ডাটা এন্ট্রি কি । ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়

ডাটা এন্ট্রি থেকে আয়

ডাটা এন্ট্রি কি । ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়

ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কিত বিস্তারিত

ডাটা এন্ট্রি কি । ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়
প্রিয় ভিজিটর আজকে আমি আপনাদের ডাটা এন্টি সম্পর্কিত কিছু তথ্য দিব। আজকে আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন ডাটা এন্ট্রি কি এবং কিভাবে কাজ করে। আশা করছি আজকের পুরো লেখাটা পড়লে ডাটা এন্ট্রি কি এ সম্পর্কিত আপনাদের একটি ধারণা হবে। তো চলুন  জেনে নেয়া যাক ডাটা এন্টি সম্পর্কিত বিস্তারিত।

ডাটা এন্ট্রি কি?

আমরা সকলেই ইনকাম করার কথা যখন ভাবি তখন আমাদের মাথায় আসে সর্বপ্রথম যে কাজটির কথা তা হল ডাটা এন্ট্রি। এর কারণ হচ্ছে আমরা ডাটা এন্ট্রির কথা এতটাই শুনেছি যে অনলাইন ইনকাম কথাটি শুনলেই আমাদের মাথার মধ্যে ডাটা এন্ট্রির দিকটি আগে আসে। Earn Money Online.

Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়


তাই আজ আমি আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাতে চেষ্টা করব ডাটা এন্টি কি? এবং ডাটা এন্ট্রি করে কিভাবে আয় করবেন। অনেকের কাছেই ডাটা এন্টির সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে জটিল একটি ধারণা আছে। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পুরোটা পড়লে আপনাদের পুরো একটি ধারণা হবে। আসুন ডাটা এন্ট্রি কী বিষয়টি শুরু থেকে শুরু করি। ডাটা এন্ট্রি থেকে আয় । What is data entry.


আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো:

১. ডাটা এন্ট্রি কি? What is data entry?

২. ডাটা এন্টি অপারেটর কি?

৩. ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ কি?

৪.কিভাবে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন ?

      ৪.১. অফিসিয়াল ওয়ার্ক
      ৪.২. ম্পেলিং চেকিং
      ৪.৩. ডাটা কনভার্শন
      ৪.৪. ট্রান্সলেশন
      ৪.৫. ডাটাবেজ ক্রিয়েশন

৫. ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়?


ডাটা এন্ট্রি কি - what is data entry

ডাটা শব্দের অর্থ হচ্ছে তথ্য আর এন্টি হচ্ছে সংগ্রহ করা। বিশেষ কোনো তথ্যগুলোকে সংগ্রহ করে লিপিবদ্ধ করার নামই হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। ডাটা এন্টি সাধারণত কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয় একটি এলোমেলো তথ্যকে বা বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে একটি পূর্ণাঙ্গ তথ্য তৈরীর সঠিক পদ্ধতি নামই হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কি

আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কি সেটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কি সে বিষয়ে জেনে নেওয়াটা আপনার জন্য প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বলতে বুঝায় যে সকল মানুষ বিভিন্ন ধরনের ডাটা যোগ করে এবং বিভিন্ন ধরনের ডাটা সম্পাদন করার পাশাপাশি যাচাই করে সম্পূর্ণরূপে ঠিক করে দেয়।

মূলত সেই সকল মানুষকে বলা হয়ে থাকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। আর বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে এরমধ্যে এমন অনেক রকমের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।

আপনি চাইলে এই নিয়োগ এপ্লাই করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজগুলো করতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে পূর্ণাঙ্গ দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ কি

বর্তমান সময়ের সব ধরনের প্রতিষ্ঠানেই ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের প্রয়োজন পড়ে কারণ এর মাধ্যমে কোম্পানির সকল ডাটা একটি ফাইল ইমপোর্ট করে রাখা হয়। ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে অবশ্যই MS OFFICE, MS EXCEL, GOOGLE SHEETS, এবং MICROSOFT WORD সফটওয়্যার গুলোর ব্যবহার সঠিকভাবে জানতে হবে।

ডাটা অপারেটর এর বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে তার নিচে আলোচনা করা হলো:
১. আপনাকে একটি ওয়ার্ড ফাইল দেয়া হল এবং বলা হলো এবার ফাইলটি আপনি পিডিএফে কনভার্ট করে দিবেন।

২. অফিসের বস আপনাকে একটি পিডিএফ ফাইল দিলো এবং বলল এইগুলো ওয়ার্ডের টাইপ করে দিন।

৩. আপনাকে ফাইবার একটি অর্ডার করা হলো যে আমি আপনাকে কিছু কাগজের ছবি দিচ্ছি এই কাগজের লেখাগুলো আমাকে ওয়ার্ড ফাইল টাইপিং করে দিতে হবে।

৪.বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম আমাদের দেশে থাকে যা বড় বড় কোম্পানি অর্গানাইজ করে তখন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ হয় প্রোগ্রামের সকল তথ্যকে গুগল সিটে সংরক্ষণ করে রাখা।

কিভাবে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করবেন

১. অফিসিয়াল ওয়ার্ক

আপনি যখন একটি অফিসে ডাটা এন্টির অফিসিয়াল ওয়ার্ক করবেন তখন আপনাকে কোম্পানির সেল পার্সেস ফিডব্যাক সহ যাবতীয় সকল তথ্য ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। নোট বা হার্ডকপি থেকেই যাবতীয় সব তথ্য এমএস এক্সেল এ ইনপুট করতে হয়।

এটি খুব সহজ মাধ্যম ইনকাম করার।আর বর্তমানে বেশিরভাগ কোম্পানি ডাটা এন্ট্রির জন্য আলাদা মানুষ কাজে নিয়োগ দিয়ে থাকে যার কারণে এই কাজটি খুবই সহজ হয়ে উঠেছে।কিন্তু আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সঠিক স্যালারি দেয় না।  এদেশে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের সঠিক মূল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু বাহিরের দেশে এর চাহিদা ও স্যালারি অনেক বেশি। আর তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়।

২. স্পেলিং চেকিং

ডাটা এন্ট্রি চেক করে আপনি স্পেলিং চেকিং করেও আপনি অনেক পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।অনলাইন মার্কেটপ্লেস এ আপনি অনেক বায়ার পেয়ে যাবেন যারা আপনাকে তার ডকুমেন্টের স্পেলিং ঠিক করে দিতে বলবে আর তার বিনিময়ে আপনাকে টাকা দিবে। এভাবে স্পেলিং চেকিং করেও অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

৩. ডাটা কনভার্শন

ডাটা কনভারসনের কাজ হল আপনাকে একটি ফরমেট থেকে অন্য ফরমেটে ডাটা এন্ট্রি তথ্যগুলো সংগ্রহ করে ওনার কে দিতে হবে। এই কাজটি খুবই কম সময়ে আপনি করতে পারবেন আর ওনার এর থেকে ভাল রকমের অর্থ আয় করতে পারবেন।

৪. ট্রানসলেশন

ডাটা এন্ট্রি তে ট্রান্সলেশন কাজটি খুবই আধুনিক। এখানে আপনাকে অডিও ফাইল দিবে  যার মাধ্যমে আপনি শুনে শুনে সেটিকে ওয়ার্ড ফাইলে কনভার্ট করবেন। এছাড়াও আপনাকে একটি ইংলিশ বইও দিতে পারে যেটি আপনাকে বলবে বাংলা। এবং আপনাকে বাংলা বই দিয়েও বলতে পারে এটিকে ইংলিশ করে দিতে। এই কাজটির জন্য আপনি প্রদত্ত পরিমাণ অর্থ আয় করে নিতে পারবেন।

৫. কিভাবে ডাটাবেজ তৈরি করা

ডাটাবেজ ক্রিয়েশন কাজটি বেশিরভাগ সময় সরকারি অধিদপ্তর থেকে করানোর নির্দেশ দিয়ে থাকে।কোন গ্রাম দেশ বা এরিয়ার জনসংখ্যা পরিবার ও শিশুদের সংখ্যা জানার জন্যই এই ডাটাবেস ক্রিয়েশন করানো হয়। এই কাজটি আপনাকে গ্রামে বা শহরে যেখানেই হোক না কেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে করতে হবে।

ডাটা এন্ট্রি কাজের ওয়েবসাইট

Upwork মার্কেটপ্লেস হলো একটি বিশ্বস্ত ও সবচেয়ে জনপ্রিয় ডাটা এন্ট্রি ওয়েবসাইট ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য এটি খুবই উপযুক্ত আপওয়ার্কে সব ধরনের কাজ খুঁজে পাওয়া যায় ডাটা এন্ট্রি কপি-পেস্ট ওয়েব ডিজাইন করা লোগো ডিজাইন করা ইত্যাদি কাজ খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় এছাড়াও ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য আরও রয়েছে জনপ্রিয় সাতটি ওয়েবসাইট আপনারা সেই ওয়েবসাইটগুলোতে প্রবেশ করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়

ডাটা এন্ট্রি কাজটি খুবই কম সময় শিখেই আয় শুরু করা যায়।আয় করার জন্য আপনি কোন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করতে পারেন আবার চাইলে ঘরে বসে ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে বসেও কাজ করতে পারেন। ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম গুলো হল Fiver Amazon's mechanical turk service,Flex Jobs,Craigslist,Upwork ছাড়াও বিভিন্ন মাধ্যমে বর্তমান সময়ে অনেক মানুষ মাসে লক্ষাধিক টাকারও বেশি আয় করেছেন।

কিন্তু প্রথম প্রথম আপনি এত টাকা আয় করার স্বপ্ন দেখতে পারবেন না।কারণ কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করলে আপনাকে মাসে 10 থেকে 15 হাজার টাকার বেশি দিবে না।আর যদি আপনি ইন্টারনেট মার্কেট প্লেসে কাজ করেন তাহলে প্রতিটি ফাইলের জন্য আপনাকে ৫ ডলার থেকে 50 ডলার পর্যন্ত দিতে পারে সর্বোচ্চ। কিন্তু নতুনদের জন্য প্রথম কিছু কাজ পাঁচ ডলারের বেশি পাওয়া যায় না।আস্তে আস্তে আপনার র্যাংকিং বাড়বে তখন আপনার সার্ভিসের মূল্য আপনি বাড়াবেন। আর অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ করলে আপনি মাসে প্রথম প্রথম দশ থেকে বিশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন নিশ্চিত ভাবে।

FAQ:

Q. ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ কি

A. সহজ কথা বলতে গেলে যারা ডাটা এন্ট্রি কাজের সাথে যুক্ত আছেন। তাদেরকে বলা হয়ে থাকে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। আর ডাটা এন্ট্রির মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের কাজ রয়েছে। যেমন ভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক ডেটাযুক্ত করা। সেই ডাটা গুলোকে যাচাই বাছাই করা। সর্বশেষে উক্ত ডেটা গুলোকে সঠিকভাবে সম্পন্ন করার কাজ গুলোকে বলা হয়ে থাকে ডাটা এন্ট্রি।

Q. ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়


A. আজকের এই আলোচনায় ডাটা এন্টি কি সে বিষয়টি নিয়ে লেখা হয়েছে। সে কারণে অনেকেই জানতে চাইবেন যে, এই ডাটা এন্ট্রি করে কত টাকা আয় করা যায়। আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে আপনি যদি দক্ষতার সাথে ডাটা এন্ট্রি এর কাজগুলো করতে পারেন তাহলে প্রতি মাসে ১৫ হাজার থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন প্রথম অবস্থায়। আপনার কর্মদক্ষতা  যতটা বাড়বে ইনকাম ঠিক ততটাই বাড়বে।

Q. ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার ও কি কি


A.ডাটা এন্টি এই বিষয়টি জানার পাশাপাশি এই ডাটা এনটি কত প্রকার ও কি কি এই বিষয় সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার ধারণা রাখতে হবে।বর্তমান সময়ে আপনি মোট দুই প্রকারের ডাটা এনটি দেখতে পারবেন তার মধ্যে প্রথমটি হল অনলাইন ডাটা এন্ট্রি এবং দ্বিতীয়টি হল অফলাইন ডাটা এন্ট্রি।

ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায়

ইন্টারনেট ডেটার একটি বিশাল সংগ্রহ। আর এই বিপুল পরিমাণ ডাটা সঠিকভাবে সাজানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাকে ডাটা এন্ট্রি বলা হয়। ডাটা এন্ট্রির কাজ করে আয় করা সম্ভব। যে কেউ ঘরে বসেই ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে পারেন। আসুন জেনে নেই ডাটা এন্ট্রি কি, ডাটা এন্ট্রি করতে কি কি লাগে, ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।

ডেটা এন্ট্রির জন্য কী প্রয়োজন

ডাটা এন্ট্রি থেকে যে কেউ আয় করতে পারে, ডাটা এন্ট্রি থেকে আয় করার এটাই সেরা উপায়। যে কেউ খুব সহজেই ডেটা এন্ট্রির দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ডেটা এন্ট্রির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা:

  • দ্রুত টাইপিং দক্ষতা
  • ইন্টারনেট থেকে তথ্য খোঁজা
  • প্রাথমিক ইংরেজি জ্ঞান
  • বোঝার দক্ষতা
  • ওয়ার্ড এবং এক্সেল ব্যবহারের জ্ঞান
  • ডেটা এন্ট্রির মাধ্যমে আয় করুন

একাধিক ডাটা এন্ট্রি কাজ করে আয় করা সম্ভব। ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপলপার আওয়ারের মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ডেটা এন্ট্রির কাজ করা যায়। অনেক কোম্পানি প্রতিদিন এই ওয়েবসাইটগুলিতে ডেটা এন্ট্রির কাজ খুঁজছে। আপনি যদি টাইপিংয়ে দক্ষ হন এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে জানেন তবে আপনি সহজেই প্রচুর ডেটা এন্ট্রি কাজ পেতে পারেন।

এছাড়াও একই ক্লায়েন্ট থেকে ডেটা এন্ট্রি কাজ পাওয়ার সর্বোচ্চ সুযোগ রয়েছে। তাই আপনি যদি যত্ন সহকারে কাজ করেন তবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ডেটা এন্ট্রির কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আসুন ডাটা এন্ট্রি থেকে আয়ের কিছু উল্লেখযোগ্য উপায়, উপায় এবং প্রকার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

ক্যাপচা এন্ট্রি

ক্যাপচা এন্ট্রি হল ক্যাপচা দেখার পর টেক্সট ইনপুট করার কাজ। এটি যে কেউ করতে পারে এমন সবচেয়ে সহজ ডেটা এন্ট্রি কাজগুলির মধ্যে একটি। কিন্তু এই কাজ পাওয়া আরও কঠিন যেহেতু এটি সহজ।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে যেগুলো ক্যাপচা এন্ট্রি করে আয় করে। ক্যাপচা এন্ট্রি টাইপিং গতিতে উপার্জন গণনা করে। যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে ক্যাপচা এন্ট্রি আপনার টাইপিং গতির উপর নির্ভর করে। তাই ক্যাপচা এন্ট্রি থেকে আয় করার জন্য ভালো টাইপিং স্পিড আবশ্যক।

ইমেল প্রক্রিয়াকরণ
ইমেইল রিডিং বা ইমেল প্রসেসিং ডাটা এন্ট্রির একটি জনপ্রিয় ফর্ম। এই ক্ষেত্রে প্রদত্ত মেইলগুলি নির্দেশাবলী অনুযায়ী প্রক্রিয়া করতে হবে। ই-মেইল প্রসেসিং কাজ অনেক ধরনের হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ কাজ সাধারণত কি করতে হবে তা উল্লেখ করে। এটি হতে পারে ইমেল রচনা করা বা প্রদত্ত ইমেল ঠিকানায় মেল ফরওয়ার্ড করা।

এই চাকরির জন্য ইংরেজি ভাষা বোঝা এবং লেখার ক্ষমতাও প্রয়োজন। অনেক লোক অধৈর্য হয়ে পড়ে কারণ তাদের প্রচুর সংখ্যক ইমেল নিয়ে কাজ করতে হয়। তবে আপনি যদি ধৈর্য ধরে কাজ করেন তবে আপনি ই-মেইল প্রসেসিং করে ভালো মানের আয় করতে পারবেন।

ওয়েব সিস্টেম
ডেটা এন্ট্রির অন্যতম কাজ হল বিভিন্ন ক্যাটালগ থেকে ডেটা সংগ্রহ করে ওয়েব সিস্টেমে সংগৃহীত ডেটা লেখা। বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত বা তথ্য লেখা এই শ্রেণীর কাজের অন্তর্ভুক্ত। প্রদত্ত উত্স ব্যবহার করে ডেটা একটি ওয়ার্ড নথি বা এক্সেল স্প্রেডশীটে সংগঠিত হয়।

ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায়

ডেটা ফরম্যাটিং
ডেটা ফরম্যাটিং মানে প্রদত্ত ডেটা সঠিকভাবে ফরম্যাট করা অর্থাৎ সাজানো। এই ধরনের কাজের জন্য, বিশাল ডেটা সঠিকভাবে এবং সুন্দরভাবে সংগঠিত করা প্রয়োজন। উচ্চ আয়ের পাশাপাশি, ডেটা ফরম্যাটিং ক্ষেত্রে আরও শ্রমের প্রয়োজন হয়।

কপি এবং পেস্ট
নাম শুনলেই বুঝবেন এটা ডাটা এন্ট্রির সবচেয়ে সহজ কাজ। এটি শুধুমাত্র একটি ফাইল থেকে অন্য ফাইলে (ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা এক্সেল স্প্রেডশীট) পাঠ্য অনুলিপি এবং আটকানো জড়িত। সহজ ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা আছে এমন যে কেউ এই সহজ কাজটি করে আয় করতে পারেন।

ইমেজ টু টেক্সট
এই কাজের নাম শুনলেই বুঝতে পারবেন এটা কী ধরনের কাজ। মূলত একটি ইমেজ থেকে যেকোন টেক্সট যেমন স্ক্রিনশট, ডকুমেন্ট ইত্যাদি এই কাজে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট বা এক্সেল স্প্রেডশিটে লিখতে হয়। এটি করতে গিয়ে সাধারণ শব্দের পাশাপাশি নতুন শব্দও পাওয়া যাবে।

বিন্যাস এবং সংশোধন
যেকোন ধরনের টেক্সট ফরম্যাট করা বা ভুল সংশোধন করা ডাটা এন্ট্রির সবচেয়ে পরিচিত অংশগুলির মধ্যে একটি। এই ডাটা এন্ট্রি টাস্কে বিভিন্ন ডকুমেন্ট ফরম্যাটিং বা সংশোধন কাজ বরাদ্দ করা হতে পারে। এর মধ্যে লেখার ভুল সংশোধন করা অন্তর্ভুক্ত, যেমন ব্যাকরণের ভুল, শব্দের ভুল ইত্যাদি।

পাঠ্য থেকে অডিও
একটি অডিও শোনা হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির আরেকটি বিভাগ যা শব্দ দ্বারা লিখিত শব্দ। এটি সাধারণত ইংরেজিতে কিছু শোনা এবং লেখার সাথে জড়িত, তাই এই কাজটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি শোনা এবং শোনা এবং লেখার একটি শক্তিশালী জ্ঞান থাকতে হবে। এই ধরনের ডেটা এন্ট্রি কাজগুলি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারে।

তথ্য সংগ্রহ
বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা মিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করাকে ডেটা ক্যাপচারিং বলে। ওয়ার্ড বা এক্সেল স্প্রেডশীটে যথাযথভাবে এই ডেটা সংগ্রহ করে এই ধরনের কাজ করা হয়।

ক্যাপশনিং
কোনো ছবি বা ভিডিওর শিরোনাম লেখাকে বলা হয় ক্যাপশনিং। যদিও আপনি এই ধরণের কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন তবে আপনি এই ধরণের কাজ খুব বেশি খুঁজে পাবেন না। তাই অন্যান্য ডাটা এন্ট্রি কাজ বা অন্য কোন ফ্রিল্যান্সিং কাজের পাশাপাশি ক্যাপশনিং করাই ভালো।

কাস্টমাইজড রিপোর্ট
ডেটা এন্ট্রির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের প্রতিবেদন তৈরি করা আয়ের অন্যতম উৎস। মূলত, ক্লায়েন্টের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে, এই কাজে কাস্টমাইজড রিপোর্ট প্রদান করতে হয়। এ ধরনের কাজে শ্রম একটু বেশি এবং আয়ও বেশ ভালো।

ডেটা এন্ট্রি থেকে আয় করতে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন। ডাটা এন্ট্রি করে প্রাথমিকভাবে চাকরি পাওয়া বা ভালো আয় করা বেশ কঠিন। কিন্তু ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে গেলে ডাটা এন্ট্রি করেও ভালো আয় সম্ভব।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করুন

আমারা ডাটা এন্ট্রি কাজের কথা কম বেশি সবাই জানি তবে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি কাজ কিভাবে করে ঘরে বসে ইনকাম করবেন তা চলুন যেনে নিন।

মোবাইল দিয়ে যে কাজ করতে পারবেন আমি সেসকল সাইটে নিয়ে জানাবো ।আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজটি সঠিকভাবে করতে পারেন তবে আপনি প্রতি মাসে 200 থেকে 300 ডলার আয় করতে পারবেন।কিন্তু সমস্যা হল ডাটা এন্ট্রি হল স্প্যামের সবচেয়ে সাধারণ রূপ। তাই কাজ শুরু করার আগে আপনাকে সেই ওয়েবসাইটটি নিয়ে গবেষণা করতে হবে। সঠিক তথ্য নিয়ে কাজ করলে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট হবে না।

মোবাইল দিয়ে জনপ্রিয় ডাটা এন্ট্রি কাজ

বর্তমানে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের চাহিদা অনুযায়ী মোবাইল ডেটা এন্ট্রি কাজের তালিকা উপস্থাপন করা হয়েছে। আমি আশা করি আপনি পুরো বিষয়টি বুঝতে পারবেন।কাজের পরিচয় দিলেই বুঝতে পারবেন কিভাবে কাজটি করতে হয়। প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বুঝুন।এই লিখা পড়ার পরে, আপনি সম্পূর্ণ বিষয় সম্পর্কে একটি সম্পূর্ণ ধারণা পাবেন। এবং আপনি সরাসরি মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করুন
ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকার
ডাটা এন্ট্রি সাধারণত দুই ধরনের হয়, একটি হল অনলাইন ডাটা এন্ট্রি এবং অন্যটি অফলাইন ডাটা এন্ট্রি। যদিও সময়ের সাথে সাথে অফলাইন ডেটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা কমছে, না বললে ভুল হবে।এখন অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা অনেক।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্স ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়ার ১০ টি সহজ উপায়।

বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের জীবনে তথ্য-প্রযুক্তির প্রভাব অনেক ব্যাপক। আর এই ডিজিটাল যুগে ডাটা বা তথ্যই হচ্ছে একটি ব্যবসার অন্যতম চালিকা শক্তি। যার কাছে যতো বেশি ডাটা সে ততো বেশি ব্যবসায়ভাবে লাভবান। যদি এক কথায় বলতে হয় তবে বলতে হবে ডাটার মাধ্যমেই কাস্টমারের রুচি, পছন্দ, সমস্যা জানা যায় এবং একটি ব্যবসা সেই অনুসারে তার প্রোডাক্ট সাজাতে পারে, মার্কেটিং বা প্রচার করতে পারে। আর এ কারণেই ছোট থেকে বড় কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান, ডাটা সংগ্রহ, ম্যানেজমেন্ট এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে নতুন নতুন স্ট্রাটেজি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর সেই সাথে এর সাথে সম্পর্কিত জবের সুযোগও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।

ডাটা এন্ট্রি একটি এন্ট্রি লেভেলের জব হলেও যাদের মেধা আছে, সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনা করতে পারে তাদের এখানে ভালো করার সুযোগ আছে। আর যেহেতু শিক্ষাগত যোগ্যতা এই পেশায় খুব বেশি প্রয়োজন হয় না, বাংলাদেশের মতো জায়গা থেকেও সমগ্র বিশ্বে ভালোভাবে ডাটা এন্ট্রি ক্যারিয়ার গড়া যায়। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া বা পাকিস্তান ডাটা এন্ট্রি জবে সমগ্র বিশ্বে বেশ ভালো পজিশনে আছে। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা যেখানে অনলাইনের মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে কাজ করা যায়। সুতরাং আপনিও গ্রাম কিংবা শহর যেখানেই হোক খুব সহজেই ডাটা এন্ট্রি পেশা গড়তে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি কি?

কম্পিউটারে বিশেষ সফটওয়্যারের সাহায্যে কীবোর্ড কিংবা ভয়েসের মাধ্যমে তথ্য ইনপুট দেওয়ার নামই ডাটা এন্ট্রি। ইন্টারনেট বা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেক ধরণের ডাটা এন্ট্রি করা হয়। যেমন, টাইপিং, ফর্ম ফিলআপ, অনলাইন সার্ভে, কপি-পেস্ট, ক্যাপশন তৈরি,  ডাটা এডিটিং, ফরমেটিং, কারেকশন, ডাটাবেজ আপডেটিং, ওয়েবপেজ কিংবা ইকমার্সে ডাটা এন্ট্রি, ক্যাপচা এন্ট্রি ইত্যাদি। এরকম প্রায় চল্লিশ-পঞ্চাশ প্রকারের ডাটা এন্ট্রি জব আছে যা বাংলাদেশ থেকে খুব সহজে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে করা যায়।

ডাটা এন্ট্রির কি চাহিদা আছে?

অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে আসা অনেকেই প্রশ্ন করে ডাটা এন্ট্রির চাহিদা আছে কিনা বা ভবিষ্যতে থাকবে কিনা? আসলে এআই এর উন্নতির সাথে সাথে এরকম চিন্তা অনেকেই করছেন। তবে সত্য হচ্ছে ডাটা এন্ট্রির অনেক কাজ আছে এবং এর চাহিদা সারা জীবন থাকবে। যার কয়েকটি আমি উপরে উল্লেখ করেছি। কারণ এআই মানুষের মতো সব কাজ সঠিকভাবে করতে পারে না। সুতরাং তথ্য-প্রযুক্তির যতো উন্নতি হতে থাকবে ডাটা এন্ট্রি কাজের চাহিদা বাড়তেই থাকবে।

ডাটা এন্ট্রি জব কীভাবে পাবো?

ডাটা এন্ট্রি কাজ মোটামুটি সহজ হলেও আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষ না হলে ডাটা এন্ট্রি জব পাওয়া বর্তমানে সহজ নয়। এজন্য আপনাকে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। যদিও আপনি মাস দুয়েক সময় দিলে এসব দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং ডাটা এন্ট্রি কাজ শুরু করতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রি শেখার উপায়

সহজেই ডাটা এন্ট্রি শেখার উপায় : সোশ্যাল মিডিয়া আর প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা প্রায় সবাই ‘ডাটা এন্ট্রি’ কথাটির সাথে পরিচিত। যারা ডাটা এন্ট্রি করে  জীবিকা নির্বাহ করতে চান তাদের জন্য এটি একটি খুব জনপ্রিয় শব্দ। কিন্তু ডাটা এন্ট্রি আসলে কি? ডাটা এন্ট্রির কাজ কে করতে পারে এবং কত টাকা আয় করা যায়?

ডাটা এন্ট্রি  চাকরি
ডাটা এন্ট্রির চাকরিতে একজন প্রফেশনালকে যেসব দায়-দায়িত্ব পালন করতে হয়:

ডাটা এন্ট্রির ডকুমেন্টগুলো প্রস্তুত, ডাটা ইনপুট ও সংকলন করা
কাগজ থেকে কম্পিউটার ফাইলে ডাটা স্থানান্তর
ডাটা চেক করা এবং কোনো ভুল থাকলে তা সংশোধন করা
প্রয়োজনে ডকুমেন্ট স্ক্যান ও প্রিন্ট করা
ডাটার গোপনীয়তা রক্ষা করা
রিপোর্ট প্রস্তুত করা, ইত্যাদি।
ডাটা এন্ট্রির চাকরির ধরন
দুটি প্রধান ডাটা এন্ট্রি কাজের ধরন আর বৈশিষ্ট্য দেয়া হল:

১। রিমোট

২। ফুলটাইম চাকরি


১। রিমোট (ফ্রিল্যান্স) :
একজন রিমোট ওয়ার্কার কিংবা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি ঘরে বসে কিংবা যেকোনো জায়গা থেকে কাজ করতে পারবেন।
আপনার পছন্দমতো সময়ে কাজ করতে পারবেন।
সাধারণত রিমোট কাজে কীস্ট্রোক অনুযায়ী বা প্রজেক্ট অনুযায়ী পে করা হয়।
রিমোট ওয়ার্কারদের নির্ভরযোগ্যতা, কাজের দক্ষতা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার প্রবণতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়।


একাডেমিক পড়াশোনা অথবা ফুলটাইম চাকরিজীবী হওয়ার পাশাপাশি রিমোট ডাটা এন্ট্রির চাকরি আপনাকে আরও বেশি উপার্জনের সুযোগ করে দিতে পারে।
২। ফুলটাইম চাকরি (In-house Job)
রিমোট কাজ না হলে সাধারণত ঘণ্টা হিসেবে পে করা হয়।
এক্ষেত্রে বোনাস, ছুটি, স্বাস্থ্য সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়।
কাজের গতি, নির্ভরযোগ্যতা ও নির্ভুলতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়।


ডাটা এন্ট্রি জব -এ স্যালারি
পেমেন্ট পদ্ধতি এবং পরিমাণ এই কাজের প্রকৃতি এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। কর্পোরেট কাজের ক্ষেত্রে প্রকল্প অনুযায়ী পেমেন্ট দেওয়া যেতে পারে। এটি প্রতি মিনিট বা প্রতি কীস্ট্রোক বা প্রতি ঘন্টায়ও দেওয়া যেতে পারে।

PayScale অনুযায়ী, এই সেক্টরে মজুরি প্রতি ঘন্টায় $11 থেকে $17 পর্যন্ত। অধিক অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের বেতন বেশি। তাদের গড় মজুরি ঘণ্টায় ১৪.৪১ ডলার।

অর্থপ্রদানের হার সাধারণত টাইপিং গতির উপর নির্ভর করে। তাই আপনি যদি দ্রুত টাইপ করতে পারেন তবে কীভাবে ডেটা প্রবেশ করতে হয় তা শিখুন এবং কাজ করুন।

ডাটা এন্ট্রির চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা
ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট, স্প্রেডশিট এবং ইংরেজিতে ভালো কমান্ডের মতো ভালো সফ্টওয়্যার দক্ষতা থাকলে যে কেউ এই সেক্টরে চাকরি শুরু করতে পারেন। এই চাকরির জন্য সাধারণত কোন বিশেষ শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি এমন প্রার্থীদের পছন্দ করেন যারা কমপক্ষে মাধ্যমিক বা উচ্চ বিদ্যালয় সম্পন্ন করেছেন। কিছু ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রয়োজন।

আর আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচ্য বিষয় এটিই। অর্থাৎ বাংলাদেশে বসে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়ার ১০ টি সহজ উপায়।

১. টাইপিং এ দক্ষ হওয়া

ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রথম শর্ত হলো আপনার টাইপিং স্কিল বৃদ্ধি করা। অবশ্যই আপনাকে কীবোর্ড না দেখে দ্রুত টাইপ করতে পারতে হবে এবং আপনার টাইপিং সর্বদা নির্ভুল হতে হবে। আসলে কম্পিউটারে যেকোন কাজের জন্য টাইপিং স্কিল খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার টাইপিং স্পিড প্রতি মিনিটে ৩৫ ওয়ার্ড এর নিচে হলে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ভালো করতে পারবেন না। আরও বেশি হলে সেটা আপনার জন্য ভালো। আপনার ইনকাম বেশি হবে এবং আপনার ক্যারিয়ারও দ্রুত উন্নতির দিকে যাবে।

২. কম্পিউটারে বেসিক জ্ঞান রাখা  

তারপর আসে কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান জানা। অর্থাৎ আপনি হয়তো টাইপিং শিখেছেন কিন্তু কম্পিউটারের অন্যান্য বিষয় তেমন জানেন না। যেমন ধরুণ আপনি কম্পিউটারে কীভাবে ফাইল সেভ করতে হয় জানেন না, ইন্টারনেট কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানেন না। এগুলা কম্পিউটারের বেসিক স্কিল। সুতরাং এগুলা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। সেই সাথে কম্পিউটারের প্রিন্টার, রাউটার, ইউপিএস কীভাবে কাজ করে, সমস্যা হলে দ্রুত কীভাবে সমাধান করবেন ইত্যাদি ব্যাপারও আপনাকে আয়ত্তে রাখতে হবে।

৩. যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করুন

ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্য আপনাকে ইংরেজি ভাষায় ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ বেশিরভাগ ডাটা এন্ট্রি কাজ ইংরেজিতেই হবে। সুতরাং আপনার ইংরেজি লেখা এবং পড়ায় ধীরে ধীরে আপগ্রেড করতে হবে। সেই সাথে আপনাকে ইংরেজিতে যোগাযোগ দক্ষতাও ভালো হতে হবে। যেহেতু আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করবেন সুতরাং যোগাযোগ দক্ষতা ভালো না হলে আপনি ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ বুঝে নিতে পারবেন না, আবার তাকে কাজ ডেলিভারি দিতেও সমস্যায় পড়বেন।

৪. বেসিক সফটওয়্যার জ্ঞান রাখা


সাধারণত আপনাকে কোন না কোন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে হবে। এটা অবশ্য কোম্পানীভেদে ভিন্ন হয়। সুতরাং আমি স্পেসিফিক কোন সফটওয়্যারের নাম বলছি না। সাধারণত একটি সফটওয়্যার কীভাবে ইনস্টল করতে হয়, কীভাবে আনইনস্টল করতে হয় ইত্যাদি বিষয় জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া একটি সফটওয়্যার কীভাবে কাজ করে তা দ্রুত বুঝে নিতে পারাও প্রয়োজন। মাইক্রোসফট অফিস এবং গুগল ওয়ার্কস্পেস সম্পর্কে ভালো আইডিয়া নিন। সুতরাং আগে থেকে আপনার এসব বিষয়ে জ্ঞান না থাকলে আপনি ভালো করতে পারবেন না। এজন্য আপনি যখন ডাটা এন্ট্রি শিখবেন তখনই ট্রেইনারেকে এসব বিষয় নিয়ে প্র্রশ্ন করুন।

৫. টাইম ম্যানেজমেন্ট শিখুন

ইয়েস। টাইম ম্যানেজমেন্ট সকল ফ্রিল্যান্সিং কাজেই অতীব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। দ্রুত সময়ে কাজ বুঝে নেওয়া, রেসপন্স করা এবং কাজ রিটার্ন দেওয়া খুব দরকার। অন্যথায় ক্লায়েন্ট আপনার প্রতি অখুশি হবে এবং আপনার ফিডব্যাক খারাপ হয়ে যাবে। একইভাবে কাজের ডেডলাইন মাথায় রেখে সম্পূর্ণ কাজ ডেলিভারি দেওয়াও প্রয়োজন। আপনার সমস্যা থাকবে আবার পরিবারের চাপ থাকবে তবুও সঠিক সময়ে ক্লায়েন্টকে ম্যানেজ করে কাজ করতে পারা একটি দরকারী দক্ষতা।

৬. রিসার্চ স্কিল তৈরি করুন


ডাটা এন্ট্রির অনেক কাজ আছে যা আপনাকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে করতে হবে। দ্রুততর সময়ের মধ্যে সেগুলা না করতে পারলে আপনি ক্লায়েন্টকে খুশি করতে পারবেন না। আর এজন্য আপনার গবেষণার দক্ষতা উন্নত করতে হবে। সেই সাথে দ্রুত কীভাবে তথ্য খুঁজে পেতে হয় সেই ধারণাও আপনার থাকতে হবে। এসব ব্যাপারে আপনাকে কাজে বিড করার আগেই দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এজন্য গুগল এবং সার্চ ইঞ্জিনে কীভাবে তথ্য কালেক্ট করতে হয় তা জানতে হবে।  না হলে আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজে সুবিধা করতে পারবেন না।

৭. ওয়েবসাইট কীভাবে কাজ করে তার বেসিক শিখুন

অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনাকে অনলাইনেই করতে হবে। হয়তো একটি ওয়েবসাইট দিয়ে দেওয়া হলো সেখান থেকে ডাটাগুলো এক্সেল শিটে নিতে হবে। আপনার এক্সেল থেকে ওয়েবেও ডাটা এন্ট্রি করা লাগতে পারে। সেহেতু এ ধরণের দক্ষতা না থাকলে আপনি পিছিয়ে যাবেন। এ ধরণের কাজে পেমেন্টও বেশি পাওয়া যায়। ‍সুতরাং একটি ওয়েবসাইটের বেসিক যেমন এইচটিএমএল, সিএসএস বা ওয়ার্ডপ্রেস কীভাবে কাজ করে ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাহলে আপনার কনফিডেন্স বেশি থাকবে।

৮. ডাটাবেজ স্কিল গ্রো করুন

যেহেতু ডাটা এন্ট্রির কাজ করবেন সুতরাং আপনার অনেক কাজই ডাটাবেজ নির্ভর হবে। যেমন ইকমার্স সাইটে ডাটা এন্ট্রি বা কাস্টমার ডাটা কালেকশন ইত্যাদি। আবার এআই কাজেও ডাটা ইনপুটের প্রয়োজন পড়ে বেশ। আর এক্ষেত্রে আপনার ডাটাবেজ স্কিল না থাকলে বড় বড় ডাটা এন্ট্রি কাজ হারাবেন। এসব কাজের ভবিষ্যৎ চাহিদাও অনেক। আপনি যতো দ্রুত এসব স্কিল বৃদ্ধি করতে পারবেন ততই ডাটা এন্ট্রি মার্কেটে আপনি ভালো করবেন। শুধু মাত্র টাইপিং স্কিল দিয়ে ডাটা এন্ট্রিতে সামনের দিনগুলোতে ভালো করা কঠিন হবে।

৯. একুরেসি নিয়ে আসুন


টাইপিং দ্রুত করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তার থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একুরেসি ঠিক রাখা। অর্থাৎ আপনার এন্ট্রি যদি ভুল হয় তাহলে তার ফলাফল সঠিক দিবে না। আর ক্লায়েন্ট এ ধরণের ভুল কখনই সহ্য করবেন না। তাদের দরকার একুরেট ডাটা এন্ট্রি। আর এজন্যই তারা আপনাকে হায়ার করেছে। আর আপনি যদি ভুল তথ্য প্রবেশ করান তাহলে তা কখনই ভালো নয়। আর এজন্য আপনাকে টাইপং স্পিড বৃদ্ধি করার সাথে সাথে একুরেসি নিয়ে ভাবতে হবে। বার বার প্রাকটিস করতে হবে। নিজেকে আপগ্রেড করতে হবে।

১০. টিমওয়ার্ক শিখুন

এই যুগে এসে একটি অতীব প্রয়োজনীয় দক্ষতা এটি। আপনি টিমওয়ার্ক করতে না পারলে কোন জবেই ভালো করবেন না। আপনার প্রমোশন আটকে যাবে। আর ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে টিম ওয়ার্ক করা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি কোম্পানীতে হয়তো ১০ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আছেন আর তাদের সাথে আপনার কাজ করতে হবে। সবার সাথে সঠিকভাবে কৌশলী হয়ে কাজ করা ছাড়া আপনি এগিয়ে যেতে পারবেন না। সুতরাং টিমওয়ার্ক কীভাবে করতে হয় এবং কীভাবে আরও ভালো করা যায় সে বিষয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি অর্জন করার উপায়


কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি অর্জন করার উপায় খুব কঠিন কিছু নয়। আমরা সবাই নিজ নিজ ক্যারিয়ারে সফল হতে চাই। কর্মক্ষেত্রে সফল মানে সর্বোচ্চ প্রোডাক্টিভিটির সাথে নিজের কাজ করতে পারা, এবং সেই কাজ দিয়ে নিজের আর্থিক, সামাজিক ও অন্যান্য সবকিছুকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া।

আপনি যে ক্ষেত্রেই কাজ করেন না কেন, কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি আপনার মাঝে থাকলে আপনি সেই ক্ষেত্রের সেরাদের একজন হয়ে উঠবেন। এর ফলে, আর্থিক অবস্থার সাথে বাকি সবকিছুরই উন্নতি হবে। আপনি সন্তুষ্ট সুখী জীবন যাপন করবেন।

যে কোনও কর্মক্ষেত্রেই বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। বিশেষ করে নতুন ক্যারিয়ার শুরু করলে চ্যালেঞ্জগুলোকে অনেক সময়েই বেশ কঠিন মনে হয়। কিন্তু কিছু বিশেষ গুণাবলি নিজের মাঝে আনতে পারলে আর কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারলে – এই চ্যালেঞ্জগুলো পার করে কর্মক্ষেত্রে দারুন সফল হওয়া যায়। চলুন এক নজরে কাজের ক্ষেত্রে সফল হওয়ার প্রধান গুণগুলো দেখে নেয়া যাক।

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি:
– সঠিক ভাবে নিজের কাজ বুঝে নেয়া
– গুছিয়ে কাজ করা
– দক্ষতা অর্জন ও সব সময়ে তাকে উন্নত করা
– কাজের প্রতি আন্তরিকতা
– সহকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক
– যোগাযোগ দক্ষতা
– নিজের যোগ্যতা তুলে ধরার ক্ষমতা
– রেষারেষি বা বিবাদ এড়িয়ে চলার ক্ষমতা
– কোটার বদলে নিজের ক্ষমতার পুরোটা দিয়ে কাজ করা
– কথা ও কাজে মিল রাখা


আজ আপনাকে যে কয়েকটি উপায় বলব, সেগুলোর সবগুলোই আপনাকে কাজের ক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি অর্জন করতে সাহায্য করবে।

কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার উপায়:
কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি অর্জন করার উপায় গুলো চর্চা করলে, উপরে বলা গুণগুলো ধীরে ধীরে আপনার মাঝে প্রকাশ পেতে থাকবে। আর গুণগুলো প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে কর্মক্ষেত্রে আপনার অবদান ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। এর ফলে আপনি দিন দিন সফল থেকে আরও সফল হবেন।

চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার গুণাবলি কিভাবে অর্জন করবেন:

০১. কাজের প্রতিটি বিষয়ে গভীর মনোযোগ দিন
আপনি যে কাজই করেন না কেন, কাজের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি গভীর মনোযোগ দিন। কিভাবে কাজ হচ্ছে, আপনার কাজের ফলে কোথায় কি পরিবর্তন হচ্ছে – সব বিষয় গভীর ভাবে খেয়াল করুন। এতেকরে, কাজের বিষয়ে সবকিছু আপনার নজরে আসবে।
যতক্ষণ কাজ করবেন – কাজে পূর্ণ মনোযোগ বা ফোকাস রাখুন। এর ফলে কাজটিকে আপনি খুব ভালোমত বুঝতে পারবেন।


আপনার কাজ যদি হয় সাধারণ ডাটা এন্ট্রি করা, তাহলে ডাটা গুলো কোথা থেকে আসছে, কি কাজে লাগছে, সেগুলো কিভাবে ব্যবহার হচ্ছে – এগুলো গভীর মনোযোগের সাথে বোঝার চেষ্টা করুন। কি কাজ করছেন – এই বিষয়ে ফোকাস করার পাশাপাশি, কেন কাজটি করছেন – সেই বিষয়েও খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে সিনিয়রদের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করে কাজের ব্যাপারে সবকিছু জেনে নিন।
আপনার কাছ থেকে কি চাওয়া হচ্ছে এটা খুব ভালো ভাবে বোঝার চেষ্টা করুন,এবং সেই অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করুন।


এতেকরে কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ বাড়বে, এবং আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন। সঠিক ভাবে নিজের কাজ বুঝে নেয়ার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি এটি।
এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কালচার এবং নিয়মগুলোকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন এবং কি কারণে এগুলো জারি করা হয়েছে – তা বোঝার চেষ্টা করুন। তাহলে নিয়ম মেনে চলা আপনার জন্য সহজ হবে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য যথাযথ ভাবে নিজের কাজ বুঝে নেয়া, এবং প্রতিষ্ঠানের নিয়মগুলো সুন্দর ভাবে মানার কোনও বিকল্প নেই।

০২. পরিকল্পনা করে কাজ করুন
গুছিয়ে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ছকে বাঁধা পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। কোন দিন কোন কাজ করবেন – কতটুকু কাজ করবেন, এগুলো রুটিন করে নিন।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একটা রুটিন দেয়া হবে, আর সেই রুটিন ফলো করার জন্য আপনার নিজেরও একটি রুটিন থাকতে হবে। নিজের একটি খাতা/বোর্ড অথবা কম্পিউটারের ফাইলে করণীয় কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন।
আগের দিন অফিস থেকে বের হওয়ার সময়েই পরের দিন কি করবেন – তা ঠিক করে রাখুন। এতে পরদিন অফিসে এসে কি কাজ করবেন – এ নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না। কাজে এসেই আপনি নিজের কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।


মাঝে মাঝে হয়তো আপনার নিজের শিডিউলের বাইরেও কাজ এসে পড়বে – তাতে কোনও অসুবিধা নেই। সেগুলোও নিজের শিডিউলের মধ্যে রেখে দেবেন।
এভাবে গুছিয়ে কাজ করতে পারলে অনেক বেশি প্রোডাক্টিভিটির সাথে কাজ করতে পারবেন – যা কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়ার পথ অনেক সহজ করবে।
অগোছালো ভাবে কাজ করলে কখনওই আপনি নিজের মেধা ও দক্ষতার পুরোটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। কাজেই, যতটা সম্ভব পরিকল্পনামাফিক গুছিয়ে কাজ করার চেষ্টা করুন।

০৩. সব সময়ে নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন
আপনি যে ধরনের কাজেই করেন না কেন, সেই বিষয়ে সবকিছু জাানা সম্ভব নয়। প্রতিটি বিষয়ই দিন দিন আপডেট হচ্ছে। সময়ের সাথে আপনিও যদি নিজেকে আপডেট করতে পারেন, তবে কর্মক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে যাবেন।
আপনি যদি একজন মার্কেটার হন, তবে প্রতিদিন মার্কেটিং বিষয়ে কিছু না কিছু পড়ার চেষ্টা করুন। এ্যাকাউন্টেন্ট, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার – যেটাই হোন না কেন – চাইলেই নতুন নতুন বিষয় শিখতে পারবেন।


ম্যাগাজিন, বই, টিউটোরিয়াল, রিসার্চ পেপার গুলোতে প্রতিদিনই নতুন নতুন বিষয় নিয়ে আলোচনা আসছে। এখন ইন্টারনেটের কল্যানে যে কোনও বিষয়েই আপডেট থাকা অনেক সহজ হয়ে গেছে। শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছা। এর বাইরে সময় পেলে নতুন নতুন কোর্স করুন, সিনিয়রদের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করুন।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা সেলস ও সেলফ ডেভেলপমেন্ট কোচ ব্রায়ান ট্রেসির মতে, যদি কেউ তার ইনকাম এর ৩% নিজের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য খরচ করে – তবে সে অচিরেই তার সেক্টরের সেরাদের একজন হয়ে উঠবে।
আপনি যদি সব সময়ে আপনার কাজের বিষয়ে দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়ান, তবে তা আপনার কাজেও প্রতিফলিত হবে। দিনে দিনে আপনি কাজে আরও দক্ষ হয়ে উঠবেন।

০৪. কাজকে শুধু টাকা বানানোর উৎসের চেয়ে বেশিকিছু ভাবুন
যেসব মানুষ ক্যারিয়ারে সফল হতে পারে না, তাদের বেশিরভাগই কাজকে শুধু টাকা রোজগারের হাতিয়ার মনে করে। দক্ষতা থাকলেও এসব মানুষ ক্যারিয়ারে বেশিদূর যেতে পারে না।

১৯৭০ দশকে আর্ল নাইটেঙ্গেলকে বলা হত সেলফ ডেভেলপমেন্টের বিশ্বগুরু। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি গুলোর একটি হল, “আপনার কাজ যেটাই হোক, সেটা আপনাকে আকাশে তুলে দিতে পারে – যদি আপনি কাজের প্রতি আন্তরিক হন”
কাজকে শুধুই টাকার মেশিন বানালে আপনি কোনওদিন কাজ করে সত্যিকার আনন্দ পাবেন না। ফলে কাজের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ দেয়া বা নতুন কিছু শেখার আগ্রহও আপনার মাঝে আসবে না।
এর ফলে আপনি ক্যারিয়ারে যেখানে আছেন, সেখানেই থেকে যাবেন। অন্যদিকে, যদি কাজের প্রতি সত্যিকার আন্তরিক থাকেন, অর্থাৎ কাজকে যদি ভালোবাসেন, এবং নিজের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মনে করেন – তবে কাজও আপনাকে তেমন প্রতিদানই দেবে।


ভারতীয় বিলিওনেয়ার এবং উপমহাদেশের ব্যবসা জগতের লিজেন্ড রতন টাটা একজন সাধারণ নিন্মশ্রেণীর কর্মী হিসেবে টাটা গ্রুপে যাত্রা শুরু করেছিলেন, কিন্তু কাজের প্রতি আন্তরিকতা দিয়ে তিনি এক সময়ে সেই কোম্পানীরই প্রধান হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।
টাটার মত এমন অসংখ্য উদাহরণ আমাদের আশপাশেই রয়েছে। বহু মানুষ খুব সাধারণ ভাবে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ শুরু করে নিজের যোগ্যতাকে এমন জায়গায় নিয়ে 

গেছেন – যার ফলে তাঁরা সেই প্রতিষ্ঠানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা পেয়েছেন।
শুধুমাত্র টাকার জন্য কাজ না করে, প্রতিষ্ঠানকে সেবা করার জন্য কাজ করুন – এতে করে কাজের প্রতি সত্যিকার আন্তরিকতা আসবে। তাহলে দেখবেন কাজ করে আনন্দ পাচ্ছেন, কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতাকে তুলে ধরতে পারছেন – ফলে অবধারিত ভাবেই দিন দিন আপনি কর্মক্ষেত্রে সফল হতে থাকবেন।

০৫. সহকর্মীদের সাথে সব সময়ে ভালো আচরণ করুন
কর্মক্ষেত্রে সফল হতে চাইলে সহকর্মীর সাথে সুসম্পর্কের কোনও বিকল্প নেই। সত্যি কথা বলতে, এটা অন্যতম জরুরী বিষয়। সহকর্মী বলতে এখানে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান-সিইও থেকে শুরু করে ঝাড়ুদার পর্যন্ত সবাইকেই বোঝানো হচ্ছে।

সহকর্মীদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার জন্য খুব সহজ কয়েকটি বিষয় মেনে চলুন, তাহলেই হবে।
হাসিখুশি থাকুন: সহকর্মীদের সাথে অহেতুক গম্ভীর হয়ে থাকবেন না। সব সময়ে গম্ভীর হয়ে থাকা মানুষের সঙ্গ কেউ উপভোগ করে না। সব সময়ে গম্ভীর হয়ে থাকলে অন্যরা আপনার কাছে ঘেঁষতে চাইবে না। এর ফলে সহকর্মীদের সাথে আপনার ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠতে সমস্যা হবে। সব সময়ে হাসখুশি থাকুন। সবাই যেন বুঝতে পারে আপনি তাদের সঙ্গ উপভোগ করছেন। তাহলে তাঁরাও আপনার সঙ্গ উপভোগ করবেন।
 

অহেতুক কারও সময় নষ্ট করবেন না: সবার সাথে সৌজন্যমূলক সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখবেন – যেন আপনার কারণে কারও কাজের সময় নষ্ট না হয়। এতে সহকর্মীরা বিরক্ত হবে এবং আপনাকে এড়িয়ে চলতে চাইবে। এছাড়া আপনাকে গায়ে পড়া এবং ব্যক্তিত্বহীন মানুষ বলে মনে করবে।

আপনাকে আন্তরিকতা ও অন্যের গায়ে না পড়া – এ দুইটি বিষয় ব্যালেন্স করে চলতে হবে। যদি কাউকে জরুরী কাজ করতে দেখেন – তবে তার সাথে গল্প জুড়ে দেবেন না। প্রয়োজনীয় কাজের কথা থাকলে কথা সেরে চলে আসুন।

সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য লাঞ্চ বা অফিস শেষের সময়ের মত ফ্রি-টাইম বেছে নিন।
ভালো একজন টিম মেম্বার হয়ে উঠুন: একজন ভালো টিম মেম্বার নিজের স্বার্থের আগে টিমের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেয়। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই এক একটি টিম। প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি মানুষেরই সেটিকে সঠিক ভাবে চালানোর  পেছনে অবদান আছে। টিম ওয়ার্ক ছাড়া কোনও প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। আর যেসব কর্মী নিজেকে যোগ্য টিম মেম্বার হিসেবে প্রমাণ করতে পারে, তাদের ক্যারিয়ারই সবচেয়ে সফল হয়।


ভালো টিম মেম্বার হতে সব সময়ে নিজের স্বার্থের আগে টিমের বা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ দেখতে হবে। এবং অন্যদের যথাসাধ্য সাহায্য করতে হবে। অন্যদের কাছ থেকে যেমন আপনি শিখবেন, তেমনি আপনি যা জানেন – সেটাও অন্যদের শেখান। এতে টিমের সদস্যদের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে, এবং আপনার সত্যিকার দক্ষতা ও জ্ঞানকে আপনি প্রকাশ করতে পারবেন।
 

অফিস পলিটিক্স ও বিবাদ এড়িয়ে চলুন: অফিস পলিটিক্স যারা করে, তারা কখনওই দীর্ঘ মেয়াদে কর্মক্ষেত্রে সফল হতে পারে না। আর এটা তারাই করে যারা সত্যিকার কাজে দক্ষ নয়, তাই অন্যভাবে সফল হতে চায় – যেটা আদতে সম্ভব নয়।
কোনও সহকর্মীর কাছে অন্যের নামে দুর্নাম তো করবেনই না – কেউ যদি অন্য কারও নামে আপনার কাছে দুর্নাম করে – তাতেও যোগ দেবেন না। নেগেটিভ কথার বদলে সব সময়ে পজিটিভ কথা বলুন।


কর্মক্ষেত্রে দ্বিমত থাকবেই, কিন্তু একে কখনও বিবাদে পরিনত হতে দেবেন না। রাগারাগি, গোলমাল সব সময়ে এড়িয়ে চলুন। কর্মক্ষেত্রে শত্রু তৈরী হয়ে গেলে সেখানে সাফল্য পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। কাজের বিষয়ে দ্বিমত হলেও সেটা যেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে না যায় – সেই ব্যাপারে সচেতন থাকুন।
কর্মক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক রাখার আরও পরামর্শ পেতে আমাদের ”সহকর্মীর সাথে সুসম্পর্ক কিভাবে গড়বেন” লেখাটি পড়ুন।

০৬. একটু বেশি কাজ করুন
আপনার জব ডেসক্রিপশনে হয়তো দেয়া আছে দিনে ৮ ঘন্টা ডিউটি। বেশিরভাগ কর্মীই ঘড়ি ধরে কাজ করেন, এবং সময় পার হয়ে গেলে আর কাজ করতে চান না। কিন্তু আপনি যদি কর্মক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য চান – তবে এই কোটার বাইরে বের হয়ে আসুন।

অসাধারণ সফল কর্মীরা কোটার বদলে নিজের পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে কাজ করেন। তাঁদের কোটা যদি হয় ৮ ঘন্টা , এবং এনার্জি থাকে ১০ ঘন্টা কাজ করার – তবে তাঁরা অন্তত ৩০ মিনিট বেশি কাজ করেন। তাঁরা তাঁদের কোটা পূর্ণ করার চেয়ে নিজের ক্ষমতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে বেশি আগ্রহী। তাঁরা সব সময়ে নিজের সেরা পারফর্মেন্স দেয়ার চেষ্টা করেন।

এতে তাঁদের নিজের কাজ করতে পারার লিমিটও ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। অর্থাৎ কাজ করার এনার্জি ও দক্ষতা বেড়ে যায়। এবং এক সময়ে না এক সময়ে এটা অন্যদের চোখে পড়ে। যেটা তাঁদের একটির পর একটি সাফল্যের সিঁড়ি টপকে যেতে সাহায্য করে।

উপসংহার:
বন্ধুগণ আজকে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কিত সকল তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি এবং ডাটা এন্ট্রি কি সে বিষয়টি আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা চালিয়েছে।ডাটা এন্ট্রি নিয়ে আপনি যদি এরিয়ার গঠন করেন তাহলে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন ধৈর্যের সহিত কাজ করলে কখনোই আপনি বিফলে যাবেন না। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের সকলের মন্তব্য আশা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

Read More: কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Post a Comment

0 Comments