছে প্রচারণার ধরণ। ইন্টারনেট জনপ্রিয় হওয়ায় ধীরে ধীরে ইন্টারনেট ভিত্তিক প্রচারণাও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন প্রচারণার মূল মাধ্যম হয়ে উঠেছে ইন্টারনেট। সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ইমেইল ইত্যাদি বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে খুব দ্রুত সঠিক ক্রেতাদের কাছে পণ্যের প্রচারণা চালানো সম্ভব। তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক হওয়ায় সঠিক ক্রেতা বা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো বেশ কঠিন ব্যাপার। এজন্যই দরকার হয় বিশেষজ্ঞ মার্কেটারদের। সঠিক পদ্ধতি ও পরিকল্পনা ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার সঠিক পরিচালনা চালাতে পারলে ব্যবসায় সফল হওয়ার পথ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। আর একারণেই বিভিন্ন মার্কেটারদের আলাদা চাহিদা রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং বাজারে।

ফ্রিল্যান্সিং করে সাবলম্বী হবার ক্ষেত্রে ইমেইল মার্কেটিং খুব জনপ্রিয়। ইমেইল মার্কেটিং বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে সহজেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব ঘরে বসেই। তবে এর জন্য সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে হয় পরিশ্রমের মাধ্যমে। তবে আমাদের অনেকেরই ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে ভালো ধারণা নেই। ইমেইল মার্কেটিং কী বা ইমেইল মার্কেটিং শিখতে কী করতে হবে সেই ব্যাপারে কিছু দিক নির্দেশনা থাকবে এই পোস্টে। কাজেই ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চাইলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিতে পারেন।


ইমেইল মার্কেটিং কী?

আপনি যখন কোন প্রয়োজনীয় সেবা গ্রহণ করতে কোন ওয়েবসাইটে সাইন আপ করেন তখন সেই ওয়েবসাইট তাদের বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানাতে আপনাকে মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন ইমেইল পাঠিয়ে থাকে। এই ইমেইল বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। একেই মূলত ইমেইল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটালভাবে পণ্য বা সেবার প্রচারণা চালানোর একটি মাধ্যম যার মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতা বা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়।

ইমেইলের মাধ্যমেই এই প্রচারনা চালনা হয়ে থাকে। মূলত কোন পণ্যের বা সেবার ওয়েবসাইটে ক্রেতারা তাদের ইমেইল দিয়ে সাইন আপ করলে এই ইমেইল পাঠানোর ডিজিটাল অনুমতি দিয়ে থাকে। ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকারের ইমেইল দেয়া হয়ে থাকে। যেমনঃ প্রমোশনাল বা প্রচারণামূলক ইমেইল, নিউজলেটার, ইভেন্টে আমন্ত্রন ইত্যাদি।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মূল উদ্দেশ্য ইমেইলের মাধ্যমে পণ্য বা সেবাকে গ্রাহকের নিকট তুলে ধরা যাতে তার বিক্রি বাড়ে। ডিজিটাল মার্কেটিং উন্নত হবার সাথে সাথে ইমেইল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব ও চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলছে। ফলে বলা যায় ইমেইল মার্কেটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এখানে সফল হবার মতো যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। ইমেইল মার্কেটিংয়ের চাহিদা দিনে দিনে আরও বেড়ে চলেছে। ফলে এখানে সঠিক দক্ষতা অর্জন করলে ভালো পরিমাণ আয় করা সম্ভব। সুতরাং ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নিন আমাদের পোস্ট থেকে।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের উদ্দেশ্য

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন বাজারজাতকরণের নানারকম উদ্দেশ্য পূরণ করা সম্ভব। যেমনঃ

গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করাঃ কোন পণ্য বা সেবার প্রতিটি গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। এতে করে গ্রাহকদের মনে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি হয় এবং তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। ফলে গ্রাহক পছন্দ করবে এমন বিভিন্ন ইমেইল নিয়মিত পাঠালে পণ্য বা সেবা নিতে তারা আরও আগ্রহী হন। এছাড়া নতুন বিভিন্ন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সহজেই জানতে পারেন গ্রাহক। ফলে ভবিষ্যতে আরও বেশি বিক্রি সম্ভব হতে পারে।

বিভিন্ন পণ্য ও সেবার প্রচারনাঃ নিজেদের নতুন সব পণ্য সম্পর্কে নিয়মিত তথ্য ইমেইলের মাধ্যমে প্রদান করলে গ্রাহক বা ক্রেতা সহজেই সেই পণ্য বা সেবা নিয়ে আগ্রহী হন। ফলে নতুন পণ্যকে বাজারজাতকরণ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। এতে করে ব্যবসা আরও সম্প্রসারিত হয় এবং লাভ বেড়ে যেতে পারে।

লিড জেনারেশনঃ লিড জেনারেশন বলতে বোঝায় পণ্য বা সেবা সম্পর্কে আগ্রহী ক্রেতাদের ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করা যাতে পরবর্তীতে তাদেরকে আপনি আপনার নতুন পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানাতে পারেন ইমেইলের মাধ্যমে। কিছু ফ্রি রিসোর্স বা সুবিধা দিয়ে নতুন গ্রাহকের ইমেইল অ্যাড্রেস সহজেই সংগ্রহ করা সম্ভব। এতে করে ধীরে ধীরে নিজেই লিড জেনারেট করে প্রচারণা চালানো যায়।

ইমেইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ইমেইল মার্কেটিং বেশ কিছু কারণে বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইমেইল মার্কেটিংয়ের এই গুরুত্ব বিভিন্ন কারণেঃ

উচ্চ আরওআইঃ আরওআই বলতে বুঝানো হয় রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগের সাপেক্ষে ফেরত। অর্থাৎ আপনি যে পরিমাণ বিনিয়োগ করছেন তার ফলে কী পরিমাণের রিটার্ন পাচ্ছেন। ডিএমএ এর একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণায় প্রতি ১ ডলারের বিপরীতে ৪২ ডলারের রিটার্ন বা ফেরত পাওয়া যায়। এই আরওআই এর পরিমাণ অন্য সকল প্রচারণা মাধ্যম থেকে অনেক বেশি। ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে খুব কম খরচে অধিক পরিমাণ সম্ভাব্য গ্রাহক বা ক্রেতার নিকট পৌঁছানো যায়। কাজেই ইমেইল মার্কেটিং ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরাসরি যোগাযোগঃ ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সরাসরি ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয় যেটি অন্য প্রচারণা মাধ্যমে সম্ভব নয়। ফলে একজন ক্রেতা সত্যিকার অর্থেই আগ্রহী হয়ে যোগাযোগ করতে পারেন যা পণ্য বা সেবা বিক্রির সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।

ফলাফল গণনাঃ ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি কতটা সফলতা পাচ্ছেন তার ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া সম্ভব হয়। অর্থাৎ আপনার মেইলের লিঙ্কে কতজন ক্লিক করছে, কতজন ইমেইল পড়ছে ইত্যাদি বিভিন্ন তথ্য সহজেই পাওয়া যায়। ফলে এখানে সঠিক ফলাফল না পেলে সহজেই ইমেইলের ধরণ পরিবর্তন করে আরও ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয়। অর্থাৎ কেমন ধরণের ইমেইল ক্রেতাদের বেশি আকর্ষণ করছে তা সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা থাকে। তাই এটি বেশ কার্যকরী একটি প্রচার মাধ্যম।

কাস্টমাইজযোগ্য কন্টেন্টঃ ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইমেইলগুলো নিজের ইচ্ছামতো কাস্টোমাইজ করা সম্ভব হয়। ফলে বিভিন্ন ধরণের ক্রেতার জন্য বিভিন্ন রকম ইমেইল তৈরি করা যায়। এতে করে আরও বেশি ক্রেতা আগ্রহী হতে পারেন পণ্য বা সেবার প্রতি। কোন ধরণের ক্রেতা কেমন ইমেইল পছন্দ করছেন এই ব্যাপারেই একজন ইমেইল মার্কেটারের দক্ষতা অর্জন করতে হয়। আরও জানতে পারেন ইমেইল সিগনেচার কী ও কীভাবে তৈরি করে? কেন দরকার?

এই সকল সুবিধার জন্যই ইমেইল মার্কেটিংয়ের বেশ চাহিদা রয়েছে। কাজেই ইমেইল মার্কেটিংয়ে সঠিক দক্ষতা অর্জন করতে পারলে সহজেই নিজের অবস্থান তৈরি করে নেয়া যায় এখানে।

কীভাবে করে ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল মার্কেটিংয়ে দক্ষতা অর্জন করতে ধাপে ধাপে এগোনো উচিত। প্রতিটি ধাপে পুরোপুরি দক্ষতা অর্জন করলে তবেই সফলতা পাওয়া যেতে পারেঃ

নিজের ইমেইল তালিকা তৈরি করাঃ আপনি যে পণ্য বা সেবার জন্য ইমেইল মার্কেটিং করতে চান প্রথমেই সেই সেবার প্রতি আগ্রহী ক্রেতাদের ইমেইল ঠিকানার তালিকা তউরু করে নিতে হবে। এর জন্য ইমেইল মার্কেটাররা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে থাকেম। যেমনঃ পণ্যে ইমেইল ঠিকানা দিলে পণ্যে বা সেবায় বাড়তি ডিস্কাউন্ট বা সুবিধা। অর্থাৎ ইমেইল ঠিকানা নিতে অবশ্যই আপনাকে অনুমতি নিতে হবে গ্রাহকদের। এই অনুমতি পেতে বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

ইমেইল মার্কেটিং প্লাটফর্ম ব্যবহারঃ অনলাইনে অনেক ইমেইল মার্কেটিং প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমনঃ মেইলচিম্প, কন্সট্যান্ট কন্ট্যাক্ট, এক্টিভ ক্যাম্পেইন ইত্যাদি। আপনার বাজেট ও সুবিধা অনুযায়ী যে কোন প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন এবং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরিঃ আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করার উপর নির্ভর করে ইমেইল মার্কেটিংয়ের সফলতা। ফলে কন্টেন্ট তৈরির ব্যাপারে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং আকর্ষণীয় ও সৃজনশীল কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। বিভিন্ন ফরম্যাটে এই কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। যেমনঃ নিউজলেটার, প্রমোশনাল ইমেইল, ইভেন্টের ইনভাইটেশন ইত্যাদি।

ইমেইলে নিজস্বতা দেয়াঃ প্রতিটি ইমেইলে গ্রাহক বা ক্রেতার নাম ও সেই অনুযায়ী কন্টেন্ট দিয়ে তাকে আরও আগ্রহী করে তুলতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এতে সহজে সফলতা পাওয়া যায়।

মোবাইলের জন্য অপ্টিমাইজঃ আপনার তৈরি করা ইমেইল কন্টেন্টগুলো অবশ্যই মোবাইল ডিভাইসের জন্য অপ্টিমাইজড হতে হবে কেননা অনেকেই মোবাইলের মাধ্যমে তাদের ইমেইল দেখে থাকেন। সুতরাং ইমেইল মোবাইলের জন্য অপ্টিমাইজড না হলে গ্রাহক সহজেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। কাজেই এই ব্যাপারেও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

মূলত এমন বিভিন্ন দিকে লক্ষ্য রেখে সে অনুযায়ী দক্ষ হয়ে উঠলে আপনি সফল ইমেইল মার্কেটার হতে পারবেন। কাজেই এসব ব্যাপারে দক্ষতা অর্জন করা জরুরি ইমেইল মার্কেটিং হতে আয় করতে চাইলে।

  • email marketing strategy
  • ইমেইল মার্কেটিং ২০২৪ কেমন হতে পারে ?


ইমেল মার্কেটিং দশক ধরে একটি কার্যকর ডিজিটাল মার্কেটিং রণনীতি হিসাবে চলছে এবং 2024 এবং এর পরবর্তীতেও সবার কাছেই একটি কাযকর স্ট্রেটেজি। যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে নতুন নতুন ট্রেন্ড এবং প্রযুক্তি আসছে সেখানে ইমেল মার্কেটিং এখনও গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ করতে একটি দারুণ টুলস হিসাবে পরিচিত।
Email Marketing.

নিচে কিছু কারণ উল্লেখ করা হলো, কেন ইমেল মার্কেটিং 2024 সালেও প্রভাব বজায় থাকবে:

১) হাই – রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট (ROI): ইমেল মার্কেটিং অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলির থেকে হাই- রিটার্ন ইনভেস্টমেন্ট পদ্ধতিতে মধ্যে অন্যতম। এটি একটি কস্ট-এফেক্টিভ উপায় যার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট।টার্গেটেড ক্লাইন্ট এর কাছে পৌঁছাতে পারবেন।

২) ব্যক্তিগতকরণ এবং বিভাগীকরণ: প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে এখন গ্রাহকের তথ্য, আচরণ এবং পছন্দ ভিত্তিতে ইমেল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনগুলি কাস্টমাইজ করতে পারেন। বিভাগীকরণের মাধ্যমে, ব্যবসাসমূহ নির্দিষ্ট গ্রাহকের প্রতিটি গ্রুপকে নির্দিষ্ট বার্তা প্রেরণ করতে পারে, ক্যাম্পেইনগুলির প্রাসঙ্গিকতা এবং প্রভাবকে ইম্প্রোভ করে থাকে।

৩) মোবাইল ফ্রেন্ডলি: বেশিরভাগ ইমেল এখন মোবাইল ডিভাইসে খোলা হয়, সেজন্য ইমেল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনগুলি মোবাইল দেখার জন্য অপ্টিমাইজ করা উচিত। অধিকাংশ ইমেল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম ও টুলগুলি এখন মোবাইল-রেস্পন্সিভ টেমপ্লেট এবং ডিজাইন করে যাতে যেকোনো ডিভাইসে ইমেলগুলি সুন্দর দেখায়।

৪) অটোমেশন: ইমেল অটোমেশনের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট অ্যাকশন বা ইভেন্ট এর উপর ভিত্তি করে প্রেরণ করতে পারে, যেমন, বাতিলকৃত কার্ট রিমাইন্ডার, স্বাগত ইমেল, এবং ক্রয়ের পরবর্তী ফলো-আপ। Email Marketing in bangla.

৫) অন্যান্য চ্যানেলের সঙ্গে সংযোগ: ইমেল মার্কেটিং অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলির, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া এবং কন্টেন্ট মার্কেটিং, সঙ্গে সংযোগ করা যায় যাতে একটি সংযোজিত এবং কার্যকর মার্কেটিং স্ট্রেটেজি তৈরি করা যায়।

যাইহোক, আসলে ইমেল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি আগামী বছরে পরিবর্তন এবং আপডেট হতে পারে, কিন্তু দৃঢ়ভাবে আশা করা হয় যে কার্যকর ইমেল মার্কেটিং প্রিন্সিপালগুলি পরিবর্তিত হবে না। এই জন্য, ইমেল মার্কেটিং ২০২৪ এবং তারপরেও ব্যবসার জন্য একটি মূল্যবান টুলস হিসাবে বজায় থাকবে।


ইমেইল মার্কেটিং কি ? কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করবেন – ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করুন মাসে ৫০ হাজার টাকা
ইমেইল মার্কেটিং কি : অনেকেই ইমেইল মার্কেটিং করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন । আপনিও চাইলে ইমেইল মার্কেটিং শিখে ডিজিটাল মার্কেটিং প্লেসে ইমেইল মার্কেটিং করেও মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন ।

ইমেইল মার্কেটিং হলো, কাস্টমারদের কাছে বিভিন্ন সার্ভিস বা পন্যের বিভিন্ন তথ্য ইমেইলের মাধ্যমে প্রেরণ করা ।
এবং ইমেইলে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমার তৈরি করে যে সার্ভিস বা পন্য বিক্রয় করা হয় মূলত এই পক্রিয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় ইমেইল মার্কেটিং বলা হয় ।

তবে সর্বপ্রথম আপনাকে ইমেইল মার্কেটিং কি ? ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে করবেন ? এবং ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানতে হবে ।
তাই আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে  “ইমেইল মার্কেটিং কি ? ইমেইল মার্কেটিং করে কি লাভ হবে এবং কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করবেন” ইমেইল মার্কেটিং করে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন ইত্যদি  সব বিষয়ে আলোচনা করবো ।

এক নজরে দেখুন

ইমেইল মার্কেটিং কি? ( What is Email marketing )
ট্রানজেকশনাল ইমেইল মার্কেটিং কি?
ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে ?
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ –
Email marketing কিভাবে করবেন ?
ইমেইল মার্কেটিং করার নিয়ম –
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বা ইমেইল মার্কেটিং টুলস ?
ফ্রীতেই ইমেইল মার্কেটিং করুন
পেইড (paid) ইমেইল মার্কেটিং

ইমেইল আকর্ষণীয় করুন-
সহজভাবে মেইল তৈরি করন-
ইমেইল নিয়ে গবেষনা করন-  
প্রাইভেসি খেয়াল করন –
ইমেইল মার্কেটিং করতে Opt-in ব্যবহার-
গিফট ইমেইল পাঠানো-
ইমেইল লিষ্ট তৈরি করবেন যেভাবে –
নিজে নিজে ইমেইল কালেকশন করন –
ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ইমেইল সংগ্রহ করন –  

ইমেইল ক্রয় করা –
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়ার বা ইমেইল মার্কেটিং টুলস –
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম –
মার্কেট প্লেসে কাজ করে আয় –
কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করা যায় ?
মার্কেট প্লেসে কাজ করে আয় –
এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আয় –
নিজের  ইবুক বিক্রয় করে আয় –
ই-কমার্স এর প্রোডাক্ট বিক্রয় করে আয় –
ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রয় করে আয় –


FAQ-
ইমেইল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় ?
ইমেইল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে কাজ করে ?
ইমেইল মার্কেটিং কি?
 আজকের শেষ কথা ,

ইমেইল মার্কেটিং কি? ( What is Email marketing )
ইমেইল মার্কেটিং হলো আপনি কোন পণ্য, কোন সার্ভিস, কোন ভিডিও, বা কনটেন্ট অথবা অন্যকোনো কিছু বিভিন্ন ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দিলেন ।
এরপর আপনার পাঠানো ইমেইলগুলো যখন কেউ ওপেন করবে তখন তারা আপনার অফার সম্পর্কে জানতে পারবে ।
আপনার অফারগুলো জানার পর তারা যদি আপনার সার্ভিস বা পন্যটি নিতে চাই তাহলে আপনি তার কাছে পন্য বা সেবাটি বিক্রি করতে পারবেন ।
এই প্রক্রিয়াটিকেই মূলত ইমেইল মার্কেটিং বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় ।

ট্রানজেকশনাল ইমেইল মার্কেটিং কি

আপনি যখন কোন কাস্টমারের কাছে একবার আপনার পণ্য বা সেবাটি বিক্রি করতে পারবেন । তখন দ্বিতীয়বার তার কাছে যে কোন পণ্য খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন ।
কেননা সে আপনাকে প্রথমবার বিশ্বাস করেই আপনার কাছ থেকে পন্যটি কিনেছিলো । তাই তাদের ইমেইল গুলো আপনি সংরক্ষণ করে রাখুন ।

এরপর আপনি যখন নতুন কোন পণ্য বিক্রয় করার চেষ্টা করেন । তখন আপনি সেই পুরনো কাস্টমারদের ইমেইল আইডি যোগাযোগ করার চেষ্টা করুন । আর তাদেরকে টার্গেট করে নতুন পণ্যের ইমেইল মার্কেটিং করা শুরু করুন ।

মূলত পুরাতন কাস্টমারদের ইমেল সংরক্ষণ করে নতুন কোন পণ্যের বিষয়ে তাদেরকে মেইল করে পাঠানো প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় ট্রানজেকশনাল ইমেইল মার্কেটিং বলা হয় ।
ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে কাজ করে ?

ইমেইল মার্কেটিং হলো এমন online marketing technique যার দ্বারা আপনি আপনার product বা যে কোনো সার্ভিস প্রচারের জন্য অনেক কাস্টমার ইমেইল (email) এর মাধ্যমে ঘরে বসেই কালেক্ট করতে পারবেন ।

এবং, আপনার product এর মার্কেটিং করার জন্য কোথাও যেতে হবেনা । এটাই হলো ইমেইল মার্কেটিং এবং Digital marketing এর প্রধান শক্তি ।
আপনি যখন নিয়মিত হাজার হাজার লোকদের কাছে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ইমেইল পাঠাবেন । তখন এদের মধ্যে থেকে কিছু সংখ্যক লোক আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানবে এবং কিন্তু আগ্রহী হবে ।


আপনি সেই আগ্রহী কাস্টমারদের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারবেন । ইমেইল মার্কেটিং করার আগে আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে ।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা সমূহ –

ইমেইল মার্কেটিং করা খুবই সোজা এবং এর লাভ অনেক বেশি হয়ে থাকে ।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসেই পণ্য বা সার্ভিস সম্পর্কে লোকদেরকে জানানো যায় ।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যেমে অনলাইনে অনেক বেশি পরিমানে নতুন কাস্টমার পাওয়া যায় ।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য হাজার হাজার ট্রাফিক আনা যায় ।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কোন পণ্য বিক্রির জন্য পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে একটি মাত্র আর্টিকেল, ব্লগ বা ভিডিও তৈরি করে লোকদেরকে জানানো যায় ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যান্য সার্ভিসের চেয়ে ইমেইল মার্কেটিং সার্ভিস টি স্বল্প মূল্যে পাওয়া যায় ।
ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য কিছু ফ্রি ইমেইল মার্কেটিং টোল ব্যবহার করা যায় ।

Email marketing কিভাবে করবেন

ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন ? ইমেইল মার্কেটিং এ সফল হতে হলে আপনাকে বিভিন্নভাবে কাস্টমারদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে ।
নির্দিষ্ট একটি সময় পর পর আপনি তাদের ইমেইলে আপনার নতুন নতুন সার্ভিস, অফার কিংবা বিজনেস সম্পর্কে নতুন আপডেট জানাতে হবে ।
এইভাবে আপনি নিয়মিতভাবে আপডেট থাকার কারণে কাস্টমারদের সাথে সাথে একটি ভাল সম্পর্ক তৈরি করে নিতে পারবেন ।

ফলে যখন কোন তথ্য আপনি তাদেরকে দিবেন তারা সহজেই সেটা পেতে আগ্রহী হবে ।
আর এভাবেই আপনি আপনার ইমেইল মার্কেটিং এর প্রচার – প্রসার বা বৃদ্ধি করতে পারেন ।

যেমন ধরুন-

আপনি ১০০০ (এক হাজার) লোকদেরকে আপনার লেখা “ইমেইল মার্কেটিং করে আয়“ আর্টিকেলটির লিংক ইমেইল এর মাধ্যমে পাঠালেন ।
এখান থেকে কমপক্ষে ১০০ জন হলেও আপনার আর্টিকেলটি দেখতে দেখার বা পড়ার জন্য আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে ।
আর এভা্বেই আপনি ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভিজিটর পেয়ে গেলেন ।
ইমেইল মার্কেটিং করার নিয়ম –

ইমেইল মার্কেটিং মানে হল আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে অন্য একটি ইমেইলে কোন কিছু মেইল করে পাঠানো ।
তবে ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনি জিমেইল, আউটলক বা ইয়াহু ইত্যাদির মতো সার্ভিসগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না ।
কেননা জিমেইল অথবা অন্য কোন ফ্রি ইমেইল একাউন্ট থেকে আপনি শুধুমাত্র নির্ধারিত সংখ্যক ইমেইল আদান প্রদান করতে পারবেন ।
কিন্তু অতিরিক্ত ইমেইল পাঠানোর কারণে বা একসাথে হাজার হাজার ইমেইল পাঠানোর কারণে আপনার জিমেইল আইডিতে স্প্যামিং হিসেবে ধরে নিতে পারে ।

যার ফলে জিমেইল ইয়াহো আউটলুক দ্বারা সম্পূর্ণভাবে আপনার আইডিটি ব্লক করে দিতে পারে ।
এখন আপনার প্রশ্ন আসতে পারে যে তাহলে, কিভাবে একসাথে হাজার হাজার লোকদেরকে ইমেইল পাঠিয়ে email মার্কেটিং করবেন ?

এর সহজ উত্তর হল-একসাথে হাজার হাজার ইমেইল পাঠানো বা ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনি email marketing tools বা website ব্যবহার করতে পারবেন ।
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার বা ইমেইল মার্কেটিং টুলস ?

ইন্টারনেটে সার্চ করে আপনি অনেক ইমেইল মার্কেটিং টুলস খুব সহজেই পেয়ে যাবেন । যেগুলোর মাধ্যমে আপনি একসাথে হাজার হাজার ইমেল পাঠাতে পারবেন ।
এবং আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ইমেইল করে আপনার ব্যবসার প্রচার প্রসার করতে পারবেন ।

ইমেইল মার্কেটিং করার কিছু ফ্রি জনপ্রিয় সফটওয়্যার বা টুলস সমূহ-

  • Mailchimp
  • FeedBurner
  • Sendinblue
  • SendPress
  • HubSpot Email Marketing
  • Drip
  • SendPulse
  • MailerLite
  • Benchmark Email
  • Omnisend


এই টুলস এবং ওয়েবসাইটগুলো আপনি একদম ফ্রিতে ব্যবহার করে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন ।
গুগলে সার্চ করে আপনি খুব সহজেই ইমেইল মার্কেটিং tools এবং ওয়েবসাইট গুলো খুজে পাবেন ।
সেখান থেকে আপনার পছন্দের ওয়েবসাইট বা টুল্স টি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন ।

ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনি ফ্রি (free) এবং পেইড (paid) উভয় মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন ।

ফ্রীতেই ইমেইল মার্কেটিং করুন
আপনি একদম ফ্রীতে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন । তা ছাড়া আপনার নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকলে আপনি এর ধ্যমেও ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন খুব সহজেই ।

তবে ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনার সবচেয়ে গুুত্ব পূর্ণ যে বিষয়টি প্রয়োজন তা হলো ইমেইল লিস্ট এর । যে লিস্ট এ বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের ইমেইল এড্রেস রয়েছে সেগুলো আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে ।

বিভিন্ন টুলসের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইট সার্চ করে ঘাটাঘাটি করে আপনি নিজে নিজেই আপনি করে নিতে পারবেন । তবে এর জন্য আপনাকে প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে । তাই তাই বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং টুলস এর ব্যবহার বেশি দেখা যায় ।
তাছাড়া আপনার যদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইবার বা কমেন্ট অপশনের মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন ।

যখন তারা আপনার সাইটটি ভিজিট করবে তখন তারা আপনার সাথে যোগাযোগ করার জন্য ইমেইল এড্রেস দিয়ে থাকবে আপনি সেই ইমেইল এড্রেস গুলো সংগ্রহ করে ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন ।

এভাবে আপনি ছোট বড় কোম্পানির জন্য অথবা আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের দ্বারা নিউজলেটার বা ইমেইল লিস্ট এর মাধ্যমে হাজার হাজার লোকদের ইমেইল সংগ্রহ করে আপনাদের যে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস যে কোনো সময় ইমেইল এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারবেন ।


পেইড (paid) ইমেইল মার্কেটিং

পেইড ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে । ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য অনলাইনে আপনি বিভিন্ন ধরনের পেইড ইমেইল মার্কেটিং টুলস পাবেন ।

যেগুলোতে টাকা দিয়ে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করার সুবিধা ভোগ করতে পারবেন ।

কিন্তু আপনি ফ্রিতে অসংখ্য ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলস পাওয়ার কারণে আমি আপনাকে পরামর্শ দিবো অযথা টাকা খরচা করে পেইড টুল্স ব্যবহার করে ইমেইল মার্কেটিং না করার ।
ইমেইল আকর্ষণীয় করুন-

ইমেইল মার্কেটিং করার সময় যখন কোনো ইমেইল পাঠাবেন । তখন ইমেইলটিকে খুব আকর্শনীয় ভাবে পাঠান । মেইলে আপনার পন্যটির সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দিন ।
যাতে, যে কেউ মেইলটি দেখা মাত্র মেইলটি দেখতে আগ্রহী হয়ে উঠে ।
সহজভাবে মেইল তৈরি করন-

যখন কোনো মেইল তৈরি করবেন তখন খুব সহজ সরলভাবে মেইলটি তৈরি করে তারপর গ্রাহকদের কাছে পাঠান।
যেন খুব সহজেই যে কেউ মেইলটি ভালো ভাবে পড়তে পারে এবং বুঝতে পারে ।
ইমেইল নিয়ে গবেষনা করন-  

যে কোন ব্যবসা করার জন্য যেমন কোন পণ্যের চাহিদা কেমন তা যাচাই করা প্রয়োজন । তদ্রূপভাবে ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে ইমেইল তৈরি করার জন্য মনোযোগ দিয়ে ইমেইল লিস্ট তৈরি করতে হবে ।

ইমেল মার্কেটিং করার জন্য সব সময় মানসম্মত প্রোডাক্ট নিয়ে ইমেইল মার্কেটিং করুন । খারাপ পন্য নিয়ে কখনো ইমেইল মার্কেটিং করবেন না । এতে আপনার মার্কেটিং এর বাজার আরো ধসে নামবে ।

আপনার পণ্য বা সার্ভিস এর গুনগত মান বিস্তারিত তথ্য ইমেইলে পাঠানোর সময় দিয়ে দিন । যাতে কাস্টমারর আপনার ইমেইল পেয়ে আগ্রহী হয়ে উঠে আপনার সার্ভিস পাওয়ার জন্য ।
আপনার প্রতিযোগীরা কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করছে তা নিয়মিত বিভিন্ন মাধ্যমে খোজ রাখুন ।
প্রাইভেসি খেয়াল করন –

আপনি যখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জিমেইল ব্যবহার করবেন তখন অবশ্যই আপনাকে তাদের প্রাইভেসি প্রতি খেয়াল রাখতে হবে ।
তাদের দেওয়া প্রাইভেসি অনুযায়ী আপনাকে ইমেইল এড্রেস গুলো ব্যবহার করতে হবে। প্রাইভেসি ক্ষুন্ন হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না ।

এছাড়া আপনি যখন নিজে নিজে ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করবেন তখন সেগুলো বাইরে কোথাও পাবলিশ করবেন না ।
ইমেইল মার্কেটিং করতে Opt-in ব্যবহার-

ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে Opt-in ব্যবহার করতে হবে । তাহলে আপনি আপনার পাঠানো ইমেইলগুলো লোকেরা কিভাবে দেখছেন বা কেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন, সেটা জানতে পারবেন ।

এতে করে যখন কেউ আপনার ইমেইল কে ওপেন করবে তখন তারা সাবস্ক্রাইবার অপশনটি দেখতে পারবেন । আর যখনই তারা সাবস্ক্রাইব করে নিবে তথন থেকে তারা আপনার একজন গ্রাহক বা কাস্টমার হয়ে যাবে ।
গিফট ইমেইল পাঠানো-

আপন যখন কোনো নতুন গ্রাহককে প্রথম মেইল করবেন । তখন আপনি চেষ্টা করুন গিফট মেইল করতে । এতে করে সে খুব স্বাচ্ছন্দবোধ করবে ।
এবং আপনার গিফট মেইল এর মধ্যে আপনার ওয়েবসাইট এর পরিচয় তুলে ধরুন ।

ইমেইল লিষ্ট তৈরি করবেন যেভাবে –
ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে সর্ব প্রথমে ইমেইল লিস্ট তৈরি করতে হবে ।
আপনার কাছে যদি কোন ইমেইল লিস্ট না থাকে তাহলে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন না ।

তাই কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করতে হয় তা নিচে তোলে ধরা হলো-
নিজে নিজে ইমেইল কালেকশন করন –
আপনি যদি নিজে নিজেই ইমেইল সংগ্রহ করতে চান তাহলে করতে পারেন । তবে এর জন্য আপনাকে অনেক সময় ব্যায় করতে হবে ।

তাছাড়া আপনি ফ্রি ইমেইল মার্কেটিং টুলস ব্যবহার করে খুব সহজেই ইমেইল সংগ্রহ করতে পারবেন ।
ইমেইল কালেকশন করার কিছু প্রয়োজনীয় অনলাইন ফ্রি টুল্স –

  • Gravity Forms
  • Sleeknote
  • Bloom
  • OptinMonster
  • SumoMe


ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ইমেইল সংগ্রহ করন –  
আপনার যদি কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে । তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে সাবস্ক্রাইব বাটন এড করে বিভিন্ন ধরনের অফারের মাধ্যমে ইমেইল সংগ্রহ করা যাবে ।

যখন আপনার সাইটে কোনো ভিজিটর আসবে তথন তারা আপনার ওয়েবসাইটে কোনো কমেন্ট করার সময় ইমেইল দিয়ে কমেন্ট করবেন ।
এখান থেকে আপনি ইমেইল সংগ্রহ করতে পারবেন ।
ইমেইল ক্রয় করা –

অনলাইনে ইমেইল বিক্রির বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে । আপনি চাইলে আপনার নির্ধারিত গ্রাহক অনুযায়ী দেশ, স্থান ও অঞ্চলভেদে খুব কম টাকায় ইমেইল লিস্ট তৈরি করে নিতে পারবেন ।
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়ার বা ইমেইল মার্কেটিং টুলস –

ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনার কিছু প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার এর প্রয়োজন রয়েছে । কারণ এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ ।
গুগলে আপনি সার্চ করে বিভিন্ন ধরনের ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য সফটওয়্যার টুলস পেয়ে যাবেন । নিচে কিছু ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য জনপ্রিয় সফ্টওয়্যার ইমেইল মার্কেটিং টুলস এর নাম দেওয়া হলো-

  • Target Hero
  • Mailjet
  • MailGenius
  • Litmus
  • Mail Chimp
  • Drip
  • Mad Mimi
  • Cake Mail
  • Reach Mail


আপনি এই টুল্স বা সফ্টওয়্যারগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য ইমেইল লিস্ট তৈরি করে নিতে পারবেন ।
আর এগুলো একদম ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন । কোন প্রকার টাকা খরচ করতে হবে না ।
ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম –

ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অনলাইনে কিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে গুলো সেগুলোর মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং করতে হবে ।
ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেস এর নাম নিচে দেওয়া হল –

  • Fiverr
  • Upwork
  • Toptal
  • Aquent
  • Freelancer
  • The Creative Group
  • Simply Hired
  • Crowded
  • People per hour


মার্কেট প্লেসে কাজ করে আয় –

বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনে আয় করার জন্য বিভিন্ন মার্কেটে প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।
এরও ধারাবাহিকতায় আপনি যখন কোন ইমেইল মার্কেটিং করতে যাবেন ঠিক তখনই আপনার যেকোনো একটি মার্কেটপ্লেসের প্রয়োজন পড়বে ।

আপনি ইমেইল মার্কেটিং করে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেস রয়েছে । যেগুলোতে আপনি প্রায় সব ধরনের কাজ করার সুযোগ পাবেন ।
এখানে আপনি অনলাইনে ইমেইল মার্কেটিং প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন

ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি Fiverr , Upwork , Toptal , Aquent , Freelancer ইত্যাদির মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারেন ।

অনেকেই ইমেইল মার্কেটিং করে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করছেন ।
আপনিও চাইলে ইমেল মার্কেটিং শিখে নিজে দক্ষ হয়ে তারপর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করা যায় ?

আপনি চাইলে ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন । আমি আপনাদের সাথে ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করেছি । আপনি এগুলোর মাধ্যমে ইমেইল মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
মার্কেট প্লেসে কাজ করে আয় –

আপনি যদি একজন দক্ষ ইমেইল মার্কেটার হয়ে থাকেন । তাহলে আপনি অবশ্যই বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট তৈরিকরে সেখানে বিভিন্ন লোকদের কাজ কারর বিনিময়ে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম আয় করতে পারেন । যা অনেকেই করছেন।

এছাড়াও আরো কিছু ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো-
এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে আয় –

আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি সাথে যুক্ত হয়ে তাদের পন্য বা সেবার  লিংক গুলো ইমেইলের মাধ্যমে শেয়ার করে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

আপনি যে পণ্য বা সার্ভিসের লিংকটি শেয়ার করবেন । সেটা বিক্রির উপর নির্ভর করে কিছু কমিশন আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে ।
আপনি যত বেশি ইমেইল মার্কেটিং করতে পারবেন তত বেশি আপনার টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে ।
নিজের  ইবুক বিক্রয় করে আয় –

আপনি যদি ভালো মানের ই-বুক তৈরি করতে পারেন । তাহলে আপনি কি বুক বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।
আপনার তৈরি করা এই বুকগুলি ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের কাছে প্রচার করার ফলে ।
তারা আপনার এই ভুলগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী আপনি তাদের কাছে বিক্রি করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।


এছাড়াও আপনার এই বুক গুলো যখন অনলাইনে সাবমিট করবেন তখন সেখান থেকে যারা আপনার রিপোর্টগুলো ডাউনলোড করবে ।
প্রত্যেকটি ডাউনলোডের বিনিময়ে আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে যাবেন । আপনার কমিশনার কাউকে ভাগ দিতে হবে না । সম্পূর্ণটাই আপনার নিজের ।
ই-কমার্স এর প্রোডাক্ট বিক্রয় করে আয় –

আপনি চাইলে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইডে যুক্ত হয়ে ই-কমার্স এর পন্যগুলো ইমেইলে মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করত পারবেন ।
এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন ই-কমার্স গুলোতে গিয়ে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে ।
তারপর আপনি সেখান থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর লিংক এর মাধ্যমে মাধ্যমে লোকদের কাছে প্রচার করে ।
তারপর পন্য বা সেবা বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন গ্রহনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

ভিডিও কন্টেন্ট বিক্রয় করে আয় –
আপনি অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন শিক্ষানীয় টিউটোরিয়াল বা যেকোনো টিউটোরিয়াল তৈরি করে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রয় করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

আপনার যখন একটি টিউটোরিয়াল তৈরি করা হয়ে যাবে তখন আপনি সেটা ইমেইলের মাধ্যমে লোকদেরকে টাকা বিনিময়ে বিক্রি করে দিতে পারবেন ।

  • FAQ-
  • ইমেইল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায় ?


পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকলে একজন ইমেইল মার্কেটার উচ্চপদে যেতে পারেন । এবং অনেক টাকা বেতন সুবিধা উপভোগ করতে পারেন । talent.com এর মতে, একজন অভিজ্ঞ ইমেল মার্কেটার তার ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গড় বার্ষিক বেতন $৮০.৯৮৮ ডলার পেয়ে থাকেন ।
ইমেইল মার্কেটিং কি এবং কিভাবে কাজ করে ?

ইমেল মার্কেটিং হল একটি ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতির অংশ বিশেষ । যা ব্যবসার উদেদেশ্য গ্রাহকদের সাথে যুক্ত হতে ইমেল ব্যবহার করা হয় । ইমেইলে পন্যের প্রচারমূলক বা তথ্যমূলক সামগ্রী পাঠানো হয় । ইমেল মার্কেটিং সাধারণত পণ্য বা ব্র্যান্ড সচেতনতা তৈরি করতে এবং প্রচুর পরিমানে লিড বা বিক্রয় তৈরির করতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
ইমেইল মার্কেটিং কি?

আপনার বুঝার সুবিধার্থে বলা যায় যে, আপনার কাস্টমার যারা আছেন বা আপনার পণ্য কিনতে পারেন । এমন সব মানুষের ইমেইল সংগ্রহ করে তাদের ইমেইলে আপনার পণ্য কিংবা ব্যবসা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বা অফার পাঠিয়ে দেওয়া ।

আপনি যে প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে মানুষকে ইমেইল করে আপনার পণ্য বা ব্যবসার মার্কেটিং করলেন । মূলত, এই পদ্ধতিটিই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভাষায় ইমেইল মার্কেটিং বলা হয় ।
আজকের শেষ কথা ,

বন্ধুরা আশা করি আজকের ইমেইল মার্কেটিং আর্টিকেলটি আপনাদে অনেক উপকারে আসবে । আপনি যদি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি নিজে নিজেই ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেকটাই ধারনা পেয়েছেন ।

মার্কেটিং কাকে বলে? কত প্রকার ও কি কি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সারা বিশ্বের অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। সেই সাথে এই আধুনিক যুগে ব্যবসায়-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ও উন্নতি হচ্ছে। কর্পোরেট মহলে বহুল আলোচিত একটি টার্ম হলো মার্কেটিং বা বাজারজাতকরণ (Marketing)।

এজন্য অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে মার্কেটিং কাকে বলে সে সম্পর্কে। যারা ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়াশোনা করছেন বা ছোট পরিসরে ব্যবসায় উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তাদের অবশ্যই জানা উচিত মার্কেটিং কি (What is marketing?)।

এরকম পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই আমরা কর্মপিডিয়ার আজকের লেখাটি সাঁজিয়েছি। আজকে আমরা জানবো মার্কেটিং কি বা মার্কেটিং কাকে বলে এবং মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি।

উপরের সূচিপত্রের মাধ্যমে সম্পূর্ণ লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় আসা যাক।
মার্কেটিং কি? (What is marketing?)

কোনো পণ্য, সেবা বা ব্র‍্যান্ড সম্পর্কে জনসাধারণকে জানানোর উদ্দেশ্যে এবং বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য যে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয় তাই হলো মার্কেটিং।
অর্থাৎ এটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত এবং বিক্রয় ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধির অন্যতম কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে অনেক অব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেও মার্কেটিং কৌশল ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
মার্কেটিং কাকে বলে? (Definition of marketing)

ধারণা করা হয়, ল্যাটিন শব্দ mercatus থেকে ইংরেজি ‘market’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে, যার অর্থ হলো মেলা বা বাজার। পরবর্তীতে ‘market’ শব্দ থেকে ‘marketing’ শব্দটি এসেছে। ইংরেজি ‘Marketing’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হলো বিপণন বা বাজারজাতকরণ।

কোনো পণ্য বা সেবার বাজার চাহিদা বিশ্লেষণ, মোড়কীকরণ, ও মূল্য নির্ধারণের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতার কাছে পণ্য ও সেবা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করা এবং তাকে পণ্য ক্রয়ে আকৃষ্ট করার ব্যবস্থাপকীয় কৌশলকে মার্কেটিং বলে।
সহজ বাংলায় বলতে গেলে, মার্কেটিং হলো এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করা যাতে পণ্য বা সেবার সম্ভাব্য ক্রেতারা তা সম্পর্কে জানতে পারে এবং তা কিনতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি বুঝে নেওয়া যাক। মনে করুন, আপনার একটি ব্যবসায় আছে এবং নতুন ধরণের বিস্কুট উৎপাদন করলেন।
এখন এই বিস্কুটের জন্য বাজারে কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে তা বিশ্লেষণ করা, সুন্দরভাবে প্যাকেজিং করা, ন্যায্য দাম নির্ধারণ করা এবং বিভিন্ন মাধ্যমে বিস্কুটের বিজ্ঞাপন দেওয়ার সম্পূর্ণ কাজকে মার্কেটিং বলা হয়।

আশা করি, মার্কেটিং কি এবং মার্কেটিং কাকে বলে সে সম্পর্কে এতক্ষণে ভালো ধারণা পেয়েছেন। এবার আসুন মার্কেটিং সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জেনে নিই।

মার্কেটিং এর জনক কে?
মার্কেটিং শব্দটি বা টার্মটি করপোরেট মহলে বহু আগে থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। এপর্যন্ত বহু ব্যবস্থাপনাবিদ এ সম্পর্কে অনেক মতবাদ ও তত্ব দিয়েছেন।

তবে আধুক যুগে মার্কেটিং এর জনক হলেন ড. ফিলিফ কোটলার। যিনি বিশ্ববাণিজ্যে মার্কেটিংকে ভিন্নভাবে পরিচয় করিয়েছেন।
মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?

এটাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়। তবে মার্কেটিং প্রধানত দুই প্রকার। আর তা হলো-

গতানুগতিক মার্কেটিং (Traditional Marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)

গতানুগতিক মার্কেটিং কাকে বলে?


পুরনো এবং আধুনিক নয় এমন কিছু কৌশল ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার প্রচার-প্রচারণা করাকে গতানুগতিক বা Traditional Marketing বলা হয়।

এই মার্কেটিং পদ্ধতিটি বর্তমানে প্রায় লোপ পেতে চলেছে। কারণ, এই জায়গা দখল করে নিয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
ট্রাডিশনাল মার্কেটিং করার কয়েকটি উপায় আছে। যেমন

  • টেলিভিশন বিজ্ঞাপন
  • রেডিওতে বিজ্ঞাপন
  • দেওয়াল পোস্টার
  • ব্যানার
  • বিলবোর্ড
  • পত্রিকায় বিজ্ঞাপন
  • মাইকিং


ডিজিটাল মার্কেটিং কাকে বলে?
সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে আধুনিক উপায়ে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য, সেবা বা ব্র‍্যান্ড সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার কয়েকটি উপায় আছে। যেমন

  • সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • ই-মেইল মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং



সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)

ডিজিটাল মার্কেটিং করার অন্যতম উপায় হলো Search Engine Optimization বা SEO। যেসকল কৌশল অনুসরণ করে কোনো ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেইজকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করানো হয় তাকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বলে।

অর্থাৎ এই ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলটি Google, Bing, Yahoo ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিনের সাথে জড়িত।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করার কিছু কৌশল আছে। যেমনঃ অন-পেইজ এসইও, অফ-পেইজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও ইত্যাদি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে?

নিজের কোনো ওয়েবসাইটে অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপণ দেখিয়ে ওয়েবসাইটের ভিজিটরকে সেই পণ্য, সেবা ক্রয়ে আগ্রহী করে তোলার কৌশলই হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)।

মনে করুন, আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে এবং সেখানে মোবাইল ফোন বিষয়ে কন্টেন্ট পাবলিশ করে থাকেন। Samsung মোবাইল সম্পর্কে একটা কন্টেন্ট আছে, যেখানে সেই মোবাইলটা অনলাইনে কেনার কিছু লিংক দিয়ে রাখলেন।

যখন কেউ সেই কন্টেন্টটা পড়বে এবং আগ্রহী হয়ে ওই লিংকে ক্লিক করে মোবাইলটা কিনবে তখন আপনি একটি কমিশন পাবেন। আর অন্যদিকে যে প্রতিষ্ঠান থেকে মোবাইলটি কিনলো তাদের মার্কেটিং হয়ে গেল। এটাকেই মূলত বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
কন্টেন্ট মার্কেটিং কাকে বলে?

অডিও, ভিডিও, টেক্সট বা ফটো তৈরি করে তা অনলাইনে প্রচারের মাধ্যমে ব্যবসায়ের প্রসার অথবা পণ্যের বিক্রয় বৃদ্ধি করার কৌশলকে কন্টেন্ট মার্কেটিং মার্কেটিং বলে।

রকমারি, প্রাণ, আরএফএল, দারাজ ইত্যাদির মতো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ওয়েবসাইটে ব্লগ, ইউটিউব ও ফেসবুকে ভিডিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি প্রচারের মাধ্যমে তাদের কোনো পণ্য বা ব্যবসায়কে প্রমোট করে থাকে। মূলত এটাই হলো কন্টেন্ট মার্কেটিং।
ই-মেইল মার্কেটিং কাকে বলে?

পুরনো ক্রেতা অথবা সম্ভাব্য ক্রেতাদের ই-মেইল সংগ্রহ করা এবং নতুন পণ্য, সেবা ও আকর্ষণীয় অফার সম্পর্কে তাদের ইমেইলে তথ্য পাঠানোকে ই-মেইল মার্কেটিং বলে।

ডিজিটাল মার্কেটিং করার উপায় হিসেবে এটি অনেক আগে থেকেই সফলতার সাথে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ই-মেইল মার্কেটিং করার জন্য প্রথমেই সম্ভাব্য ক্রেতাদের ইমেইল সংগ্রহ করতে হয়।

নিউজ লেটারের মাধ্যমে, অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে এবং আরো কিছু উপায়ে ইমেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কাকে বলে?

ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, লিংকডিন, টুইটার ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পণ্য বা ব্র‍্যান্ডের প্রমোশন করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে।
মার্কেটিং কাকে বলে তা জানতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। এটি বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
ফেসবুকে ডলার খরচ করে পেইজ, প্রোডাক্ট বুস্টিং করা এই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত। এটি একটি পেইড মার্কেটিং কৌশল।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং কাকে বলে?

কোনো জনপ্রিয় সেলিব্রেটি বা ইনফ্লুয়েন্সারের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করিয়ে নেওয়াকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বলা হয়। আজকাল এটি খুব বেশি ব্যবহার করা হয়।
আমরা সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করার সময়ে হয়তো খেয়াল করেছি, জনপ্রিয় সেলিব্রেটিরা বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে পোস্ট দিয়ে থাকে। মূলত এটাই হলো ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং।

আশা করি, মার্কেটিং কাকে বলে তা সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা পেয়েছেন এবং মার্কেটিং এর প্রকারভেদ থেকে জানতে পেরেছেন যে, মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি।
যারা ভবিষ্যতে মার্কেটার হবে বা এই সেক্টরে কাজ করবেন তাদের দায়িত্ব কী হবে, আসুন সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিই।
মার্কেটিং অফিসারের কাজ কি?

সকল ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেই এক বা একাধিক মার্কেটিং অফিসার নিযুক্ত থাকেন। মার্কেটিং অফিসারের মূল কাজ হলো প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বাড়ানো এবং ক্রেতা সন্তুষ্টির জন্য সর্বাধিক সেবা নিশ্চিত করা।

অর্থাৎ কী করলে বিক্রয় বাড়বে, কীভাবে পুরনো ক্রেতা পুনরায় ফিরিয়ে আনা যাবে, কিভাবে অনেক বেশি নতুন ক্রেতা সংগ্রহ করা যাবে সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ নেওয়াই হলো একজন মার্কেটিং অফিসারের প্রধান কাজ।
ইতিকথা

আশা করি, আজকের লেখাটি আপনাদের উপকারে এসেছে। মার্কেটিং কাকে বলে সে বিষয়ে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। পরবর্তী কোন বিষয়ে জানতে চান তা-ও কমেন্টে জানাতে পারেন।

এছাড়া ব্যবসায় ও আয় সম্পর্কে আরো লেখা পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ঘুরে দেখতে পারেন।
মার্কেটিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন-উত্তর

মার্কেটিং কাকে বলে?
কোনো পণ্য, সেবা বা ব্র‍্যান্ড সম্পর্কে সম্ভাব্য ক্রেতাদের তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়ে আগ্রহী করে তোলার কৌশলকে মার্কেটিং বলে।

মার্কেটিং অফিসারের বেতন কত?
একজন মার্কেটিং অফিসারের বেতন ১৫-৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান, প্রার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা ও কাজের চাপের উপরে।

মার্কেটিং এর বিবেচ্য বিষয় কয়টি ও কি কি?
মার্কেটিং এর বিবেচ্য বিষয় ৪টি। যথাঃ পণ্য, মূল্য, স্থান ও প্রচার।

মার্কেটিং এর জনক কে?
আধুনিক মার্কেটিং এর জনক হলেন ড. ফিলিফ কোটলার।

মার্কেটিং ও টিপস

Share on Facebook
Share on Twitter

Read More: ছাত্র জীবনে অভিজ্ঞতা ছাড়াই আয় করার ৫ পদ্ধতি

Read More: কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়

Read More: এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

Read More: ডাটা এন্ট্রি কি

Read More: সেরা ফ্রি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

Post a Comment

0 Comments