ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় | ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায়

 ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়

ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় | ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায়


ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

অনলাইন আয়ের উপায়ের মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে আয় অধিক জনপ্রিয়। এবং একটি ওয়েবসাইট থেকে দীর্ঘস্থায়ী এবং ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 
আর দিন দিন মানুষ অনলাইন নির্ভর হয়ে যাওয়ায় এর সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ের এই জনপ্রিয় অনলাইন আয়ের মাধ্যমেটি আপনিও বেছে নিতে পারেন আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে বা আপনার বাড়তি ইনকাম এর পথ হিসেবে।

  • ওয়েবসাইট থেকে আয়

  • বাংলা ওয়েবসাইট থেকে আয়

  • ওয়েবসাইট কি আপনি জানেন?

  • ওয়েবসাইটের ধরণঃ

  • ওয়েবসাইট তৈরি করার খরচ কত?

  • ওয়েবসাইটের নামকরণ

  • এসব সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ।

 
১. এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ওয়েবসাইট থেকে আয়

তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার কয়েকটা বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। যেমনঃ

২. ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন

৩. গুগল এডসেন্স দ্বারা ওয়েবসাইট থেকে আয়

গুগল এডসেন্স এর কিছু অনন্য সুবিধাঃ

৪. ই কমার্স ওয়েবসাইট থেকে আয়

ওয়েবসাইট খুলে প্রোডাক্ট বিক্রি করার আরও কয়েকটা সুবিধাঃ
 

৫. নিউজ পোর্টাল থেকে আয়

৬. সাবস্ক্রিপশন ফি

৭. ডোনেশন

৮. স্পনসরশিপ

৯. সার্ভিস বিক্রি

১০. মধ্যস্থতার মাধ্যমে

১১. ওয়েবসাইটের গ্রাহকদের ইমেইল বিক্রয় করে আয়

১২.ওয়েবসাইট বিক্রি

১৩ পোর্টফোলিও

ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় ২০২৩ [Earn From Website]

অনলাইন ইনকাম বিডির এই পোষ্টের মাধ্যমে, কিভাবে আপনি একটি নিজের ওয়েবসাইট (Website) তৈরী করে সেখান থেকে টাকা আয় করবেন এই সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
এটাও বলতে পারি,  এই লেখাটি পড়ে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে পারবেন, যদি আপনার ভেতরে ইচ্ছা আর পরিশ্রম করার মনমানসিকতা থাকে।
পাশাপাশি  ফেসবুক, ইউটিউব, গুগল কিভাবে তাদের ওয়েবসাইটের সাহায্যে কোটি কোটি ডলার আয় করে সে সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
 

ওয়েবসাইট থেকে আয়

আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি সর্বপ্রথম ২০১৮ সালে ওয়েবসাইট তৈরি করি। যদিও শুরুর দিকে আমি তেমন একটা আমার ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে পারেনি। তবে বর্তমানে আমার ওয়েবসাইট থেকে আমি ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করি।
Website থেকে আয় করা আমার মতে, অতটা কঠিনও না আবার অতটা সহজ নয়। ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে চাইলে আপনার ধৈর্য ধরে কাজ করে যাওয়ার মন মানসিকতা থাকতে হবে। কেননা শুরুতে ওয়েবসাইট থেকে তেমন একটা ইনকাম হয় না।
 
এটা বলতে পারি, একটা ওয়েবসাইট যদি আপনি দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারেন তাহলে একটা সময় খুব আরামের সাথে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আমি এই পোস্টে শেষ অংশে শেয়ার করেছি, কিভাবে আপনি একটি ওয়েবসাইটে  ভিজিটর বৃদ্ধি করবেন/আপনার ওয়েবসাইটকে কিভাবে জনপ্রিয় করে তুলবেন।
কেননা আপনার সাইটে যদি কোন ভিজিটর না আসে তাহলে আপনি কোনোভাবেই ওয়েব সাইট থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।

বাংলা ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম

অনেকেই ভাবেন যে ইংরেজি জানা ছাড়া একটি ওয়েবসাইট চালানো অসম্ভব, একটি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব নয়, বা বেশি ইনকাম করা সম্ভব নয়!!! যেহেতু আমাদের দেশে বেশিরভাগ ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স নির্ভর। কিন্তু এ বিষয়টা একদমই ভুল। কেননা গুগোল এখন বাংলা ভাষায় এডসেন্স দিয়ে থাকে।
 
ওয়েবসাইটের ইনকাম নির্ভর করে ওয়েবসাইটের ভিজিটর এর উপর। আপনি যদি ভাল পরিমান ভিজিটর বাংলা ওয়েবসাইটে আনতে পারেন তাহলে বাংলা ওয়েবসাইট থেকেও ভালো পরিমাণ ইনকাম করা সম্ভব।
তবে ইংরেজী জানা থাকা ভাল কেননা এতে আপনার শিখা ও জানা সহজ হবে। এবং যদি আপনি ইংরেজিতে কোন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে রেংক করতে পারেন। অর্থাৎ ওয়েবসাইটে ভালো পরিমান ভিজিটর আনতে পারেন তাহলে বাংলা ওয়েবসাইট এর তুলনায় কয়েকগুন বেশি ইনকাম হবে।

ওয়েবসাইট কি আপনি জানেন

 আচ্ছা, ওয়েবসাইট কি? সহজ কথায়, একটি ডোমেন নেম(যেমন gmail, facebook,youtube,onlineincomebd) এবং ডোমেন এক্সটেনশান (.com,.info,.org, .net ইত্যাদি) এর সমন্বয়ে গঠিত যে ওয়েব এড্রেস তাকেই ওয়েবসাইট বলে। 
ওয়েবসাইট বা ওয়েব সাইট অথবা শুধু সাইট হল কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা ওয়েব পৃষ্ঠা, ইমেজ, ভিডিও বা অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা ইন্টারনেট বা ল্যানের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যায়।

একাডেমিক ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, অক্সফোর্ড ডিকশনারির সংজ্ঞানুযায়ী, ওয়েবসাইট হল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কয়েকটি ওয়েব পেজ যা একটি ডোমেন নেম এর আওতাভুক্ত, যা সাধারণভাবে একজন ব্যক্তি বা একটি সংস্থার মালিকানায় থাকে এবং তারা এই ওয়েবসাইট প্রকাশ করে।
আপনি যে এখন বাংলাদেশের অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত ওয়েবসাইট ভিজিট করছেন এটাও একটি ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আপনি খুব সহজে আয় করতে পারবেন !
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো? (How to start Affiliate marketing?)

(১) প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল, অন্য সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ফেসবুক পেজ থাকতে হবে এবং সেগুলোতে প্রচুরসংখ্যক ভিজিটরর্স থাকবে হবে। আর এই চারটি বিয়ষে মার্কেটিং করার সেরা মাধ্যম।

(২) আপনার কাছে যদি ফেসবুক পেজ, ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহালে যেকোনো একটি affiliate program এ জয়েন করতে পারেন। তারপরে তাদের প্রোডাক্ট গুলো প্রোমোট করতে পারেন।

(৩) affiliate program এ জয়েন করার পরে আপনি তাদের কোন কোন প্রোডাক্ট গুলো আপনার ব্লগে, ইউটিউবে এবং পেজে প্রোমোট করবেন সেটা নির্বচন করতে হবে।

(৪) আপনি যে সমস্ত প্রোডাক্ট গুলো বেঁচে নিবেন সেগুলো বিনিময়ে আপনাকে একটি এফিলিয়েট লিংক দেওয়া হবে। সেই লিংক প্রোমোট করার পরে ভিজিটরর্সরা সরাসরি লিংক থেকে ক্রয় করতে পারবে।


(৫) এবার আপনি প্রোডাক্টের এফিলিয়েট লিংক ব্লগে, ওয়েবসাইটে, ফেসবুক পেজে বা গুরুপে এবং ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করে মার্কেটিং করতে পারবেন।

(৬) আপনার শোয়ার করা product গুলো থেকে কেউ যদি পন্য কিনে তাহালে আপনি কমিশন (commission) পাবেন।

উপরের এই ৬ টি জিনিসের মাধ্যমে আপনি affiliate marketing শুরু করতে পারবেন। আশাকরি কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন সেটা সহজে বুঝতে পারছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করুন

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মানুষ প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। আপনি প্রথম থেকে চেষ্টা করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন। কিন্ত affiliate marketing করার জন্য আনাকে অবশ্যই একটি সময় নিয়ে বুঝতে হবে। মানে আপনাকে কিছু জায়গাই দক্ষ (Expert) হতে হবে।

মনে করুন, আপনি ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে ডোমেইন হোস্টিং এর লিংক প্রোমোট করলেন। এখন ১ মাসে আপনার প্রোমোট করা লিংক থেকে ১৫ জন ক্রয় করলো। প্রতিটা প্রোডাক্ট থেকে আপনি কমিশন পেলেন ২০% করে। আর বিক্রয় করা প্রোডাক্টের মূল্য ৫০০০ টাকা করে। তাহালে ১ মাসে আপনার ইনকাম হবে।

প্রোডাক্টের মূল্য ৫০০০ x ১৫ = ৭৫০০০ টাকা

আপনি কমিশন পচ্ছেন ৭৫০০০ ÷ ২০ = ৩৭৫০ টাকা

তাহালে আপনি একমাসে ৩৭৫০ টাকা কমিশন পাবেন। আর আপনি যত বিক্রয় করতে পারবেন ততো আপনার বেশি কমিশন আসবে। এভাবে ধীরে ধীরে আপনি বেশি পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করাটা সম্পর্ন নির্ভর করে,

আপনি কত টাকার জিনিস বিক্রয় করতে পেরেছেন।

প্রতিটা জিনিস থেকে আপনাকে কোম্পানি কত টাকা করে কমিশন দিচ্ছে সেটার হিসাবে।

আপনি কতটি প্রোডাক্ট এফিলিয়েট লিংক (affiliate link) এর মাধ্যমে বিক্রয় (sell) করেছেন।

যে প্রোডাক্ট গুলো আপনি প্রোমোট করেছেন সেটার বাজারে কি পরিমানে চাহিদা রয়েছে।

উপরেন জিনিস গুলো উপরে এবং কোম্পানির দেওয়া কমিশন এর নির্ভর করবে আপনি মাসে কত আয় করতে পারবেন। Ways to earn from website.

লাভজনক এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট গুলো

আপনি ছোট বড় সব ধরনের অনলাইন কোম্পানির affiliate program ব্যবহার করতে পারেন। তবে, তাদের মধ্যে এমন বিখ্যাত কিছু নেটওয়ার্ক আছে যারা আপনাকে বেশি পরিমানে কমিশন দিবে। সেই সমস্ত এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক গুলো নাম নিচে উল্লেখ করছি। ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায় | ঘরে বসে অনলাইনে আয় করার উপায়

Amazon affiliate program

Filpkart affiliate program

Ebay affiliate program

Go daddy (domain history) affiliate program

Hostgator affiliate program

এগুলো ছাড়াও আপনি আরো অনেক গুলো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম পাবেন। তারাও আপনাকে ভালো পরিমানে কমিশন দিবে। তাদের নাম জানতে Google এ গিয়ে affiliate program লিখে সার্চ দিয়ে বিস্তারিত জেনে জয়েন (join) করে কাজ করুন।

affiliate marketing সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর

প্রশ্ন – ১: affiliate program এ জয়েন করতে কত টাকা লাগে? 

উত্তরঃ এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ জয়েন করতে আপনার কোনো টাকার প্রয়োজন হবে না। আপনি সম্পর্ন ফ্রিতে জয়েন করতে পারবেন।


প্রশ্ন – ২: affiliate product কিভাবে প্রোমোট করবো?

উত্তরঃ এফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রোমোট বা মার্কেটিং করার জন্য সেরা উপায় গুলো হলো ব্লগ ওয়েবসাইট, ইউটিউব, ফেসবুক পেজ এর মাধ্যমে প্রোমোট করা। সেখানে প্রচুর সংখ্যক ট্রাফিক থাকতে হবে।
 

Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

 

Post a Comment

0 Comments