ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় | ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায়

স্টুডেন্ট লাইফে ইনকাম

ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় | ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায়

ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্যে কি কি অনলাইন কাজ রয়েছে

ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় । ছাত্রদের টাকা ইনকাম করার উপায়
বাংলাদেশের পেক্ষাপটে ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় তুলনামূলক ভাবে কমই আছে যার অন্যতম কারন আমাদের দেশের মানুষেরা ছোট ছোট কাজ গুলোকে প্রায় অবজ্ঞা করে যায়। বাইরের কোনো উন্নত দেশ গুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে সেখানের প্রায় প্রতিটি ছাত্র নিজের হাত খরচের টাকা কোনো না কোনো কাজ করার মাধ্যমে উপার্জন করে থাকে। স্টুডেন্ট অবস্থায় আয়ের উপায়


তবে আমাদের দেশের চিত্র যে একেবারেই তেমন নয় সেটা বলাও যাবে না। কারন আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা নিজের খরচ নিজে বহন করে ছাত্র থাকা অবস্থায়। তাহলে তারা করে কি? সেই ছোট খাটো কাজ? হ্যা অবশ্যই তবে সেসব কাজ যা একজন শিক্ষার্থীকে করা মানন্সই হবে। ছাত্র জীবনে অভিজ্ঞতা ছাড়াই আয় করার পদ্ধতি


জানতে ইচ্ছুক সেসব কাজ সম্পর্কে? তবে পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ুন কারন এবারের আলোচনা থাকলে গুরুত্বপূর্ণ টপিকটি “ ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় “ এবং থাকবে এই পথে আসলে কি করা উচিৎ কি ভালো হবে কি খারাপ হবে সহ খুটিনাটি সকল বিষয়। ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়


ছাত্র জীবনে আয় করা কি ঠিক হবে

এই প্রশ্নের জবাবে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে। প্রথমত বুজতে হবে কেনো আপনার আয় করা প্রয়োজন? বেশির ভাগের ক্ষেত্রে যা হয় তা হচ্ছে আর্থিক ভাবে সচ্ছলতা আনা। যদি আপনি আর্থিক ভাবে অসচ্ছল হয়ে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই উচিৎ হবে ছাত্র জীবন থেকেই আয় করার প্রবণতা নিজের মধ্যে ডেভেলপ করা।

এরপর আরেকটি কারন হচ্ছে, কাজ করার মাধ্যমে আপনি একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি বাইরের বাস্তব জীবনে কি হচ্ছে না হচ্ছে সে বিষয়ে জেনে নিজেকে তেমন ভাবে গড়ে তোলা যেমনটা হলে ছাত্র জীবন পার করার পর আর কোনো সমস্যায় পড়তে না হয় দক্ষতা মূলক।

বর্তমানে এটা আমরা সবাই জানি যে, যেকোনো জবের জন্য এপ্লাই করলে প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় দক্ষতা সম্পর্কে। যে যত বেশি দক্ষ, চাকরি বাজারে সে তত বেশি সফল। আর তাই ছাত্র জীবন থেকেই যদি স্কিল ডেভেলপমেন্টের কাজে লেগে থাকেন তবে দিন শেষে সেটা আপনার জন্য অবশ্যই একটা হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপিত হবে।

তাছাড়াও আরো অনেক বিষয় আছে যার জন্য ছাত্র জীবন থেকেই কাজ করা শুরু করা উচিৎ। এটা অনেকেই শুনেছি যে কোনো কাজকে ছোট করে দেখা উচিৎ নয়। তবে আপনি যদি ছোট কোনো কাজ করতে যান তবে সেই লোকেরাই কিন্তু আড়ালে আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করবে। এক্ষেত্রে হয় আপনার সমালোচনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে সে সকল কাজ করা উচিৎ যেগুলো আপনার আর্থিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে। নয়তো এমন কাজ করা উচিৎ যা আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানিয়ে যায়।

তাই আজ এমন বেশ কিছু কাজের সন্ধান দিবো যেগুলো মোটামোটি সব ধরনের মানুষের জন্য মানন্সই এবং সহজেই সেগুলো করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। আপনি জানছেন ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে। তবে শুরু করা যাক। Ways to earn in student life.

ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় গুলো

এখানে যে কাজের কথা বলবো সেগুলোর মধ্যে কিছু কাজ এমন যেখানে স্কিলের প্রয়োজন হবে বেশ করে। আবার কিছু কাজ হবে এমন যা ছাত্র অবস্থায় আপনি সহজেই করতে পারবেন। একাধিক ক্যাটাগরির কাজের খোজ দিবো এখানের মধ্যে যেটা আপনার কাছে পছন্দের সেটা সিলেক্ট করতে পারেন। উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে সেই কাজের ব্যাসিক ধারনটা নিন, পরবর্তীতে সেই কাজ কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যও বাংলা আলো ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।

একটা ছাত্র হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে একটা বিষয় সর্বদা স্মরণ রাখতে হবে যে, আপনি কেবল ব্যাসিক আয় করার জন্যই বা দক্ষতা অর্জনের জন্যই কাজ করছেন। কাজ করাটা মোটেও আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য নয় এই মুহুর্তে। Ways to earn money at home,

তাই এমন কাজ সিলেক্ট করা যাবে না যেই কাজে বেশি সময় বিনিয়োগ করতে হয়। আপনার পড়াশোনার ব্যাপারটা ঠিক রেখে যেটুকু সময় ফ্রি থাকবে সেই সময়টুকুই কাজে লাগিয়ে কিভাবে আয় করতে হয় সেটা জানার বিষয়। তাই এই তালিকার কাজ গুলো নির্ধারন করা হয়েছে এমন ভাবে যা একজন ছাত্রের দ্বারা করা সম্ভব।

কাজ গুলোকে দুই ভাবে ভাগ করেছি যার একটি হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক যা করার জন্য আপনাকে কোথাও যেতে হবে না। ঘরে বসে যেকোনো সময়ে উক্ত কাজ গুলো করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা পিসি থাকা প্রয়োজন সাথে ইন্টারনেট।

অন্যদিকে রেখেছি অফলাইন ভিত্তিক কাজ যেগুলো করার জন্য অবশ্যই ঘরের বাইরে যেতে হবে। ল্যাপটপ, কম্পিউটার থাকা গুরুত্বপূর্ণ না তবে এই কাজ গুলোতে তুলনামূলক ভাবে বেশি কষ্ট হয়ে থাকে। তবে আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি চলে যাই সেই কাজ গুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে।
ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় । অফলাইন ভিত্তিক কাজৎ, ঘরে বসে মোবাইলে আয়


টিউশন করা
আমরা সাভাবিক ভাবে এটা জানি যে ছাত্র অবস্থায় সবচেয়ে বেশি যে কাজ করা হয়ে থাকে উপার্জনের জন্য তা হলো টিউশন। টিউশন পড়ানো একদিনে যেমন আর্থিক সচ্ছলতা আনার কৌশল অন্যদিকে এটা বেশ জ্ঞান অর্জনের উপায়ও। যারা প্রতিনিয়ত পড়াশোনার মধ্যে থাকতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই উক্ত কাজটি করতে পারেন।

কেনো করবেন টিউশন? কারন উক্ত কাজে দিনে আপনাকে বেশি সময় ব্যয় করতে হবে নাহ। নিদিষ্ট একটা সময়ে টিউশন করাবেন। এবং কখনই অতিরিক্ত টিউশন করানোর কথা মাথায় আনবেন না, স্পেসিফিক কোনো সংখ্যা বলছি না কারন সবার টাইমিং এক রকমের নয়। আপনার নিজের ফ্রি সময় অনুযায়ী এটা নির্ধারন করবেন যে আপনি ডেইলি কয়টি টিউশন করাতে পারবেন।

টিউশন কোথায় পাবো? বর্তমানে এটা পাওয়া আহামরি কোনো কাজ নয়। আপনি কি টিউশনের জন্য লিপলেট লাগাবেন বিভিন্ন স্থানে? মোটেও না, এটা এক সময় কার্যকর ছিলো কিন্তু এখন আর নয়। এর জন্য আপনি সোসাল মিডিয়ায় চোখ রাখতে পারেন।এখন অনেক টিউশন মিডিয়া প্লাটফর্ম গড়ে উঠেছে। আপনি যে এরিয়াতেই থাকেন না কেনো, ফেসবুকে সেই লোকেশনের নাম লিখে টিউশন মিডিয়া এড করে সার্চ করলেই অসংখ্য পেজ, গ্রুপ এসে পড়বে। যেখানে প্রতিনিয়ত টিউশনের খোজ পাওয়া যায়। যদিও তাদের নিদিষ্ট পরিমানের অর্থ চার্জ করতে হয় তবে পাওয়া যায় সহজেই এটাই কম কি। তাছাড়া আপনার আত্মীয় এবং বড় ভাইদের জানিয়ে রাখলে তাদের থেকেও টিউশনের অফার আসবে।

পার্ট টাইম জব
শুনতে বেশ পরিচিত মনে হচ্ছে? হ্যা ছাত্র হিসেবে আপনি পার্ট টাইম জন বেছে নিয়ে পারেন। ফুল টাইম করতে হয় এমন কাজ তো কখনই করা যাবে না। আবার পার্ট টাইম জব গুলো তারাই করবেন যারা ইউনিভার্সিটি লেভেলে পড়াশোনা করছেন। স্কুল বা কলেজের ছাত্রদের জন্য এই কাজ মোটেও ঠিক হবে নাহ। বিশেষ করে যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন তারা বিভিন ধরনের পার্ট টাইম জব করতে পারেন।

প্রশ্ন হচ্ছে পার্ট টাইম জব তো করবো কিন্তু কাজ কি হবে? আসলে পার্ট টাইম অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যা এক এক করে বলতে গেলে প্রচুর বড় হয়ে যাবে আর্টিকেল এবং এক আর্টিকেলে বলা সম্ভব নয়। তবে পার্ট টাইম জবের তালিকা চাইলে ওয়েবসাইটে দেখতে পারেন। তবে বিভিন্ন জব পোর্টাল সাইট গুলো প্রায়ই পার্ট টাইম জবের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় জব পোর্টাল সাইট বিডিজবস এ দেখে নিয়ে পারেন এখন কোন কোন জবের পার্ট টাইম Opurtunity রয়েছে।

শো রুমের সেলস ম্যান
ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে যারা মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করছে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো কাজটি হচ্ছে বিভিন্ন শো রুম গুলোতে সেলস ম্যানের কাজ করা। এতে একাডেমিক ব্যাপার গুলোর সাথে কাজেরও মিল খুজে পাবে। কাজ করতে ভালো লাগবে।

তাছাড়া কেবল শো রুম গুলোতেই নয় বরং প্রতিটা কোম্পানির SR হওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে যা পরবর্তীতে নিজের সিভিতেও এড করা যাবে। দক্ষতামূলক কোনো কাজ করার মাধ্যমে আয় করতে চাইলে সেলস ম্যানের কাজটি বেশ ভালো।

শো রুমের দিক থেকে বাংলাদেশর পেক্ষাপটে – এপেক্স, বাটা, আড়ং, টপ ওয়ান, ফর ইউ, প্রাণের বেস্ট বাই, ভিশন, ওয়ালটন এর শো রুম গুলোর ব্যবস্থা খুব ভালো এবং তুলনামূলক সম্মান দেয়া হয় একাজে। বিভিন্ন সময় পার্ট টাইম এবং ফুল টাইম কাজের অফার দিয়ে থাকে এসব শো রুম গুলো আপনি যদি ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে থেকে থাকেন তবে এই কাজ গুলো ট্রাই করতে পারেন।

ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় । অনলাইন ভিত্তিক কাজ
অনলাইনের বেশির ভাগ কাজই স্কিলের উপর নির্ভর করে। অনলাইনে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে জিজ্ঞাস করা হবে না যে আপনি কোন ক্লাসে পড়েন বা কোন ইন্সটিটিউড থেকে পড়ালেখা করতেছেন। এখানে শুধু দেখা হয় যোগ্যতা আপনি কোন কাজ সবচেয়ে ভালো পাবেন সে ব্যাপার গুলো এখানে মূখ্য। এখন কথা হচ্ছে কোন বিষয়ের স্কিল বা কাজের ধরন গুলো কি? সেগুলো নিয়ে বলছি –

ব্লগিং বা ইউটিউবিং
আপনি এই আর্টিকেলটি যেখান থেকে পড়ছেন সেটা একটা ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটি যদি একক ভাবে কোনো একজন তার ব্যক্তিগত জ্ঞান, আইডিয়া শেয়ার করতো তাহলে সেটাকে ব্লগ বলা হতো। যদিও একটা ব্লগ একাধিক লোক দ্বারাও পরিচালিত হতে পারে। অন্যদিকে ইউটিউব নামক যে প্লাটফর্মটি রয়েছে সেখানে প্রতিদিন অসংখ্য নতুন ভিডিও আপলোড করা হচ্ছে এসব ভিডিও গুলো তারা কেন তৈরি করে আপলোড করছে বা এই সকল ওয়েবসাইটে কেনো এতো কষ্ট করে আর্টিকেল আপলোড করছে? করছে কারন এখান থেকে আয় করার ব্যবস্থা রয়েছে। জানুন ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত।

আপনি যেকোনো বিষয়ে উক্ত কাজ গুলো করতে পারেন, হতে পারে সেটা ভিডিও আকারে উপস্থাপন অথবা লিখার মাধ্যমে। উক্ত সাইট গুলো থেকে গুগলের এডসেন্স পলিসির মাধ্যমে এডভার্টাইজ দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে কিভাবে আয় করা যায় তা দেখে শিখে নিন।

কন্টেন্ট রাইটিং
কন্টেন্ট রাইটিং এর মাধ্যমে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আয় করছে শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন লেভেলের শিক্ষার্থী তাদের জানা বিষয় গুলোর উপর লিখে ফেলছে আর্টিকেল এবং সেই আর্টিকেলের মাধ্যমে করছে আয়। কন্টেন্ট কি? যেকোনো জিনিস,যে কোনো বিষয় কন্টেন্ট হতে পারে যদি সেটা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা যায়। তবে হ্যা কন্টেন্ট রাইটিং একটা মহা জ্ঞানের ব্যাপার। যেসকল শিক্ষার্থীরা পরিক্ষার খাতায় লিখতে পারে না তারা অবশ্যই এখানেও লিখতে পারবে না।

তবে হ্যা বিষয়ের উপর কেন্দ্র করে অনেক কিছু নির্ভর করে। হতেই পারে একজন শিক্ষার্থী একাডেমিক পড়াশোনায় ভালো না তবে অন্যান্য সেক্টর তার অঢেল জ্ঞান। সে চাইলেই তার জ্ঞানের বিষয়টা লিখে কন্টেন্ট তৈরি করতে পারে। কন্টেন্ট যে কেবল আর্টিকেল লিখা সেটাও আবার নয়। এর মধ্যে রয়েছে ব্লগ পোস্টিং, নিউজ আর্টিকেল, কপি রাইটিং সহ আরো অনেক শ্রেনী বিভাগ। আপনি চাইলে একটি বা একাধিক শ্রেনী নিতে কাজ করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনাকে শিখতে হবে।

কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজটা এমন না যে যেকোনো বিষয়ে যেকোনো ভাবে লিখে ফেললাম আর হতে গেলো, বরং এটার সাথে জরিত খুঁটিনাটি সকল বিষয় জানতে হয় যার মধ্যে Must Be লাগবে SEO এর জ্ঞান। যাই হোক এই আর্টিকেলে কন্টেন্ট রাইটার হওয়া পুরোটা বলছি নাহ। আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর উপর ইন্টারেস্টেড হলে শিখে নিতে পারেন।

তবে যেটা অবশ্যই বলবো তা হলো ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় হিসেবে কন্টেন্ট রাইটিং সব সময় সেরা। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ রয়েছে তেমনই আয় করার। যদি আপনি এই কাজে দক্ষ হয়ে ডেইলি ৩ থেকে ৫ ঘন্টা সময় দেন তবে মাস শেষে আপনার পকেটে অনায়াসেই ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা এসে পড়বে এই একটা কাজের মধ্য দিয়েই। এর জন্য অবশ্যই আপনাকে পাঠের পিপাসু হতে হবে এবং প্রচুর ধৈয্যের প্রয়োজন হবে।

অনলাইনে ছোট খাটো কাজ গুলো করা।
আমাদের বাস্তব জীবনটা যতই বড় হোক না কেনো অনলাইনে এটা মহাবিশ্ব যার শুরু তো আপনার নিজের হাতে থাকা স্মার্টফোন থেকে কিন্তু শেষ কোথায় তা কেউ জানে না। অনলাইনের জগৎ এ নেই এমন কোনো বিষয়ই নেই। সে ক্ষেত্রে অনলাইনে আয় করা যাবে না এমন কোনো কাজই নেই। তবে সব কাজ তো আর আপনি স্টুডেন্ট থাকা কালীন সময়ে করতে পারবেন না। যে কাজ গুলো করতে পারবেন এবং বেশি সময় খরচ বা আহামরি দক্ষতা লাগবে নাহ তেমন কাজ হচ্ছে

সিপিএ মার্কেটিং
সিপিএ এর পুরো নাম হচ্ছে Click Per Action যার মানে হচ্ছে প্রতিটি একশন কমপ্লিটের মাধ্যমে আয় করা। ওয়েট এখানে মোটেও মারামারি টাইপ একশনের কথা বোঝানো হয়নি। এখানে একশন বলতে কাজ করাকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ছোট খাটো কাজ যেমন : ইমেইল তৈরি করা, ভিডিও দেখা, লাইক দেয়া, সাবস্ক্রাইব করা, এডস এ ক্লিক করা, অ্যাপ ডাউনলোড করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করার মত কাজ যা রেগুলারই আমরা করে থাকি।

এসব করার মাধ্যমে আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। এই কাজে আহামরি স্কিল বা জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না কেবল ব্যাসিক লেভেলের ব্রাউজিং করার মত জ্ঞান থাকলেই হয়। ছোট খাটো এই কাজ গুলো করার মাধ্যমে বেশ ভালো পরিমানের অর্থ আয় করার সুযোগ রয়েছে। \

নিজের মত করে যেকোনো ফ্রি সময়ে উক্ত কাজ গুলো করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম হওয়ায় পেমেন্ট গ্রহনে অবশ্যই ডুয়েল কারেন্সির একাউন্ট অথবা পেওনিয়র প্রয়োজন পড়বে। তবে কাজ গুলো খুবই ব্যাসিক তাহলে সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সহজেই কাজ শুরু করে আয় করতে পারবেন উক্ত সাইট গুলো থেকে।

ফোটোগ্রাফি করে আয়
আপনার ক্যামেরা আছে? ছবি তোলাটা খুব পছন্দ? বেরিয়ে পড়ুন তাহলে সখের কাজটি করতে। কারন সখের কাজের মাধ্যমেও আয় করার সুযোগ থাকবে এখন থেকে। অনলাইনে এমন অনেক প্লাটফর্ম আছে যেখান থেকে ফোটোগ্রাফিক্যাল ছবি বিক্রি করে করতে পারবেন। সেসব প্লাটফর্ম থেকে যেই আপনার ছবি কিনে থাকবে ওই মূল্যের থেকে শতাংশ হারে আপনাকে দেয়া হবে। প্যাসিভ ইনকামের জন্য এই কাজটি বেশ ভালো আজীবন আয়ের সুযোগ গড়ে উঠবে এই মাধ্যমে।

ঘুড়তে গিয়ে, ফ্রি সময়ে, ইনডোর আউটডোর লোকেশনে এমন ছবি তুলবেন যা কেউ তার ব্যবহারের জন্য ব্যবহার করতে চায় ব্যাস হয়ে গেলো আপনার কাজ। তবে আপনি যদি জানতে চান কিভাবে ফোটোগ্রাফি করে আয় করা যায় তার বিস্তারিত তাহলে সেটি আমাদের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন।  

গেম খেলে আয়

গেম খেলে আয় করা যায় ব্যাপারটা হাস্যকর লাগছে না? লাগলে লাগুক তবে যখন বুজতে পারবেন ব্যাপারটা আসলেই সত্যি তখন আর লাগবে নাহ। জী  অনলাইনে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন তাও আবার স্রেফ মোবাইলে গেম খেলার মাধ্যমে। কোনো ধরনের প্রোফেশনাল স্কিলের প্রয়োজন নেই কেবল ব্যাসিক কিছু গেম খেলার মাধ্যমেই আয় করা যাবে।

এমন কেউ কি আছে যে মোটেও গেম না খেলে থাকে? তবে যেখানে গেম খেলার মাধ্যমেও আয়ের ব্যবস্থা আছে সেক্ষেত্রে মন্দ কি? নিজের ফ্রি সময়ে বিনোদোনের ছলেও আয় করা যাবে। যদিও আয়ের পরিমাণ এই ক্ষেত্রে বেশি হবে নাহ তবুও যা হয় তাই। এবার প্রশ্ন হচ্ছে কোথায় ও কি গেম খেলার মাধ্যমে আয় করা যাবে বা কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে তা জানতে ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

রেফার করে আয়
কোনো কাজ করার জন্য কাউকে বলাকে সাধারণত রেফার বলে থাকি। আপনি কি জানেন উক্ত কাজের মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব। জী হ্যা অনলাইনে আয় করার যত মাধ্যম রয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো রেফার করে ইনকাম। কেউ কেউ হয়তো ধারনা করতে পারছে আবার কেউ কেউ বুজতে পারছে না রেফার করে ইনকাম কিভাবে করা যায় বা এটা কিভাবে কাজ করে। তবে কোনো সমস্যা নেই কারন এবারে প্রতিটা বিষয় সম্পর্কে জানাবো যে রেফার কি, কিভাবে কাজ করে, কিভাবে, কাদের  ও কোথা থেকে রেফার করবেন। এর জন্য রেফার করে ইনকাম করা বিষয়ক আর্টিকেলটি দেখে নিন।

ছাত্র অবস্থায় ইনকাম | ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন
ছাত্র অবস্থায় ইনকাম | ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন - জীবনের একটি মহামূল্যবান অধ্যায় হলো ছাত্র জীবন । অনেকে এই সময়টাকে হেলাফেলায় নষ্ট করে । পড়াশোনার পাশাপাশি কাজের সাথে যুক্ত থাকলে নানারকম দক্ষতার সাথে সাথে সময় এর ব্যাপারে সচেতন হওয়া যায়, আর আয় হয় বাড়তি কিছু টাকা যা পরবর্তী জীবনের জন্য তৈরী হয় বিভিন্ন রকম আয়ের রোড ম্যাপ বা সুযোগ ।

আজকের ব্লগ পোস্টে যারা ছাত্র তাদের জন্য একটি অতি উপকারি বিষয় আলোচনা করা হলো । আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে “ছাত্র অবস্থায় ইনকাম | ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন” । তো বন্ধুরা, ছাত্রজীবনে অর্থ উপার্জনের কিছু উপায় নিম্নে বর্ণনা করা হলো ।

ছাত্র অবস্থায় ইনকাম | ছাত্র জীবনে অর্থ উপার্জন

কিভাবে ছাত্র অবস্থায় ইনকাম করা যায়

বর্তমান সময়ে অনেক ছাত্রই ইনকামের সাথে জড়িত । আবার অনেক ছাত্রই জানতে চান যে কিভাবে ছাত্র থাকা অকস্থায় সহজে ইনকাম করা যায় । তাদের কথা চিন্তা করে আজকের এই ব্লগ পোস্ট লেখা । ছাত্র থাকা অবস্থায় কিভাবে ইনকাম করা যায় তার কয়েকটি আইডিয়া নিচে দেওয়া হলো ।

ছাত্র অবস্থায় আপনি দুই ভাবে ইনকাম করতে পারবেন ----

অনলাইন ছাড়া ইনকাম (Without online)
অনলাইন থেকে ইনকাম (With online)

ছাত্র অবস্থায় অনলাইন ছাড়া ইনকাম এবং অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব । চলুন প্রথমে দেখে আসি কিভাবে আপনি ছাত্র অবস্থায় অনলাইন ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন ।

অনলাইন ছাড়া ইনকাম
আপনার যদি কোনো প্রকার স্কিল না থাকে তাহলে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন না । তাই বলে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবেন । অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য স্কিল তৈরীর পাশাপাশি অনলাইন ছাড়া ইনকাম ইনকাম করতে পারেন । তো বন্ধুরা কি কি উপায়ে অনলাইন ছাড়া ইনকাম করতে পারবেন তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো ----

টিউশনি করে আয়
ছাত্র অবস্থায় পড়াশোনার পাশাপাশি সবচেয়ে উত্তম ও সম্মানের পেশা হলো টিউশনি । এর সব থেকে বড় উপকারিতা হচ্ছে বোঝানোর ক্ষমতা, নিজের ধারণা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি । এছাড়া আপনি ছাত্র অবস্থায় নিকটস্থ কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতে পারেন ।

মোটিভেশনাল
কোচিং সেন্টার করে আয়

পড়াশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত সময় থাকলে কোচিং সেন্টার খুলতে পারেন । এতে একসঙ্গে বেশি শিক্ষার্থীদের পড়ানো এবং বেশি অর্থ উপার্জন করা যায় ।

রাইডার করে আয়
নিজস্ব বাইক থাকলে পাঠাও, উবার ইত্যাদিতে রাইডার হিসেবে যুক্ত হয়ে বা চুক্তিতেও বেশ ভাল আয় করা যায় । এছাড়াও বাইকে কুরিয়ার এর জিনিসপত্র গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমেও (বাইক মেসেঞ্জারিং) অর্থ আয় করা যায় ।

ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করে আয়
যে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনের দক্ষতা থাকলে ফুড ফেস্টিভ্যাল, কর্পোরেট ইভেন্ট, কালচারাল প্রোগ্রাম ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে ।

এজেন্ট হওয়া করে আয়
বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট কমিশন এজেন্ট নিয়োগ করেন । ছাত্রজীবনে চাইলে এ ধরনের কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন ।

খণ্ডকালীন চাকরি করে আয়
বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, সুপার শপ, ফ্যাশন হাউজ উৎসব বা মেলায় খন্ডকালীন লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে, সেখানে যথেষ্ট কাজ করার সুযোগও থাকে । তাছাড়া বিভিন্ন কল সেন্টার, এনজিও, কর্পোরেট হাউস বা রিসার্চ ফার্মগুলো মাঝে মাঝে খন্ডকালীন কর্মী নিয়োগ করে, সে সুযোগও কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে ।

অনলাইন থেকে ইনকাম

ছাত্র থাকা অবস্থায় অনলাইন থেকে ইনকাম একটি মক্ষম উপায় । তাহলে এবার চলুন দেখি অনলাইনে ছাত্রজীবনে কোন কোন উপায় আয় করা সম্ভব ----

লেখালেখি করে আয়

ভালো লেখার হাত থাকলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কনটেন্ট রাইটার হিসাবে কাজের সুযোগ রয়েছে । এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন এবং দৈনিক পত্রিকাগুলোতেও লেখালেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায় ।

অনুবাদ করে
আয়
বিদেশি ভাষায় দক্ষতা থাকলে নিবন্ধ, ওয়েবসাইট কন্টাক্ট, সংবাদ ইত্যাদি এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে ঘরে বসেই অর্থ আয় করা যায়, যা ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সহায়ক ।

ইউটিউবিং ও ফেসবুকিং করে আয়
বিভিন্ন আকর্ষণীয় বিষয়ে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে বা ফেসবুকে পেজ তৈরী করে বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যায় ।

ফ্রিল্যান্সিং/ আউটসোর্সিং করে আয়
কম্পজ, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইনিং সহ ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা থাকলে সে বিষয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করে সহজে স্বাবলম্বী হতে পারেন ।

ফটোগ্রাফি করে আয়
ছবি তোলা কারো শখ হয়ে থাকলে পড়াশোনার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করা যেতে পারে । এক্ষেত্রে অনলাইনে ছবি বিক্রি বা বিবাহ, জন্মদিন সহ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ছবি তুলেও অর্থ উপার্জন করা সম্ভব ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন/ ভিডিও এডিটিং
গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং এ ভালো দক্ষতা থাকলে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো, ওয়েবসাইট ব্যানার, ছবি সম্পাদনা, বিজ্ঞাপন তৈরি, এনিমেশন ইত্যাদি কাজ করে সহজেই স্বাবলম্বী হওয়া যায় ।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও অ্যাপস তৈরি
এখন ওয়েবসাইট বানিয়ে গুগল এডসেন্স থেকে অর্থ উপার্জন করা যায় । সেই সাথে কোনো প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইট বা কাজের সফটওয়্যার- অ্যাপস তৈরীর মাধ্যমেও যথেষ্ট উপার্জন করা সম্ভব ।

প্রডাক্ট রিভিউ করে আয়

অনলাইনে পণ্য কেনার আগে পণ্যের চাহিদা থাকায় এখন অনলাইন পণ্য রিভিউ লিখে মোটা অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।

ছাত্র জীবন ৩টি বড় ভূল সম্পর্কে জেনে নিন!


১. প্রতি মাসে অল্প অল্প করে টাকা জমানো
২. পর্যাপ্ত ধর্য ধরে থাকুন
৩. নিজের দক্ষতা প্রমান করতে হবে
 
ছাত্র জীবন ৩টি বড় ভূল সম্পর্কে জেনে নিন
প্রতিটা ছাত্র ছাত্রী জীবনে কোনো বড় ভুল করেছে। যা একজন ছাত্রের সামনের ভবিষ্যতের জন্য বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। যে ভুলগুলো কখনো সুধরানো জায় না। আজকে আমি এমনই ৩টি বড় ভুল সম্পর্কে আলোচনা করবো।

আপনি যদি ১২-১৮ বছর বয়সী হয়ে থাকে তাহলে এই প্রতিবেকদটি আপনার জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কারণ এই প্রতিবেদনে আপনি অভিষ্যতে কি বড় ভুল করতে চলেছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে দেরি না করে শুরু করা যায়।

ছাত্র জীবন
ছাত্র জীবন সফল হওয়া সহজ কাজ নয়। নারী বা পুরুষ যেকোন মানুষের জন্যই কঠিন কাজ সেটি। একজন নারীর জন্য সেটা আরো কঠিন। কিন্তু সফল আর জ্ঞানী হিসেবে পরিচিত বিশ্বের কয়েকজন বিখ্যাত নারী বলছেন জীবনে কয়েকটি মূলমন্ত্র অনুসরণ করতে পারলে তা যে কাউকে সফল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।

১. প্রতি মাসে অল্প অল্প করে টাকা জমানো !
ছাত্র জীবন জন্য এই বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং এই ভুলটি অনেক ছাত্রছাত্রী করে থাকে। টাকা পরিমাণ যতটাই হোক না কেন প্রতি মাসে কিছু টাকা করে জমাতে পারলে আপনি এক সময় অনেক টাকা জমানোর বেনিফিটা বুঝতে পারবেন।

যাদের বয়স ২৫ বছরের উপরে হয়ে গেছে তার এখন আফসোছ করে। যে এই বেনিফিটা কেউ যদি আগে আমাকে বলতো। তাহলে আমার কাছে আজ অনেক টাকা থাকতো।

তাই আপনার বয়স যদি ১২ – ২০ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনি এখন থেকেই টাকা জমানো শুরু করে দেন। দেখবেন একসময় এই টাকা পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে গেছে।

 ছাত্র জীবন ৩টি বড় ভূল সম্পর্কে জেনে নিন
 
২. পর্যাপ্ত ধর্য ধরে থাকুন !
দুই নাম্বারে যে ভুলটা ছাত্রছাত্রীরা করে থাকে সেটা হলো ধর্য। জীবনে সফল হওয়ার জন্য ধর্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অনেকেই এই ভুলটি করে এবং আমি নিজেও এই ভুলটি করেছি। সেটা হলো জোষের সাথে কোনো একটা কাজ শুরু করলাম।

প্রথম প্রথম সেই কাজের স্প্রিডটা বজায় থাকলো। কিন্তু কিছুদিন পরে কাজের স্প্রিড কমতে থাকলো এবং রেজাল্ট আসার আগেই মাঝ পথে কাজটা ছেড়ে দিলাম।
আমার মনে হয় এটা শুধু আমার সাথেই ঘটেছে এমন নয় এটা এই বয়সের অনেকেরই সমস্যা। আপনারও যদি এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

তো কথা হলো এই বয়সে মন ঠিক থাকাটা খুব স্বাভাবিক এবং ধর্য কম থাকাটাও স্বাভাবিক। কিন্তু এই বয়স থেকেই আমাদের ধর্য বাড়াতে জানতে হবে।
আসলে যে কোনো কাজেই সফলতা খুব সহজে আসে না। সব ব্যাপারে একটা কম্পাউন্ড ইফেক্ট কাজ করে। হতে পারে খুব কম সংখ্যক মানুষই সফলতা অর্জণ করতে পারে। কিন্তু এর সংখ্যাটা খুবই কম। অনেকটা লটারি জেতার মতো।

বাকি ৯৯% মানুষকে ট্রাভেল করতে হয় এবং ধর্য ধারণ করতে হয় কোনো কাজের সফলতা অর্জন করার জন্য। তাই আপনারা যারা কম বয়সের আছেন তারা এখন থেকেই এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিন। এটাও মনে রাখতে হবে যে সফলতা রাতারাতি আসে না। তারজন্য কিন্তু ধর্য ধরতে হয়।

৩. নিজের দক্ষতা প্রমান করতে হবে !
কম বয়সী ছাত্রছাত্রীরা এই ভুলটা করে থাকে। নিজের দক্ষতাকে লুকিয়ে রাখে এবং সেটা প্রকার করে না। আমরা যদি ধর্য ধরে বসে থাকি তাহলে কিন্তু সফলতা পাবো না। ধর্য ধরার পাশাপাশি আপনাকে নিজের দক্ষতাকে প্রমান করতে হবে।

এখণ আসি কোন কোন দক্ষতাকে প্রমান করতে হবে। যে দক্ষতাগুলো প্রশান করবেন তার মধ্যে আমি বলবো নিজের কমিউনিকেশন দক্ষতাকে প্রমাণ করুন। এছাড়াও ওই বয়সে পড়ার বই ছাড়াও আরো কিছু বই পড়তে বলবো। আর আপনার যতি কোনো শখ থাকে বা ভালোবাসার কাজ থাকে তাহলে সেটাকে আমি যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে বলবো।

বিষেষ করে একবার যদি সপ্নের জায়গাটা হাড়িয়ে যায় তাহলে সেটাকে ফেরত আনা খুবই কঠিন। দরকার হলে সপ্তাহের এক দিন সেটার পেছনে সময় দিবো। দরকার হলে ফেসবুক, ইউয়াট আপ এগুলো কমিয়ে দিবো। কিন্তু নিজের শখটাকে ধরে রাখবো।

আমার কিছু কথা
বন্ধুরা এই ছিলো আজের ছোট প্রতিবেদন ছাত্র জীবনে তিনটি বড় ভুল সম্পর্কে। আপনিও যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে এই ভুল গুলো সংশোধন করুন এবং সামনের দিকে এগিয়ে যান। প্রতিবেদনটি কোনো উপকারে আসলে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ

ছাত্রদের ওপর মোবাইল ফোনের কুপ্রভাব

আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নব নব আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ সভ্যতার চরম উৎকর্ষ সাধন করেছে। বিজ্ঞানের প্রসার ও বিকাশ ঘটিয়ে অনেক অসাধ্য সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। বিজ্ঞান মানব জীবন থেকে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, ভোগান্তি দূর করে জীবনকে করেছে সহজ-সাবলীল ও সুন্দর। নতুন ও সম্ভাবনাময়ী আবিষ্কারের কল্যাণমুখী প্রয়োগে আধুনিক জীবনে বিজ্ঞান যোগ করেছে এক নব দিগন্ত। দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলা বিজ্ঞান নতুন নতুন বিস্ময় উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানবজাতীকে প্রতিনিয়ত সমৃদ্ধ করে চলেছে। পৃথিবীকে মানুষের জন্য পরিণত করেছে বিশ্বগ্রামে (Global village)। জীবনকে করে তুলেছে গতিময় ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

মানুষের জীবন যাপন পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনয়নের পাশাপাশি যোগাযোগের সহজতম মাধ্যম হিসাবে বিজ্ঞান যুগে যুগে আবিষ্কার করেছে অসংখ্য বিকল্প। ডাক যোগাযোগের সহজতর বিকল্প হিসাবে আবিষ্কার করেছে ফ্যাক্স, টেলিফোনের সহজতর বিকল্প হিসাবে ওয়্যারলেস প্রভৃতি।

আবিষ্কারের এই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞানের যে আবিষ্কারটি বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয়, সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে, তা হ’ল মোবাইল ফোন। এর অপর নাম মুঠোফোন। বিজ্ঞানের এই অনুপম সৃষ্টি মোবাইল ফোন বর্তমান টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্তের সূচনা করেছে। গোটা বিশ্বকে এক নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ করে মানুষের প্রয়োজন পূরণ করে চলেছে প্রতিনিয়ত। এর সাহায্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত হ’তে অপর প্রান্তে অত্যন্ত স্বল্প সময়ে সংবাদ আদান-প্রদান, যোগাযোগ স্থাপন, ভাবের বিনিময় সম্ভব হয়ে উঠেছে।

শুধু কি তাই?
বিজ্ঞানের উত্তরোত্তর উন্নতির ফলে মোবাইল ফোনের আকার-আকৃতি ও ব্যবহারে এসেছে বৈচিত্র্য ও অভাবনীয় পরিবর্তন। আবেগ-অনুভূতি বিনিময়ের দ্রুততম মাধ্যম হওয়া ছাড়াও মোবাইল ফোন আজকাল মানুষের অন্যতম বিনোদন সঙ্গীতে পরিণত হয়েছে। অবসাদ দূর ও অবসরকে আনন্দময় করে তুলতে এতে সংযোজিত হয়েছে অডিও, ক্যামেরা, ভিডিও প্রভৃতি প্রযুক্তি। কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা  বা  অনুষ্ঠানকে জীবন্ত ও স্মরণীয়  করে  রাখার জন্য বর্তমানে ভিডিও ক্যামেরার প্রয়োজন আর তেমন অনুভূত হয় না।

একটি উন্নতমানের মোবাইল ফোন থাকলেই যথেষ্ট। বর্তমানে কম্পিউটারের এক-তৃতীয়াংশ কাজ মোবাইলেই করা সম্ভব হচ্ছে। যদ্দরুন মানুষের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি যেন পকেট কম্পিউটারে পরিণত হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এর দ্বারা হয়তো কল্পনাতীত কিছু করা সম্ভব হবে।

যোগাযোগ ব্যবস্থায় নবদিগন্তের দ্বারোন্মোচক ও অপার সম্ভাবনার আধার হওয়া সত্ত্বেও কোথায় যেন একটি প্রশ্ন থেকে যায়- মোবাইল ফোন ছাত্রদের কি দিয়েছে? বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে একটু গভীরভাবে চিন্তা করলেই এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে। ‘বিজ্ঞানের যুগ’ বলে কথিত এই আধুনিক কালে মোবাইল ফোনে উচ্চ প্রযুক্তির পরশ থাকায় এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিদেশী মোবাইল ফোন প্রস্ত্ততকারক কোম্পানী জনসাধারণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে বাজারে ছাড়ছে বাহারী ডিজাইন ও বিচিত্র ফাংশনের হাযারো মোবাইল ফোন।

বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের নিমিত্তে কোম্পানীগুলো কে কত কম মূল্যে জনগণের হাতে মোবাইল তুলে দিতে পারে সে প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছে। বিদেশী এসব কোম্পানী তাদের এই অফারের মাধ্যমে আমাদের দেশের বাজারে যেভাবে জেঁকে বসেছে তা সত্যিই উদ্বেগজনক। এসব মোবাইল সেট বেশ সস্তা হওয়ায় জনসাধারণ মোবাইলের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে ছাত্র।

এমনিতেই মোবাইল ফোনের প্রতি ছাত্রদের রয়েছে অদম্য আকর্ষণ। তারপরও অনেক সহজলভ্য হওয়ায় অধিকাংশ ছাত্রই তা পাওয়ার উপায় খোঁজায় ব্যস্ত। লেখাপড়ার মূল্যবান সময় নষ্ট করে বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে নিজেদের পসন্দের মোবাইল ক্রয় করার জন্য।

বাড়ির বাইরে থেকে (যেমন ছাত্রাবাস, স্কুল/মাদরাসা, হোস্টেল ইত্যাদি) অধ্যয়নকারী ছাত্র-ছাত্রীরা হাত খরচের টাকা বাঁচিয়ে এমনকি একাধিক প্রাইভেটের নাম করে মিথ্যা বলে পিতার নিকট হ’তে বেশী বেশী টাকা নিয়ে অথবা দূরে অবস্থান করার অজুহাত দেখিয়ে পিতা-মাতাকে সম্মত করে এবং নিজ বাড়ীতে অধ্যয়নকারী ছাত্র-ছাত্রীরা পিতা-মাতার সাথে জেদ করে তাদেরকে মোবাইল কিনে দিতে বাধ্য করছে। এই প্রবণতা খুব বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে। তবে একথাও ঠিক যে, অনেক পিতা-মাতা সখ করে তাদের সন্তানদেরকে মোবাইল কিনে দিচ্ছেন।

ছাত্রজীবন অনাগত ভবিষ্যতে সাফল্যের বীজ বপনকাল, জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে নিজেকে যোগ্য নাগরিক রূপে গড়ে তোলার সময়, শরীর চর্চার মাধ্যমে নিজের মন ও শরীরকে বিকশিত করার সময়, সে মহামূল্যবান রত্মকে তারা হেলায় নষ্ট করছে। একটু অবসর পেলেই, এমনকি পড়ার টেবিলে বসে চুপিসারে মোবাইলে গেমস খেলায় মেতে উঠছে।

শুধু কি গেমস (?)

বর্তমান পাশ্চাত্য সভ্যতার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে আমরা গান-বাজনা যেমন হালাল করে নিয়েছি (নাঊযুবিল্লাহ), তেমনি গান-বাজনা শোনার সরঞ্জামের তেমন প্রয়োজনও হয় না। ঘটা করে রেডিও-ক্যাসেটের সামনে বসে সময় নষ্ট করার দরকার আজকের দিনে আর নেই। একটি সাদামাটা মোবাইল ফোন সাথে থাকলেই যথেষ্ট, পথ চলতে চলতেই গান শোনা যাবে। তবে এক্ষেত্রে মেমোরি কার্ড (Memory Card) নামের একটি বস্ত্ত হ’লে আরো সুবিধা হয়। মাত্র ১৬৫ বর্গ মিলিমিটার আয়তনের (সীমকার্ডের চেয়েও ছোট) অতিক্ষুদ্র এ বস্ত্তটির তথ্য ধারণ ক্ষমতা এত বেশী যে, তা ভিসিডি ডিস্ককেও হার মানায়। এতে শত শত অডিও গান সংরক্ষণ করা যায়। এমনকি এটি একটানা চার ঘণ্টা শব্দসহ ভিডিও চিত্র ধারণ করতে পারে।

আর এই শক্তিশালী ক্ষুদ্র বস্ত্তটি বর্তমানে অধিকাংশ মোবাইলে যুক্ত করার সুবিধা থাকায় মোবাইল আজ বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়েছে। হাট-বাজারে, পথে-ঘাটে বের হ’লেই মোবাইল ফোন থেকে গান-বাজনার অশালীন সুর ভেসে আসে। যারা এভাবে রাস্তা-ঘাটে মোবাইলে গানবাজায়, তাদের অধিকাংশই তরুণ ছাত্র। গৃহ-পরিবেশেও গান শোনা বন্ধ নেই। পিতা-মাতার আগোচরে কানে এয়ারফোন ঢুকিয়ে একাকী ঘরে পড়ার টেবিলে গুণ গুণ শব্দ তুলে গান শুনছে অথচ পিতা-মাতা কক্ষের বাইরে থেকে মনে করছেন তার আদরের সন্তান হয়তো অধ্যয়নে নিমগ্ন। কিন্তু তাদের সন্তান যে গান-বাজনার মধ্যে ডুবে আছে তা তারা বুঝতেই পারছেন না।

এর সাথে আবার রয়েছে FM Radio। প্রতিটি মোবাইল ফোনে মেমোরি কার্ড সংযুক্ত করার সুযোগ না থাকলেও বর্তমানে প্রায় ৯০%-এর বেশী মোবাইল ফোনে রয়েছে রেডিওর প্রচার তরঙ্গে প্রচারিত অনুষ্ঠান শোনার সুবিধা। ফলে মোবাইল নামের এ যন্ত্রটি অনেকটা রেডিওর বিকল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারী বেতার কেন্দ্রগুলো ছাড়াও অসংখ্য বেসরকারী বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যারা FM প্রচার তরঙ্গে অনুষ্ঠান প্রচার করে। এদের দৈনিক কার্যক্রমের তিন-চতুর্থাংশ সময় জুড়ে থাকে  বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী গান। অনুরোধের মাধ্যমে এদের কাছ থেকে পসন্দের গান শোনা যায় বলে বর্তমানে এসব FM বেতারকেন্দ্র বেশ জনপ্রিয়। বিশেষতঃ যুব ও ছাত্র সমাজে এদের গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশী।

এসব বেতার কেন্দ্র ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ার সময় অনুরোধের ও পসন্দের গান প্রচার করে থাকে। গানের সাথে আবার রয়েছে কোকিল কণ্ঠী এক জোড়া যুবক-যুবতীর মনকাড়া উপস্থাপনা। ফলে ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ার মূল্যবান সময়কে জলাঞ্জলি দিয়ে সেসব সংগীতানুষ্ঠান শোনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে।

মোবাইলের কর্মকান্ড শুধু গান-বাজনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো এতটা শঙ্কিত হ’তে হ’ত না। কিন্তু এর মরণছোবল যে আজ মানুষের চরিত্রে অব্যাহত দংশন করে চলেছে। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের দরুন মোবাইল ফোনে ভিডিও সুবিধা যুক্ত হওয়ায় এ যন্ত্রটি অনেকটা পকেট টেলিভিশনে রূপ নিয়েছে। এতে করে মোবাইল সৎকাজে যতটা না ব্যবহৃত হচ্ছে, তার চেয়ে বহুগুণে ব্যবহৃত হচ্ছে চরিত্র বিধ্বংসী কাজে। বিভিন্ন অশ্লীল ভিডিও গান এমনকি টিভিতে প্রচার অযোগ্য সিনেমা মোবাইলে দেখা যাচ্ছে। মেমোরি কার্ডে ডাউনলোড করে মোবাইলের সাহায্যে অহরহ নীলছবি (Blue film) দেখা হচ্ছে? (নাঊযুবিল্লাহি)। এতে চরিত্র ধ্বংস হচ্ছে, ঘটছে শারীরিক অবক্ষয় আর গুণাহ হচ্ছে অপরিমেয়।

যে চরিত্র মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ, যে সম্পদ একবার হারিয়ে গেলে কোন দিনই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়, সে অমূল্য সম্পদ যে এই যন্ত্রের দ্বারা নিমেষে ধ্বংসপ্রাপ্ত হচ্ছে তা কি কেউ কখনো খেয়াল করেছে? এর কারণে কিশোর ও যুবসমাজ আজ চরম হুমকির মুখে। সচেতন বিবেক নিশ্চয়ই জানে যে, কিশোরকালই (১২-১৬ বছর) চরিত্র গঠনের সময়। এ সময়ের সদ্ব্যবহার যেমন ভবিষ্যৎ সাফল্যের দ্বার উন্মোচন করতে পারে, তেমনি এ সময়ের অপব্যবহারের দরুন ভবিষ্যতে সীমাহীন দুর্ভোগেরও সম্মুখীন হ’তে হয়।

এখানেই শেষ নয়, এই যন্ত্রটি আজ প্রণয় যোগাযোগেরও দ্রুততম মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে এককভাবে শুধু মোবাইল নয়, দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কগুলোও দায়ী। তাদের বিভিন্ন অফার যেমন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা রিচার্জে এত শতাংশ বোনাস বা ফ্রি মিনিট, দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে হ্রাসকৃত কলরেট, রাতের জন্য বিশেষ ছাড়, বিশেষ কয়েকটি নাম্বারে সার্বক্ষণিক কথা বলার জন্য সর্বনিম্ন কলরেট ইত্যাদি। আবার কোম্পানীর প্রচার ও প্রসারের জন্য কমমূল্যে বিভিন্ন সুবিধা সম্বলিত সীমকার্ড তো রয়েছেই।

এমনিতে আমাদের দেশে সহশিক্ষা ব্যবস্থার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের অবাধ মেলামেশার সুযোগ অবারিত, তারপরও মোবাইলে এতসব সুবিধা; সব মিলিয়ে মোবাইল ফোন যেন প্রণয়ালাপের অদ্বিতীয় মাধ্যম। মোবাইলের মাধ্যমে না দেখেই শুধু কথা বলে অনেকের সাথে গড়ে উঠছে প্রেমের সম্পর্ক। এমনকি এভাবে একে অপরের সাথে ‘মোবাইল প্রেম’ করে ঘরও বাঁধছে। পরিণামে যা হবার তাই হচ্ছে। ঘর ভাঙছেও দ্রুত।

গৃহে পিতা-মাতার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে লেখাপড়া বাদ দিয়ে সন্তর্পণে গভীর রাত পর্যন্ত কথা বলা, প্রত্যাশিত কোন কলের জন্য মোবাইল নীরব (Silent) রেখে অপেক্ষা করা যাতে কেউ টের না পায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হোস্টেলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসকের ভয়ে টয়লেট-বাথরূমে ঢুকে কথা বলা ইত্যাদি ছাত্র-ছাত্রীদের পেশায় পরিণত হয়েছে।

 

এখন প্রশ্ন আসতে পারে- সব ছাত্র-ছাত্রী কি একাজে লিপ্ত? না, মোবাইল ব্যবহারকারী অপরিণামদর্শী কতিপয় ছাত্র-ছাত্রী একাজে লিপ্ত। তবে একথা জোর দিয়ে বলা যেতে পারে যে, মোবাইল ব্যবহার করে অথচ একাজে সম্পৃক্ত নয় এমন ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যায় অনেক কম। একাজে একদিকে যেমন সময় ও অর্থ অপচয় হয়, তেমনি অপরদিকে বিভিন্ন সামাজিক বিশৃঙ্খলার জন্ম দেয়। আর চারিত্রিক অবক্ষয় যে ঘটছে তা তো বলাই বাহুল্য।

এতে সামাজিক বা আর্থিক কোন ক্ষতি না হ’লেও একাজ শরী‘আত   সমর্থিত  নয়।  ইসলাম  মাহরাম  ও  স্বামী-স্ত্রী ব্যতীত পর নারী-পুরুষের সাথে দেখা করা নিষিদ্ধ করেছে। এমনকি ফিতনার আশঙ্কা থাকলে পর নারী-পুরুষে কথা বলা পর্যন্ত সমর্থন করেনি। তাহ’লে কিভাবে বেগানা নারী-পুরুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে কথা-বার্তা, প্রেমালাপ চালাতে পারে?

ইতিমধ্যেই দেশের অনেক আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভিভাবকগণ আপন আপন সন্তানের ওপর এ বিষয়ে সচেতন দৃষ্টি রাখলে তারা ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে পারবে। তবে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের চেষ্টা যথেষ্ট হবে না, এক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।

দেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানীগুলোর উপর কঠোর আইন জারী করতে হবে যাতে তারা ১৮ বছরের কম বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট সীমকার্ড বিক্রি করতে না পারে। তবে শুধু আইন করে কোন কাজ হবে না। এসব অপকর্ম থেকে বেঁচে থাকার অপরিহার্য পূর্বশর্ত হ’ল তাক্বওয়া তথা আল্লাহভীতি। কারণ তাক্বওয়া ছাড়া কোন কাজে সাফল্য অর্জন সহজ নয়। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের তাক্বওয়া সহকারে কার্যকরী পদক্ষেপ অবলম্বনের মাধ্যমে মোবাইল ফোনের এই বিভীষিকা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!!

যে সাতটি উপায়ে বদলে ফেলবেন নিজের জীবন!
নিজের লক্ষ্যগুলো তালিকাবদ্ধ করুন,
শপিং, কি করবো না করবো, জীবনের লক্ষ্য, কাজ- এমন অনেক কিছু ভাবতে ভাবতেই হয়তো এমন কিছু চলে আসে যা জীবনটাকেই পরিবর্তন করে দিতে পারে।

তবে জীবনের সন্তুষ্টির জন্য আগে অবশ্যই দেখতে হবে নিজের আইডিয়া ও কাজের পরিকল্পনা ।
যখন আপনি নিজের কোনো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা করবেন এবং সেখানে একটির পর আরেকটি দেখুন ভালোভাবে। হয়তো নীচের এ বিষয়গুলো সেখানে আছে।

১. প্রথমে ভালোভাবে চিন্তা করুন!
নিজের করণীয় সম্পর্কে তালিকা করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে কি করা উচিত আর কি করা উচিত না।
সব লিখে তারপর দেখুন কোনটিকে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া দরকার। চিন্তাগুলোকে একটি কাঠামোতে সাজিয়ে ফেলুন। দেখুন কোন সময়ে কোনটি করলে ভালো ফল আসবে। এভাবে ভেবে চিন্তে এগুতে থাকুন এবং তালিকাটি করেই ফেলুন।

এতে করে আপনি যাই করবেন তাতে একটি মানসিক সন্তুষ্টি থাকবে আপনার। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন আমরা একই সময়ে আমাদের মাথায় চারটি বিষয়কে রাখতে পারি।
আপনি কি করছেন সেটি পরিষ্কার থাকলে এমন সুখী ভাব চলে আসবে

২. নিজেকে আরও সফল করে তুলুন !
তালিকাটি আক্ষরিক অর্থেই আপনাকে সফল করে তুলতে পারে এবং এটিই হতে পারে বেশি কার্যকর।
মনোবিজ্ঞানী জর্ডান পিটারসন দেখিয়েছেন যে শিক্ষার্থীরা একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে তাদের পারফরমেন্স ভালো হয়।
তাই একটি কলম নিন, সাথে এক টুকরো কাগজ।
নিজের লক্ষ্যগুলো লিখতে শুরু করে দিন।

৩. অর্থ সঞ্চয় করুন !
নিজের অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে ভাবতে হবে।
অর্থাৎ কোথায় গেলে আপনার জন্য সাশ্রয় হবে সেটিও জানা থাকা উচিত।
তাই ধরুন শপিংয়ে যাবেন, তাহলে লিখে ফেলুন কি কি কিনবেন।

তারপর দেখুন কোথায় সেটা আপনার জন্য সাশ্রয়ী হবে।
এটি আপনাকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় থেকে রক্ষা করবে।

৪. আত্ম-সন্দেহ থেকে মুক্ত থাকুন !

ও আত্মবিশ্বাসকে আরও জাগ্রত করুন
ধরুন হঠাৎ যদি মনে হয় যে জীবন আপনি পার করছেন তা যথেষ্ট ভালো নয়, তাহলো একটি সঠিক তালিকাই আপনাকে সে পরিস্থিতি থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারে।

আপনি আপনার ছোট বড় সব অর্জনগুলো তালিকায় তুলে ফেলুন।
দেখবেন সত্যিই কি দারুণ সময় গেছে আপনার।
মানুষ এ আত্মবিশ্বাস নিয়েই সমস্যায় ভোগে।
তাই এ তালিকাটি করুন সেটি যে ধরণের সাফল্যই হোকনা কেন।
এরপর দেখুন নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস আরও কিভাবে বাড়ে।


৫. নিশ্চিত করুন যে কোনো ভুল করছেন না !
এটি আপনাকে কোনো বিপর্যয় থেকে রক্ষা করবে।
এ ধরণের একটি চেক লিস্ট তাই জরুরি।
বিয়ের পরিকল্পনা, বা ছুটিতে যাওয়ার পরিকল্পনা।
এ সময় লিখে ফেলুন কি কি দরকার।

দেখবেন দারুণ পরিকল্পনা হয়ে যাচ্ছে।
নিজের সঞ্চয় কিভাবে ব্যয় করবেন ভাবুন

৬. সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় স্থির থাকতে নিজেকে সহায়তা করুন !
আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সময় মনে করিয়ে দেয় যে কোন কাজগুলো শুরু করেও আমরা শেষ করিনি।

আর এ কারণে যখন আপনি মনোযোগ দিয়ে কোনো কাজ করছেন তখন দেখবেন আরেকটি বিষয় মনে এসে আপনার কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে দিচ্ছে।
এজন্য মনোবিজ্ঞানীরা বলেন কোনটা করবেন তা লিখে ফেলুন এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।

৭. যে জিনিসগুলো আপনাকে দমিয়ে রেখেছে সেগুলোর মুখোমুখি হোন !
যেসব বিষয় আপনাকে এগুতে দিচ্ছেনা বা দমিয়ে রাখছে সেগুলোর মুখোমুখি হোন।
হয়তো মনে হবে বিষয়টি সুখকর নাও হতে পারে।
তারপরেও মোকাবেলা করুন।
দেখবেন শেষ পর্যন্ত সন্তুষ্টিই আসবে।

সহজে টাকা জমানোর ৫ টি উপায়
 

কিছুতেই বড়লোক হতে পারছেন না? অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করছেন, তাতেও সব টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে! কিছুতেই ইচ্ছে সত্ত্বেও টাকা সঞ্চয় করতে পারছেন না! আসলে এই সমস্যা শুধু আপনার নয়, এরকম সমস্যায় অনেকেই রয়েছেন। টাকা জমানোটা একটা শিল্প। এই কাজটা একবার আপনি শিখে গেলে, আর কখনও অসুবিধা হবে না। কিন্তু যদি আপনি এটা শিখতে না পারেন, তাহলে টাকা রোজগার তো অনেক করবেন, কিন্তু দিনের শেষে আপনার আর বড়লোক হওয়া হবে না!
 
সহজে টাকা জমানোর ৫ টি উপায়

কিছুতেই বড়লোক হতে পারছেন না? অনেক কষ্ট করে টাকা রোজগার করছেন, তাতেও সব টাকা ফুরিয়ে যাচ্ছে! কিছুতেই ইচ্ছে সত্ত্বেও টাকা সঞ্চয় করতে পারছেন না! আসলে এই সমস্যা শুধু আপনার নয়, এরকম সমস্যায় অনেকেই রয়েছেন। টাকা জমানোটা একটা শিল্প। এই কাজটা একবার আপনি শিখে গেলে, আর কখনও অসুবিধা হবে না। কিন্তু যদি আপনি এটা শিখতে না পারেন, তাহলে টাকা রোজগার তো অনেক করবেন, কিন্তু দিনের শেষে আপনার আর বড়লোক হওয়া হবে না!
তাই এক ঝলকে জেনে নিন ৫ টা উপায়। যেটা মেনে চললে, আপনার টাকা জমাতে খুব একটা অসুবিধা হবে না।

১) সবার আগে একটু পোস্ট অফিসে যাওয়া অভ্যাস করুন। ব্যাঙ্কে তো অনেক গেলন। এখনও যান। কিন্তু পোস্ট অফিসটাকেও হেলাফেলা করবেন না। ওই জায়গাটা শুধুই আপনাকে চিঠি দিয়ে আসার জন্য তৈরি হয়নি। আপনাকে টাকা জমাতে সাহায্য করার জন্যও পোস্ট অফিসের অবদান থাকবে।

২) সেকেলে লাল রঙের ঘটে যদি মন না ভরে, তাহলে এখনকার দিনের নানা রঙের, নানা আকারের অনেক ঘট বাজারে পাওয়া যায়। ওই কটা কিনে আনুন। আর তাতে একটা একটা করে কিছু কারণ লিখুন। কেন ঘটটা কিনেছেন। কিসের জন্য টাকা জমাতে চান। দেখবেন, ঠিক টাকা জমাতে পারবেন আপনি।

৩) টাকা জমাতে গেলে, টাকা রোজগারও করতে হবে। তাই টাকা আয় করার জন্য আরও বেশি সময় দিন। সেক্ষেত্রে জমানোর সুযোগ থাকবে বেশি। অল্প টাকা আয় হলে, জমানোর জন্য মানসিকভাবে শক্তি পাবেন কীভাবে?

৪) টাকা জমাতে গেলে মনে সাহস থাকা দরকার। কারণ, এক্ষেত্রে আপনাকে, আপনার প্রিয় টাকাকে কাছ-ছাড়া করতে হয়। তাই সবদিক বিবেচনা করে যেখানে টাকা রাখবেন, সেটার জন্য সাহস নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন।

৫) সবার কথা শুনুন। আপনার একটু সাহায্য চায় রোজ কত মানুষ। তাঁরা আপনাকে বোঝাতে চান, যে আপনি তাঁর কোম্পানিতে টাকা রাখলে কীভাবে, তা পরিমাণে বাড়াতে পারবেন। অথচ, আপনি ভাবেন, এতে শুধু তাঁরই লাভ হবে। তাই এই মানসিকতার পরিবর্তন করুন। আর সবার কথা শুনুন। সিদ্ধান্ত তো আপনি নিজেই নেবেন। তা বলে লোকের কথা শুনবেন না?

ব্যাস, আপাতত এই ৫ টি জিনিস একটু কষ্ট করে মেন চলুন, তাহলেই দেখবেন, কয়েক বছর পর আপনারও অনেক টাকা জমে গিয়েছে।

পরিশেষে, এই ছিলো ছাত্র জীবনে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আর্টিকেল। চেষ্টা করেছি তথাকথিত কমন কাজ গুলো সম্পর্কে না জানিয়ে ইউনিক কিছু জানাতে যা প্রকৃত অর্থে করা যায়। আরো জানিয়েছি কোন কাজ কেমন হবে এবং কাদের জন্য করা ঠিক হবে। আশা করছি উক্ত আর্টিকেলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কিছুটা উপকৃত করা গেছে। এতে করে তারা আয় করার মাধ্যম গুলো সম্পর্কে জানতে পারবে এবং উক্ত কাজ গুলো করার ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারবে। 

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Post a Comment

0 Comments