সার্ভে কি ? সার্ভে করে আয় করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট

সার্ভে করে আয়

সার্ভে কি ? সার্ভে করে আয় করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট


সার্ভে করে আয় করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট

সার্ভে কি:-
অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে অনলাইন সার্ভে করে আয় করা (Online Survey Income)। কিন্তু এটি নতুনদের জন্যই বেশি জনপ্রিয় এবং যারা অনলাইন বিশ্ব সম্পর্কে সঠিকভাবে জানে না তাদের কাছেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। 
অনলাইনে অনেক ধরনের পেইড সার্ভে থাকে যেগুলো করে অনলাইন থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন। অনেকের মতে দৈনিক ৩-৫ ঘন্টা কাজ করলে মাস শেষে ৮-১০ হাজার আয় করা যায়। এই কাজটি ছাত্র-ছাত্রী বা যারা গৃহিণী তাদের জন্য লাভজনক হতে পারে।

অনলাইন সার্ভে করে টাকা আয় করাটা বর্তমানে বিখ্যাত হয়ে উঠছে তাই এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেক স্প্যাম বা ফেইক পেইড সার্ভে ওয়েবসাইট এসেছে। যেখানে আপনি কষ্ট করে কাজ করেও সেই কষ্টের টাকা হাতে পাবেন না।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের সার্ভে করার নিয়ম, সার্ভে ওয়েবসাইট এবং সার্ভে করার ভালো এবং খারাপ দিক নিয়ে আলোচনা করব। আসা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ার পরে আপনার সার্ভে নিয়ে আর কোন কনফিউশন থাকবে না।

অনলাইন সার্ভে করে টাকা আয়


আর্টিকেল সূচি

সার্ভে কি? বা সার্ভে কাকে বলে (What is Survey?)

অনলাইন সার্ভে করে আয় কাদের জন্যে?

কিভাবে সার্ভে করে আয় করা যায়?

অনলাইন সার্ভে করে আয় করতে কি কি লাগে? 

সার্ভে করে আয় করার সেরা ওয়েবসাইট সমূহ (Online Survey Website)

অনলাইন সার্ভে করে কত টাকা আয় করা যায়?

কিছু কথা

শেষ কথা

সার্ভে কি ? বা সার্ভে কাকে বলে (What is Survey?)

একটা কোম্পানি কি পণ্য বানাবে এবং ঐ পণ্যে কি কি ফিচার থাকা উচিত। কি কি সুবিধা থাকলে মানুষের ভালো লাগবে ঐ পণ্যটি তা জানার জন্য মানুষের বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসে নানা প্রশ্ন করে উত্তর জানতে চায়। এটিই হলো সার্ভে বা জরিপ। অনেক সময় অনেক কোম্পানি তাদের পণ্যের ভালো খারাপ দিক গুলো জানার জন্যও এমন সার্ভে করে।
 
এই জরিপ বা সার্ভেটি যখন অনলাইনে করা হয় তখন তাকে অনলাইন সার্ভে বলে। বর্তমানে যেহেতু মানুষ বেশি অনলাইন মুখী হয়ে যাচ্ছে তাই এনব কোম্পানি চিন্তা করল রাস্তা ঘাটে দাড়িয়ে দাড়িয়ে মানুষ থেকে এসব প্রশ্ন না করে অনলাইনে করলে মানুষের আর্কষণ এবং আগ্রহ পাওয়া যায়। তাই এখন এই সার্ভে গুলো বেশিরভাগই অনলাইনে হয়ে থাকে যাকে আমরা অনলাইন সার্ভে বলে থাকি। 
অবশ্যই দেখবেন: 

অনলাইনে এড দেখে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০টি ওয়েবসাইট

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন

গেম খেলে টাকা আয় করার উপায়!

অনলাইন সার্ভে করে আয় কাদের জন্যে?

অনলাইন সার্ভে করে আয় করা আমি সবার জন্য সাজেস্ট করবো না। কেননা অনলাইন সার্ভে করে ইনকাম এটি কোন পার্মানেন্ট সমাধান নয় অনলাইনে টাকা ইনকাম করার। এ কাজটি করার মাধ্যমে অনলাইনে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করা সম্ভব নয়।
যদি আপনি একজন ছাত্র বা গৃহিণী হোন, আপনার প্রতি মাসে হাত খরচের বা অল্প টাকার প্রয়োজন হয়। তাহলে অনলাইন সার্ভে করে আয় আপনার জন্য ভালো হতে পারে। সার্ভে কি ও Survey করে আয় কারা করতে পারবেত জানলাম। তো এবার আসা যাক, কিভাবে সার্ভে কাজ করে অনলাইনে টাকা আয় করবেন।

কিভাবে সার্ভে করে আয় করা যায়

সার্ভে কি সেটা তো বুঝলেন। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে এই সার্ভে করে আয় করা যায়! আপনি একটু চিন্তা করুন তো যদি কোন কোম্পানি একটি সার্ভে করতে চায় তাহলে তার জন্য উক্ত কোম্পানিকে টাকা দিয়ে তাদের কিছু প্রতিনিধি ভাড়া করতে হবে যারা লোকেদের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করবে। সব লোকেরা কিন্তু প্রশ্নের উত্তর দিবে না, অনেকেই আবার বিরক্ত বোধও করবে।
 
তাই কোম্পানি গুলো চিন্তা করল যদি অনলাইন সার্ভেতে তারা কোন প্রতিনিধিকে টাকা না দিয়ে ঐ টাকা যারা সার্ভে করে তাদেরকে দেই তাহলে মানুষ আরো বেশি আগ্রহী হবে সার্ভে করার জন্য। তখন থেকেই প্রচলন ঘটে অনলাইন পেইড সার্ভে অর্থাৎ যে অনলাইন সার্ভেতে অংশগ্রহণের জন্য টাকা দেওয়া হবে।
যদি সংক্ষেপে বলতে হয় তাহলে এমন ভাবে বলা যাবে সার্ভে করে আয় বলতে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আয় করা।

অনলাইন সার্ভে করে আয় করতে কি কি লাগে

অনলাইন সার্ভে কি,  কিভাবে এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায় তার সম্পর্কে হয়ত জেনেছেন। আপনি হয়ত ভাবছেন কখনোতো বাংলাদেশে এমন অনলাইন পেইড সার্ভে হতে দেখিনি বা শুনি নি।
আসলে বাংলাদেশে এসব অনলাইন পেইড সার্ভে একদম হয়না বললেই চলে। ভারতে কিছুটা হয় এমন সার্ভে। তাহলে আপনারা কেমন করে বাংলাদেশ বা ভারত থেকে বসে সার্ভে করে আয় করবেন? তার জন্য আপনাদের দরকার পেইড VPN বা VPS। অর্থাৎ আপনারা আপনাদের আইপি দিয়ে কাজ করতে পারবেন না। আপনাদেরকে USA বা UK এর  আইপি লাগবে কাজ করার জন্য।
এছাড়া আপনার যদি মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোন একটি থাকে তাহলে আপনি কাজ শুরু করতে পারবেন। কিন্তু একটি পেইড আইপি লাগবেই। কোন ধরণের ফ্রী VPN দিয়ে বেশি দিন কাজ করতে পারবেন না। বিশেষ করে যারা বাংলাদেশ থেকে কাজ করতে চাই তারা পেইড আইপি ছাড়া একদমই কাজ করতে পারবে না। 

সার্ভে করে আয় করার সেরা ওয়েবসাইট সমূহ (Online Survey Website)

আপনার যদি সার্ভে করার জন্য প্রয়োজনীয় সব জিনিস তৈরি থাকে তাহলে এবার আপনাকে কোন একটি ওয়েবসাইটে গিয়ে কাজ করতে হবে যেখানে আপনাকে সার্ভে করার বিনিময়ে টাকা দিবে।
ভালো মানের ওয়েবসাইট সিলেক্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ কারন বর্তমানে অনেক ওয়েবসাইটই স্প্যাম এবং ঠিক মতো পেমেন্ট করে না। আমরা এখন আপনাদের কিছু ওয়েবসাইট শেয়ার করব যে ওয়েবসাইট গুলোর অনেক ভালো রিভিউ আছে। তাহলে চলুন দেখে আসি ওয়েবসাইট গুলো!
 
১) viewpointpanel.com 
সার্ভে করে আয় করার জন্য viewpointpanel একটি ভালো ওয়েবসাইট। এখানে ফ্রিতে খুব সহজে রেজিষ্ট্রেশন করে একাউন্ট খুলতে পারবেন। 
একাউন্ট খুলার পরে আপনাকে সার্ভে ইনভাইটেশন পাঠানো হবে। প্রত্যেক সার্ভের জন্য ০.৫০ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। 
এখানে মিনিমাম পে আউট $১২.৫০। অর্থাৎ ১২.৫০ ডলার হওয়ার পর আপনার টাকা  Paypal এর মাধ্যমে উইথড্র করতে পারবেন। 

২)opinionnow.in
এটি একটি ভারতীয় সার্ভে সাইট। আপনি যদি ভারতীয় হয়ে থাকেন তাহলে এই সাইটটি আপনার জন্য বেস্ট হবে। এখানে আপনি Paytm বা বিভিন্ন কুপোন কোডের মাধ্যমে পেমেন্ট উইথড্র করতে পারবেন। 
এখানে বিভিন্ন কোম্পানিরা পেইড সার্ভে দেয় ঐ সার্ভে গুলোতে তাদের কোন সার্ভিস বা প্রোডাক্টের ব্যাপারে মতামত দিতে বলে। যদি আপনি সঠিক ভাবে সার্ভে কমপ্লিট করতে পারেন তাহলে আপনাকে কিছু কয়েন দিবে যেগুলো পরে উইথড্র করতে পারবেন। 
 
৩)Ysence.com
পেইড সার্ভের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় একটি সাইট হলো Ysence। এখানে আপনি প্রতিদিন অসংখ্য কাজ করতে পারবেন। প্রায় প্রতিদিনই এখানে নতুন নতুন সার্ভে আসে। 
এখানে আপনি সার্ভে করা ছাড়াও আরো অনেক ভাবে আয় করতে পারবেন যেমনঃ- গেম খেলা, ভিডিও দেখা, ছোট ছোট অফার কমপ্লিট করা ইত্যাদি। 
 
আপনি এই সাইট থেকে কত টাকা আয় করবেন তা নির্ভর করবে আপনি কতক্ষন এই সাইটে সময় দিচ্ছেন। কারন এই সাইটে কাজের শেষ নেই। আপনি যদি সময় দিয়ে কাজ সব করতে পারেন তাহলে আসা করা যায় যে আপনি মাস শেষে ভালো অংকের টাকা হাতে পাবেন।  earn money from Survey,
আপনাকে প্রতিটি সার্ভের জন্য এই সাইটটি ০.২ থেকে ২ ডলার পর্যন্ত দিতে পারে। 
এই সাইটের আরেকটি মজার বিষয় হলো এর পেমেন্ট মেথড। এখানে পেপাল এবং পেওনিয়ার এর মাধ্যমে টাকা তুলা যায়। যারা বাংলাদেশ থেকে কাজ করবে তারা খুব সহজে পেওনিয়ার এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবে।

৪)Neobux.com
Neobux হলো অনেক পুরানো একটি ওয়েবসাইট। এটি প্রথানত PTC( pay to click) সাইট। অর্থাৎ বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে আয় করার একটি সাইট কিন্তু এই সাইটটিতে এখন পেইড সার্ভে করে ভালো আয় করা যায়। 
অনেকেই এখন এই সাইট ব্যবহার করে মাসে ভালো আয় করছেন। এই সাইটের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার হলো এখানে রেফারের মাধ্যমে আয় করা যায়। আপনি মানুষকে রেফার করেও আয় করতে পারবেন আবার রেনটেড রেফার নিয়েও আয় করতে পারবেন।

৫)Toluna.com
Toluna একটি জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত পেইড সার্ভে সাইট। অন্যান্য সাইটের মতোই এখানে একাউন্ট খোলা একদম সহজ। একাউন্ট খোলার পরেই আপনি সার্ভেতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 
এখানে প্রতি সার্ভের জন্য আপনাকে কিছু পয়েন্ট দেওয়া হবে। ১০০ থেকে ১০,০০০ পর্যন্ত পয়েন্ট আপনি পেতে পারেন একটি সার্ভে থেকে। 
একটি সার্ভেতে যত বেশি বড় হবে৷ যত বেশি প্রশ্ন থাকবে তত বেশি পয়েন্ট আপনি ঐ সার্ভে থেকে আয় করতে পারবেন।
এই সাইটে সার্ভে করা ছাড়াও আরো অনেক ভাবে কাজ করে পয়েন্ট আয় করা যায়। এবং ঐ পয়েন্টস গুলো পেপাল এর মাধ্যমে উইথড্র করা যাবে।

৬)Swagbucks.com
এটি এমন একটি সাইট যেখানে আপনি নানা ভাবে আয় করতে পারবেন। এড দেখে, ভিডিও দেখে, পেইড সার্ভে করে এমনাকি অনলাইন শপিং করেও swagbucks থেকে আয় করতে পারবেন।
এখানে মোবাইল এপ ইনস্টল করে মোবাইলের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন।। আপনার আয়কৃত টাকা সহজে amazon gift card বা paypal এর মাধ্যমে উইথড্র করতে পারবেন।

৭) Onepoll
সার্ভে জগতে একটি বিখ্যাত সাইট হলো Onepoll। এটির মধ্যে অনেক বড় বড় কোম্পানির সার্ভে থাকে। প্রতিটি সার্ভে কমপ্লিট করতে কমপক্ষে ৩/৪ মিনিট লাগবে এবং একটি সার্ভের জন্য প্রায় ১ ইউরো পাবেন।
আপনার আয় করা টাকা সহজে Paypal এর মাধ্যমে নিতে পারবেন। 

৮) PrizeRebel 
এটি একটি চমৎকার ওয়েবসাইট। এবং এটি খুবই বিশ্বস্ত তার কারন হলো প্রায় ৯ বছরের মতো এটি মার্কেটে আছেন। এবং প্রায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলার এটি পেমেন্ট দিয়েছেন।
এখানে সার্ভে করার পাশাপাশি গেম খেলে এবং রেফার করে আয় করতে পারবেন। এখানের একটি কয়েন প্রায় ১ ডলার সমমূল্যের।
অল্পকিছু কয়েন হয়ে গেলেই আপনি গিফট কার্ডের মাধ্যমে আপনার পেমেন্ট নিতে পারবেন। এছাড়াও পেপালের মাধ্যমেও পেমেন্ট নিতে পারবেন।

৯) I-say 
এটি একটি সার্ভে সাইট যেখানে একাউন্ট খোলার পরে আপনাকে ই-মেইলের মাধ্যমে সার্ভে পাঠাবে। এবং প্রত্যেক সার্ভের জন্য কিছু অর্থ দিবে কত দিবে তা সঠিক ভাবে বলতে পারছি না কারন অনেক সার্ভেতে অনেক বেশি দেয় আবার অনেক সার্ভেতে একদম কম দেয়। এমাজন ভাউচারের মাধ্যমে এটি পেমেন্ট করে থাকে।

১০) Your Survey 
সার্ভের জগতে একটি অন্যরকম ওয়েবসাইট হলো Your survey। এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে ১৩ বছরের বেশি হতে হবে। এবং এখানে কাজ শুরু করার আগে আপনাকে পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হবে।
যতক্ষণ আপনাকে তাদের এই কাজের যোগ্য মনে হবে না আপনি ততক্ষণ কাজ করতে পারবেন না।


অনলাইন সার্ভে করে কত টাকা আয় করা যায়

যারা অনলাইনে সার্ভে করে আয় করতে চান, তাদের অনেকেরই মনে একটা প্রশ্ন থাকে যে, অনলাইন সার্ভে করে কত টাকা আয় করা যায়? এটি সঠিকভাবে বলা খুব মুশকিল। এরকোন নিদিষ্ট কোন হিসাব নেই।
আমি এখন পর্যন্ত অনলাইন সার্ভে করে কোন টাকা ইনকাম করিনি। আমি এই পোস্ট লেখার জন্য বিভিন্ন ব্লগ সাইট ভিজিট করেছি। এবং সেই ওয়েবসাইট গুলোর তথ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু এর জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে এবং অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কিছু কথা

আপনাদের উপরে যে সকল ওয়েবসাইট সম্পর্কে বলেছি সেগুলোর যাবতীয় তথ্য আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছি। কারন আমরা নিজেরা এসব ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনাদের অভিজ্ঞতা জানাব সেই সুযোগ তো আমাদের নেই।
এসব ওয়েবসাইটে কাজ করতে বাংলাদেশিদের অনেক জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে। তার কারন হলো যদি তারা বুঝতে পারে আপনি ফেইক আইপি দিয়ে কাজ করছেন তখন তারা আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড করে দিবে৷
আর অধিকাংশ সার্ভে সাইটে পেমেন্ট মেথড হচ্ছে পেপাল। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে পেপাল সাপোর্ট করে না৷ আর ব্যক্তিগত ভাবে আমি পেইড আইপি কিনে সার্ভে করে আয় করাটাকে পছন্দ করি না। তার কারন হলো এটি সম্পূর্ণ অবৈধ।

আপনি যখন পেইড আইপি কিনবেন তখন আপনি একজন USA বা UK এর অবস্থানরত মানুষ হয়েই কাজটি করবেন কিন্তু আপনি প্রকৃতপক্ষে USA বা UK তে অবস্থান করছেন না৷ যার ফলে আপনি কোন কোম্পানি বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনার ইচ্ছা মতো মতামত দিয়ে সার্ভেতে অংশগ্রহণ করছেন। আপনার এই সার্ভের উপর কিন্তু একটি কোম্পানির অনেক সিদ্ধান্ত নির্ভর করে তাই তারা আপনাকে টাকা দিয়ে সার্ভে করাচ্ছে।
 
কিন্তু আপনি ফেইক আইপি দিয়ে যদি সার্ভে করে আসেন তখন উক্ত কোম্পানিকেই ঠকানো হবে। কাউকে ঠাকিয়ে আপনি হয়ত বেশি দিন টাকা আয় করতে পারবেন না।
আর যারা ভারতে থাকেন তাদের অনেক সুবিধা আছে নিজেদের আইপি ব্যবহার করে সার্ভে করার। আপনারা চাইলে এটি করতে পারেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি কোন সার্ভে সাইট মার্কেটে আসেনি তাই বাংলাদেশিদের জন্য সার্ভে করে আয় করাটা কঠিন।

অনলাইন সার্ভে কি সার্ভে করার নিয়ম ও survey থেকে আয় করার উপায়

অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার বেশ কিছু উপায় থাকলেও অনলাইনে আয়ের সহজ পদ্ধতি অনেক রয়েছে যা ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় করা আরো সহজ করে দেয়। কারন ওয়েব ডিজাইন বা গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা সময় সাপেক্ষ। আমরা যারা টাকা আয় করতে চাই তাদের জন্য সার্ভে করে আয় (online survey for money) করাটা একটা বেষ্ট উপায় হতে পারে।

অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি হিসেবে সার্ভে (Survey) সেরা হওয়ার কারন এর জন্য আপনাকে কোন ট্রেনিং করার দরকার হবে না। তাহলে চলুন সার্ভে কি, সার্ভে করার নিয়ম, এবং Survey করে আয় করার নিয়ম সম্পর্কে কিছু সার্ভে সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর।

সার্ভে কি (What Is Survey): সার্ভে (Survey) শব্দটির বাংলা আভিধানিক অর্থ হলো জরিপ। আমরা বিভিন্ন সময় দেখতে পাই বিভিন্ন লোক আমাদের থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে। বাড়ি বাড়ি এসে বিভিন্ন তথ্য নিয়ে যায়। আবার রাস্তা ঘাটেও এমন মানুষের সাথে অনেকেরই দেখা হয়। মূলত তারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে এই সার্ভে (survey) বা জরিপ করে থাকে। এবং এগুলো সরকার বা বিভিন্ন কোম্পানি দিয়ে থাকে। এবং সার্ভে কাজ করার জন্য যাকে নিয়োগ করা হয় তাকে অর্থ প্রদান করতে হয়।

অনলাইন সার্ভে কি (online survey): তবে অনলাইনে সার্ভে জব (online survey jobs) করে আয় করার জন্য আমাদের আমেরিকান সার্ভে করতে হবে। কারন আমেরিকা যেমন আমাদের দেশ থেকে উন্নত তেমনি তারা প্রযুক্তিগত দিক থেকে আমাদের থেকে অনেক উন্নত। তাই তারা এসব সার্ভে করার জন্য অনলাইন ভিত্তিক সার্ভের আয়োজন করে থাকে।

এসকল সার্ভের কাজ বিভিন্ন কোম্পানি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থের (ডলারের) বিনিময়ে নিয়ে থাকে। তারা তাদের সার্ভে প্লাটফর্মে চাহিদা অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহের সিস্টেম করে দেয়। এবং যেহেতু কেউই ফ্রি-তে তাদের সময় ব্যায় করে সার্ভে করবে না। তাই তাদের জন্য রিওয়ার্ডের ব্যাবস্থা করে। বিশেষ করে এখানে পেপাল ডলার, এমাজন গিফট কার্ড ইত্যাদি দিয়ে থাকে। আর এটাই হচ্ছে সার্ভে এবং সার্ভে থেকে আয় করার উপায়।
[ অনলাইনে আয় করুন একদম সহজ সার্ভে করে সম্পূর্ণ ফ্রিতে! এবং পেমেন্ট নিন আপনার বিকাশ একাউন্টে কোন প্রকার পেপাল বা মাস্টার কার্ড ছাড়াই]

বাংলাদেশ থেকে সার্ভে করে আয় করার উপায়: আমরা সার্ভে থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কিন্তু সমস্যা এখানে একটাই আমরা তো বাংলাদেশে থাকি তাহলে কিভাবে আমরা আমেরিকান সার্ভে করবো। এর সমাধান ও রয়েছে। কারন বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ এই আমেরিকান সার্ভে করে প্রচুর পরিমাণ আয় করছে। তাহলে সার্ভে করে আয় করার জন্য আমাদের কি কি দরকার জেনে নেই-

কম্পিউটার বা ল্যাপটপ (Computer/Laptop)

ইন্টারনেট সংযোগ (Internet Connection)

আমেরিকান রেসিডেন্সিয়াল আইপি - ভিপিএস/প্রোক্সি (USA Residential IP (VPS/Proxy)

একটি আমেরিকান সঠিক ঠিকানা (USA Real Address)

আমেরিকার মোবাইল নম্বর ওয়েব সাইট ভেরিফাই করার জন্য (USA Phone Number for site verification)

পেপাল একাউন্ট (Paypal Account)

এসকল কিছু থাকলেই আপনি আমেরিকান সার্ভের কাজ করতে পারবেন। অনেক সার্ভিস প্রোভাইডার যারা এগুলো সেল করে থাকে। যাদের থেকে আপনি সহজেই এসকল সার্ভিস নিয়ে সার্ভের কাজ করতে পারবেন।

সার্ভে করার নিয়ম বা Survey কিভাবে করবো : সার্ভের করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র গুলো সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখন আসি কি কি শিখতে হবে বা যোগ্যতা থাকতে হবে এ বিষয়ে।  সার্ভে করার জন্য আপনাকে তেমন কিছুই শিখতে হবে না। শুধুমাত্র বিভিন্ন ওয়েব সাইটে একাউন্ট করার যোগ্যতা থাকতে হবে। এবং সাধারণ ইংরেজি জানতে হবে। এর জন্য ইংরেজিতে এক্সপার্ট না হলেও চলবে। মোটামুটি ইংরেজি পড়ার যোগ্যতাই যথেষ্ট।

প্রতিটি সার্ভে করতে ৫-১০ মিনিট সময় লাগবে। এর জন্য ১-৫-১০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন। এবং কতগুলো সার্ভে একটু বড় হয়ে থাকে। কিন্তু এর জন্য বেশি পে করে থাকে। এবং সকল সময়ই কাজ থাকে তাই কাজ নিয়ে কোন চিন্তা করার দরকার নাই।
তবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে যারা Survey করে আয় করতে চাচ্ছেন তাদের রাত জাগার ইচ্ছে থাকতে হবে। কারন অধিকাংশ সার্ভে রাতে বেলায় করতে অর্থাৎ আমেরিকান অফিস টাইমে। আর আমেরিকায় যখন অফিস টাইম আমাদের দেশে রাত। এ কারনেই রাত জাগা একান্তই দরকার।

আপনি এখান থেকে অনায়াসে প্রতিমাসে ১০০-২০০ ডলার আয় করতে পারবেন স্বল্প সময় খরচ করেই। এবং সরাসরি পেপাল থেকে ব্যাংক বা বিকাশে টাকা তুলতে পারবেন।

কিভাবে অনলাইন সার্ভে কাজ করতে হয়

মনে করেন একটি সার্ভে প্রশ্ন করা হলো আপনার জন্ম তারিখ কত, আপনার পরিবারে সদস্য সংখ্যা কত, আপনার ছেলে মেয়ে কয়টি, মাসিক ইনকাম, কোন কোম্পানিতে চাকরি করেন, কি ধরনের কোম্পানি কত ইত্যাদি প্রশ্ন করা হবে আপনাকে উত্তর দিতে হবে।

অনলাইন সার্ভে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে এই Survey কাজ শুধু মাত্র USA দেশের জন্য। এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে তাহল আমি কিভাবে এখানে কাজ করবো? আর এই অনলাইন সার্ভে কাজ করার জন্য কিছু পেইড ভিপিএন বা আইপি লাগবে যা ব্যবহার করে আপনারা বাংলাদেশ থেকে কাজ করতে পারবেন। এই পেইড ভিপিএন বা আইপি টাকা দিয়ে কিনতে হবে, যখন আপনি টাকা দিয়ে পেইড আইপি কিনে আপনার কম্পিউটার বা ফোনের ব্রাউজারে আইপি সেট করবেন তখন আপনার লোকেশন ইউএসএ দেখাবে।

আর যখন আপনার ব্রাউজারের লোকেশন ইউএসএ দেখাবে তখন কিন্তু আপনারা অনলাইন সার্ভে কাজ করতে পারবেন খুব সহজেই।
USA IP অনলাইনে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় আপনারা চাইলে সেখান থেকে একটা ভালো মানের আইপি কিনে কাজ করতে পারেন।ভালো আইপি www.proxyhouse24.com এখান থেকে কিনতে পারেন, অল্প টাকায় ভালো মানের আইপি কিনতে পারবেন। অথবা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দিখতে পারেন অনেক চ্যানেল আছে যারা অল্প টাকায় ভালো মানের আইপি বিক্রি করে।
 
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে আপনি যখন online survey কাজ করবেন তখন যে তথ্যগুলো আপনার কাছে চাইবে সেখানে কিন্তু আপনার তথ্য দিতে পারবেন না, সেখানে একটি (ইউএসএ) USA ফেইক নাম, ঠিকানা দিতে হবে অর্থাৎ অনলাইন থেকে একটি USA Residential Address নিতে হবে। ইউএস এর স্থানীয় লোকেশন বা নাম ঠিকানা সার্ভে কাজ করার সময় দিলে অবশ্যই কাজ হবে।
 
আমি আপনাদের অবশ্যই একটি কথা বলতে চাই আপনি যদি নতুন online Survey সম্পর্কে যেনে থাকেন তাহলে আগেই কাজ করার দরকার নেই আগে আপনি এর সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন ইউটিউবে এসব কাজের অনেক ভিডিও আছে সেগুলো দেখুন বুঝুন তারপর কাজ করুন।
Online Survey এর জনপ্রিয় ইনকাম সাইটের মধ্যে:-
https://www.surveyjunkie.com/
https://www.swagbucks.com/
https://www.ysense.com/

এবার অন্যরকম সার্ভে নিয়ে আলোচনা করব

মানব ইতিহাসের ইতিহাসে সার্ভেয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। প্রাচীনতম রেকর্ড ইঙ্গিত করে যে বিজ্ঞানটি মিসরে শুরু হয়েছিল,
1400 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে, সিজোস্টিস ভূমিগুলি ভূমিগুলিতে ভাগ করে নেয় যাতে কর সংগ্রহ করা যায়।ষ, রোমানরাও সাম্রাজ্য জুড়ে তাদের বিস্তৃত বিল্ডিং কাজগুলিতে একটি প্রয়োজনীয় কার্যকলাপ সমীক্ষায় ক্ষেত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটান।

প্রধান অগ্রগতির পরবর্তী সময় ছিল 18 তম এবং উনবিংশ শতাব্দী, ইউরোপীয় দেশগুলিকে সঠিকভাবে তাদের জমি এবং এর সীমানা চিহ্নিত করতে হবে, প্রায়ই সামরিক উদ্দেশ্যে। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ম্যাপিং এজেন্সি, অর্ডিন্যান্স সার্ভে এই সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং পুরো দেশটিকে ম্যাপ করার জন্য ইংল্যান্ডের দক্ষিণে একক ভিত্তিরেখা থেকে ত্রিভূজ ব্যবহার করা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোস্ট সার্ভে 1807 সালে উপকূলীয় অঞ্চলের জরিপ এবং মেরিটাইম সিকিউরিটির উন্নতির জন্য নটিক্যাল চার্ট তৈরির অনুমোদন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে জরিপ দ্রুত চলছে, বর্ধিত উন্নয়ন এবং সুনির্দিষ্ট ভূমি বিভাগগুলির প্রয়োজন, সেইসাথে সামরিক প্রয়োজনীয়তাগুলির জন্য মানচিত্রের ভূমিকা দিয়ে যন্ত্রচালিত এবং পদ্ধতিগুলিতে অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

সাম্প্রতিকতম অগ্রগতিগুলির মধ্যে একটি হলো স্যাটেলাইট সার্ভেিং বা গ্লোবাল নেভিভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (জিএনএসএস) যা জিপিএস নামে পরিচিত। আমাদের অনেকগুলি একটি নতুন জায়গা আমাদের পথ খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য স্যাট-এনওয়াই সিস্টেম ব্যবহার করে পরিচিত, কিন্তু জিপিএস সিস্টেমের অন্যান্য ব্যবহারের ব্যাপক পরিসর আছে। মূলত 1973 সালে মার্কিন সামরিক বাহিনীর দ্বারা, জিপিএস নেটওয়ার্কটি ২0২00 কিলোমিটারের একটি কক্ষপথে 24 টি উপগ্রহ ব্যবহার করে।

এটি বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য পজিশনিং এবং ন্যাভিগেশন সেবা প্রদান করে যেমন বায়ু এবং সমুদ্রগতির ব্যবহার, অবসরপ্রাপ্ত অ্যাপ্লিকেশন, জরুরি সহায়তা, নির্ভুলতার সময় এবং সরবরাহ প্রদান_ সার্ভেিং যখন তথ্য সুনির্দিষ্ট।

বায়ু, স্থান এবং স্থল ভিত্তিক সার্ভেটিং কৌশলগুলির অগ্রগতির অংশে কম্পিউটার প্রসেসিং এবং স্টোরেজ ক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে আমরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখেছি। আমরা এখন পৃথিবীর পরিমাপের উপর প্রচুর পরিমাণে তথ্য সংগ্রহ এবং সঞ্চয় করতে পারি এবং নতুন কাঠামো নির্মাণ, প্রাকৃতিক সম্পদ নিরীক্ষণ এবং নতুন পরিকল্পনা ও নীতি নির্দেশিকা বিকাশ করতে এই ব্যবহার করতে পারি।

জরিপের ধরন

ভূমি জরিপ:-
ভূমি জরিপের প্রাথমিক ভূমিকাটি জমিটির নির্দিষ্ট স্থানগুলি খুঁজে পেতে এবং চিহ্নিত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, তারা একটি নির্দিষ্ট সম্পত্তি সীমানা জরিপ বা পৃথিবীর একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর স্থানাঙ্ক খোঁজার আগ্রহী হতে পারে।
কাদাস্ট্রাল ভূমি জরিপ:-
এইগুলি ভূমি জরিপের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং ভূমি প্যারাসলের আইনী সীমানাগুলি চিহ্নিত, সনাক্ত, নির্ধারণ, বা বর্ণনা করার সাথে সম্পর্কিত, প্রায়ই ট্যাক্সের উদ্দেশ্যে।
টপোগ্রাফিক জরিপ: ভূগর্ভস্থ পরিমাপের পরিমাপ, প্রায়ই কনট্যুর বা টপোগ্রাফিক মানচিত্র তৈরির উদ্দেশ্যে।

জিওডেটিক সার্ভে:-
ভূগোলের আকার, আকৃতি ও মাধ্যাকর্ষণকে বিবেচনা করে ভূতাত্ত্বিক জরিপগুলি একে অপরের সাথে পৃথিবীতে বস্তুর অবস্থান সনাক্ত করে। এই তিনটি বৈশিষ্ট্য আপনি পৃথিবী পৃষ্ঠের উপর নির্ভর করে এবং যদি আপনি বড় এলাকায় বা লম্বা লাইন জরিপ করতে চান পরিবর্তন করতে বিবেচনা করা প্রয়োজন পরিবর্তিত হতে পারে।
জিওডেটিক সার্ভেগুলি খুব সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করে যা অন্যান্য ধরনের জরিপের নিয়ন্ত্রণ মূল্য হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

প্রকৌশল জরিপ:-
প্রায়ই নির্মাণ জরিপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, প্রকৌশল জরিপের মধ্যে প্রকৌশল প্রকল্পের জ্যামিতিক নকশা অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যেমন ভবন, সড়ক ও পাইপলাইন প্রভৃতি বৈশিষ্ট্যগুলির সীমানা নির্ধারণ করা।
Deformation Surveying:- এই সার্ভেগুলি একটি ভবন বা বস্তু চলছে কি না তা যাচাই করার উদ্দেশ্যে করা হয়। সুদের এলাকার নির্দিষ্ট পয়েন্টের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় এবং নির্দিষ্ট সময় পরে পুনরায় পরিমাপ করা হয়।

জলবাহী জরিপ:-
এই ধরনের সার্ভে নদী, হ্রদ ও সমুদ্রের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে সংশ্লিষ্ট। সার্ভে সরঞ্জাম একটি চলমান জাহাজ বোর্ডে হয় পূর্ব নির্ধারিত ট্র্যাক অনুসরণ করে যাতে সমগ্র এলাকাটি আচ্ছাদিত হয়।
প্রাপ্ত তথ্য ন্যাভিগেটর চার্ট তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়, গভীরতা এবং পরিমাপ জোয়ারের স্রোত নির্ধারণ করে। হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভেিং এছাড়াও জল সরবরাহ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয় যেমন তেল পাইপলাইন স্থাপন হিসাবে।

একটি সার্ভেয়ার হিসাবে কাজ:-
একটি জ্যামাইম্যাটিক সার্জারি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়তা দেশ থেকে ভিন্ন ভিন্ন। অনেক জায়গায়, আপনি একটি লাইসেন্স প্রাপ্ত এবং / অথবা একটি পেশাদারী সমিতি সদস্য হতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, লাইসেন্সিং প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন রাজ্য এবং কানাডায় পরিবর্তিত হয়, জরিপকারীরা তাদের প্রদেশে নিবন্ধিত হয়
বর্তমানে, যুক্তরাজ্যে যোগ্য ভূমি / জ্যামিতিক জরিপকারীদের দুর্ভোগের কারণ রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনেক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্য লড়াই করা হয়েছে।

ইউ কে, একটি স্নাতক জরিপকারী এর শুরু বেতন সাধারণত £ 16,000 এবং £ 20,000 এর মধ্যে রেঞ্জ। এটি £ 27,000- £ 34,000 ($ 42,000- $ 54,000) হতে একবার উঠতে পারে যখন চার্টার্ড অবস্থা অর্জন করা হয়। চার্টার্ড অবস্থা রয়্যাল ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড সার্ভেয়ার অথবা চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভেয়ার থেকে প্রাপ্ত হয়। একটি মাস্টার ডিগ্রী দরকারী কিন্তু অপরিহার্য নয়।

স্নাতকোত্তর যোগ্যতা এছাড়াও শিল্পের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় যেমন জিওডেটিক সার্ভে বা ভৌগোলিক তথ্য বিজ্ঞান হিসাবে বিশেষজ্ঞতা সুযোগ সুযোগ করে দেয়। একটি ভিত্তি ডিগ্রী বা উচ্চতর ন্যাশনাল ডিপ্লোমা সহ শিল্পের প্রবেশাধিকার যেমন সহকারী জরিপকারী বা একটি সম্পর্কিত প্রযুক্তিবিদ ভূমিকা হিসাবে নিম্ন স্তরে সম্ভব।

শেষ কথা

অনলাইন সার্ভে করে আয় করাটা কখনোই কারো জন্য স্থায়ী কোন কাজ বলে আমি মনে করি না। কিন্তু তাও অনেকেই এটাকে স্থায়ী দাবি করে এবং অনেক পেমেন্ট প্রুফও দেখায়।
যাই হোক আমি এসব নিয়ে বির্তকে যেতে চাই না যদি আপনি আমার পুরো পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনি নিজেই বুঝার কথা এই বিষয়ে। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ “সার্ভে কি ও সার্ভে করে আয়” পোস্টটি এতক্ষণ পড়ার জন্য।
 

Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

 

Post a Comment

0 Comments