কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় | ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্যে কি কি অনলাইন কাজ রয়েছে

অনলাইন ইনকাম

কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় | ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্যে কি কি অনলাইন কাজ রয়েছে

ঘরে বসে ইনকাম

ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার জন্যে কি কি অনলাইন কাজ রয়েছে ?
অনলাইন ইনকাম

কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় (work from home and earn money online) এবং অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো কি কি ? আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমি এই দুটু প্রশ্নের উত্তর একি জায়গায় দিয়ে দিচ্ছি। ঘরে বসে ইনকাম করার সেরা এবং লাভজনক উপায় হিসেবে আমি নিচে কিছু জনপ্রিয় অনলাইন কাজ গুলোর বিষয়ে আপনাদের বলবো।
ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায় ?

এমনিতে, আমি আগেও আপনাদের ইন্টারনেট থেকে টাকা আয় করার বিভিন্ন উপায় বলেছি।
তবে, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা কেবল সেই অনলাইন ইনকাম পদ্ধতি (Best Work from home online jobs list) গুলোর বিষয়ে বলবো যেগুলো ঘর থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে সেরা এবং লাভজনক।

Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়

হতে পারে আপনি একজন ছাত্র, মহিলা বা full-time job করা একজন ব্যক্তি।
তবে চিন্তা নেই, প্রত্যেকেই এই অনলাইন ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করে ঘরে বসে অনলাইনে রোজগার করতে পারবেন।
এমনিতে, আপনারা যদি ঘরে বসে মোবাইলে আয় করার উপায় খুঁজছেন, তাহলে সেই বিষয়েও আমি আগেই আর্টিকেল লিখেছি।
Corona virus এর এই জটিল মহামারীর সময় আমরা প্রত্যেকেই ঘরে বসে রয়েছি।

এক্ষেত্রে আমাদের হাতে সময় প্রচুর রয়েছে, এবং আমরা চাইলে অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারি।
হে, ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ধরণের কাজ গুলো করে আজ বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার লোকেরা লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।
তবে, এই সুযোগের লাভ নিয়ে আপনিও অনলাইনে ঘরে বসে আয় করুন এটাই আমার পরামর্শ।
ঘর থেকে কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার প্রচুর ধর্য্য রাখতেই হবে এবং কিছুটা সময় দিয়ে সঠিক ভাবে কাজ করতে হবে।

কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়

দেখুন বন্ধুরা, ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় গুলির ক্ষেত্রে অনলাইন পদ্ধতি (online income tips in Bangla) প্রচুর রয়েছে।
তবে, এই প্রচুর অনলাইন উপায় গুলোর মধ্যে আমি কেবল সেই উপায় গুলোর বিষয়ে বলবো যেগুলোর মাধ্যমে বর্তমানে লোকেরা প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।
এই কাজ গুলো করার জন্য আপনার কাছে একটি computer desktop বা laptop এবং internet থাকলেই হবে।

তবে, প্রায় কিছু সংখ্যক কাজ গুলো আপনারা নিজের মোবাইল থেকেও করে নিতে পারবেন।
এছাড়া, আমি আপনাকে কেবল সেই কাজ গুলো করার পরামর্শ দিবো যেগুলোর সাথে জড়িত জ্ঞান আপনার রয়েছে।
এনাহলে, কাজ গুলো করতে আপনার রুচি থাকবেনা বা কাজ গুলো শিখতে আপনার অনেক সময় লেগে যেতে পারে।
তাই, নিজের interest হিসেবে home based online work গুলো করার পরামর্শ আমি দিচ্ছি।
Table Of Contents

    ১. কনটেন্ট রাইটিং
    ২. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার
    ৩. Meesho app
    ৪. Blogging
    ৫. YouTube channel
    ৬. Graphics designer
    ৭.অনলাইন টিউশন (online tutor)
    ৮. ওয়েবসাইট ডেভেলপার
    ৯. ডিজিটাল মার্কেটিং
    ১০. অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম
    ১১. অনলাইনে ছবি বিক্রি করুন
    ১২. ডাটা এন্ট্রি জব
    ১৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং
    ১৪. ফ্রিল্যান্সিং
    ১৫. কোডিং (coding)
    ১৬. App design / developing


ঘরে বসে ইনকাম করতে চান ? অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করুন
তাহলে চলুন, ঘর থেকে কাজ করে অনলাইনে টাকা আয় (How to make money online) করার কি কি সেরা পদ্ধতি রয়েছে সেগুলোর তালিকা দেখেনেই।
earn money online from home

চলুন, প্রত্যেকটি বিষয় গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত ভাবে চর্চা করাযাক।

১. কনটেন্ট রাইটিং

যদি আপনি লেখালেখি করে ভালো পান এবং ঘরে বসে পার্ট-টাইম টাকা ইনকাম (online part-time income) করার উপায় খুঁজছেন, তাহলে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ আপনার জন্য সেরা।

বর্তমান সময়ে প্রচুর online blogs, websites, news portal ইত্যাদি রয়েছে যেখানে article লেখার কাজ লোকেদের দেওয়া হয়।
প্রায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ ওয়ার্ড এর একটি ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল লিখে দিতে পারলে আপনি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই ধরণের online content writing work গুলো খোঁজার জন্য আপনাকে blogging এবং content writing এর সাথে জড়িত Facebook পেজ গুলো জয়েন করতে হবে।

এছাড়া, ইন্টারনেটে সক্রিয় বিভিন্ন online news portal বা blogs গুলোর contact পেজ থেকে তাদের email address সংগ্রহ করে সরাসরি কাজের জন্য খবর নিতে পারবেন।
যদি আপনি সঠিক ভাবে SEO optimized articles লিখতে জানেন, তাহলে অনলাইনে প্রচুর কাজ পাবেন।

কন্টেন্ট রাইটিং কি

সেরা কিছু কন্টেন্ট রাইটিং টিপস বাংলাতে
বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানবো, কন্টেন্ট রাইটিং কি (what is content writing in Bangla), কনটেন্ট রাইটার কাকে বলে এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রকার গুলোর বিষয়ে।
কন্টেন্ট বা আর্টিকেল রাইটিং কি ?

এছাড়াও, একজন সেরা কন্টেন্ট রাইটার হতে কিসের প্রয়োজন, সেবিষয়েও আমরা জানবো।
ইন্টারনেটের এই আধুনিক যুগে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যবসা গুলো তাদের product এবং services গুলোর অনলাইনে প্রচার করার ক্ষেত্রে কনটেন্ট মার্কেটিং এর ব্যবহার করে থাকে।

এই প্রক্রিয়াতে, business, products, services বা brand ইত্যাদির ওপরে আর্টিকেল লেখা হয় এবং সেগুলোকে অনলাইনে পাবলিশ করা হয় একটি ব্লগ সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এর মাধ্যমে।
এছাড়াও, ঘরে বসে অনলাইন টাকা আয় করার ক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত ভাবে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে নিজের লেখা আর্টিকেল/কনটেন্ট গুলোকে পাবলিশ করতে পারবেন।

এভাবেই, কর্পোরেট ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে ছোট-বড় কোম্পানি, ফার্ম ইত্যাদি বা ব্লগিং এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত ভাবে অনলাইন টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রেও কন্টেন্ট রাইটিং (content writing) এর চাহিদা বর্তমানে প্রচুর।
সবটাই ডিজিটাল হয়ে যাওয়ার ফলে, বর্তমানে একজন কন্টেন্ট রাইটার এর চাহিদা প্রচুর এবং কনটেন্ট রাইটার হিসেবে বিভিন্ন online বা inhouse চাকরির সুযোগ প্রচুর রয়েছে।

উদাহরণ স্বরূপে, আমার বিভিন্ন অনলাইন ব্লগ সাইট রয়েছে।
এবং, আমার ব্লগের জন্যে কনটেন্ট লেখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কনটেন্ট রাইটাররা ঘরে বসেই আর্টিকেল লিখছেন এবং আমার ব্লগে পাবলিশ করছেন।
এতে, আমার জন্যে কনটেন্ট তৈরি করা কনটেন্ট রাইটার রা ঘরে বসেই টাকা আয় করার সুযোগ পাচ্ছেন।
তাহলে ভাবুন, কতটা আধুনিক এবং সুবিধাজনক কাজ এটা।

তবে, এখনো অনেকেই রয়েছেন যারা রাইটিং এর বিষয়ে সম্পূর্ণটা ভালো করে জানেননা।
আর তাই, নিচে আমি সম্পূর্ণ ভালো করে বুঝিয়ে দিতে চলেছি যে আসলে “কন্টেন্ট রাইটিং কি“.
এছাড়া, নিচে আমি আপনাদের কিছু কন্টেন্ট রাইটিং টিপস অবশই দিয়ে দিবো যেগুলো আপনাদের কাজে আসবে।
কন্টেন্ট কি ? (What is content in Bengali)

Content writing কি, এই বিষয়ে ভালো করে জানার জন্যে সর্ব প্রথমে আপনাকে জানতে হবে “কন্টেন্ট মানে কি“, এই বিষয়ে।
বাংলাতে যদি কন্টেন্ট এর মানে বলা হয় তাহলে সেটা হলো “বিষয়বস্তু“.
লেখনের উদ্দেশ্যে যদি কনটেন্ট এর কথা বলা হয় তাহলে কনটেন্ট বলতে, “আপনি যেটাই লিখছেন বা নিজের কৌশলের মাধ্যমে যেই বিষয়বস্তু তৈরি করছেন সেটাকেই একসাথে কনটেন্ট বলা যেতে পারে”.

উদাহরণ স্বরূপে, যদি আপনি নিজের অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান এর ব্যবহার করে একটি আর্টিকেল লিখেছেন, তাহলে সেটাকে কনটেন্ট বলা যেতে পারে।
বা, ধরুন আপনি নিজের ক্যামেরার মাধ্যমে একটি ভিডিও রেকর্ড করলেন এবং সেখানে কিছু তথ্য ইত্যাদি যোগ করে ভালো করে এডিট করলেন,
তাহলে সম্পূর্ণ ভিডিওটিকে একটি ভিডিও কনটেন্ট বলা যেতে পারে।

এমনিতে কনটেন্ট বলতে কেবল লেখন (writing) এর মাধ্যমে তৈরি করা বিষয়বস্তু কে বলা হয়না।
কনটেন্ট বলতে আমরা ৪ রকমের বিষয় বুঝতে পারি,

Audio content: ভয়েস বা শব্দের উচ্চারণ এর মাধ্যমে তৈরি বা রেকর্ড করা কনটেন্ট। যেমন, podcast, FM ইত্যাদি।
Video content: ভিডিওর মাধ্যমে তৈরি করা কনটেন্ট গুলোকে ভিডিও কন্টেন করা হয়। যেমন, YouTube video, web series, movies ইত্যাদি।
Text content: যেই কনটেন্ট গুলোকে লেখনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় সেগুলোকে টেক্সট কনটেন্ট বলে। যেমন, article, books ইত্যাদি।
Image content: ছবি এডিটিং করে তৈরি করা বিষয়বস্তু গুলোকে ইমেজ কনটেন্ট বলে। যেমন, logo, templates, graphics ইত্যাদি।

কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে যিহেতু আমরা লেখনের ব্যবহার করে বিষয়বস্তু গুলোকে লিখে থাকি তাই এক্ষেত্রে আমাদের সরাসরি টেক্সট কনটেন্ট (text content) এর ব্যবহার করতে হয়।
কন্টেন্ট রাইটিং কি ? (What Is Content Writing in Bangla)

এক্ষেত্রে, কন্টেন্ট রাইটিং মানে হলো, যেকোনো একটি বিষয়বস্তু যেটাকে লেখনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ভাবে তৈরি করা যেতে পারে।
তাই সোজা ভাবে বললে, কন্টেন্ট রাইটিং মানে হলো এমন একটি লেখন যেখানে একটি বা একাধিক বিষয়ের ওপরে তথ্য প্রদান করা হয়েছে।
এই লেখন বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে হতে পারে।

যেমন, stories, personal reviews, blog article, product promotional review ইত্যাদি।
Content writing এর ক্ষেত্রে মূলত একটি বিশেষ keyword এর ওপরে লক্ষ্য করে কনটেন্ট লেখা হয়।
এবং সেই keyword এর মাধ্যমেই সেই কনটেন্ট টিকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

একজন সেরা কনটেন্ট রাইটার হতে পারলে আপনি একজন freelancer হিসেবে বিভিন্ন content writing jobs গুলো করতে পারবেন।
এছাড়া, বর্তমান সময়ে এই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ গুলো ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে করা হচ্ছে।
আশা করছি, কন্টেন্ট রাইটিং বলতে কি বুঝায় বিষয়টা বুঝতেই পেরেছেন।
 ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন ?

কন্টেন্ট রাইটার কাকে বলে

যেই ব্যক্তি (person) নিজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, কৌশল এবং দক্ষতার ব্যবহার করে নিজের একটি কনটেন্ট তৈরি করে বা লিখেন, সেই ব্যক্তিকেই বলা হয় কনটেন্ট রাইটার।

উদাহরণ স্বরূপে, আমি আমার ব্লগ “banglatech.info” এর জন্যে বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখে থাকি।
যিহেতু, আমি আর্টিকেল লেখনের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করছি, তাই আমাকেও একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে বলা যেতে পারে।
কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রকার ? (Types Of Content Writing)

হে অবশই, কন্টেন্ট রাইটিং এর কিছু আলাদা আলাদা প্রকার অবশই রয়েছে।
ইন্টারনেটের মধ্যে প্রচুর প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলোতে আলাদা আলাদা রকমের কনটেন্ট গুলোকে প্রচার করা হয়।
আর ফলে বিভিন্ন প্লাটফর এর চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হয়ে থাকে আলাদা আলাদা রকমের কনটেন্ট গুলোর।
একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে আপনি নিজের রুচি, চাহিদা বা প্যাশন হিসেবে আলাদা আলাদা ধরণের কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

যেমন,
Blogging: এখানে সরাসরি কিছু বিশেষ বিষয় গুলোর ওপরে বিস্তারিত আর্টিকেল লেখা ও পাবলিশ করা হয়। মূলত তথ্যবহুল এবং লং (long) বা শর্ট (short) দুধরণের আর্টিকেল / কনটেন্ট লেখা হয় ব্লগিং এর ক্ষেত্রে।
Social media: একটি কোম্পানি তাদের content, product, services ইত্যাদির প্রচার করার ক্ষেত্রে এবং অনেক ক্ষেত্রে নিজের অনলাইন ব্র্যান্ড তৈরি করার উদ্দ্যেশ্যে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ গুলোতে ছোট-ছোট তবে মজার এবং আকর্ষক কনটেন্ট লিখেন এবং পাবলিশ করেন।

Copywriting: মূলত একটি কোম্পানি বা কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলোর এডভার্টাইসিং বা মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এই ধরণের কনটেন্ট লিখা হয়। এখানে যেই product এর বিষয়ে লেখা হয় সেটাকে copy বা sales copy বলা হয়। এই আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য হলো, ব্র্যান্ড এর গুণমান এর সচেতনতা বাড়ানো যাতে জনসাধারণেরা সেই প্রোডাক্ট কেনার ক্ষেত্রে স্টেপ নিয়ে থাকেন।
Expert writing: এক্ষেত্রে রাইটার রা কিছু বিশেষ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ হিসেবে সম্পূর্ণ রিসার্চ এবং ডিটেলস সহ আর্টিকেল/কনটেন্ট লিখেন।

Journalistic/news writing: এক্ষেত্রে নিউজ (news) এর সাথে জড়িত খবরাখবর গুলো লিখা হয়। এক্ষেত্রে মূলত ছোট ছোট শর্ট আর্টিকেল লিখা হয় যেগুলো বর্তমানের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাবলীর সাথে জড়িত। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল, সোশ্যাল মিডিয়া নিউজ পেজ, নিউজ ওয়েবসাইট ইত্যাদি গুলোতে নিউজ রাইটিং করা হয়।
Creative writing: যেগুলো লেখনে রাইটার নিজের ক্রিয়েটিভিটির (creativity) প্রদর্শন করে থাকে সেই ধরণের রাইটিং কেই ক্রিয়েটিভ রাইটিং বলা হয়। যেমন, poetry, fiction (novels, short stories), scripts, screenplays ইত্যাদির ক্ষেত্রে লেখা কনটেন্ট।

বর্তমানের অনলাইন ব্যবসা গুলোর প্রচার, মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং এর উদ্দেশ্যে এই প্রত্যেক কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রকার গুলোকে প্রচুর পরিমানে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এছাড়াও নিজের ব্যক্তিগত রুচি এবং ইন্টারেস্ট এর ক্ষেত্রেও এগুলোর মধ্যে অনেক ধরণের কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যবহার হয়ে থাকে।
অন্যের ওয়েবসাইট থেকে কনটেন্ট কপি করাটা ক্ষতিকারক

কিভাবে কন্টেন্ট রাইটার হব

কনটেন্ট রাইটার হতে তেমন কোনো বিশেষ কোর্স করার প্রয়োজন হয়না।
আপনি যদি পড়ালেখা করা একজন ব্যক্তি যে ভালো করে লিখতে এবং পড়তে পারেন,
তাহলে আপনিও একজন কনটেন্ট রাইটার হয়ে উঠতে পারবেন।
তবে, এক্ষেত্রে সব থেকে জরুরি বিষয় হলো, “আপনার মধ্যে লিখার রুচি থাকাটা”.

যদি আপনিও নতুন করে কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে চাইছেন এবং এর মাধ্যমে অনলাইনে কাজ করে টাকা আয় করতে চাচ্ছেন,
তাহলে নিচে দেওয়া বিষয় গুলোর ওপরে আপনার আজ থেকেই নজর দিতে হবে।

আপনাকে সর্বপ্রথমে নিজের একটি niche এর বাছাই করতে হবে। মানে, আপনি কোন বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, কোন বিষয়ে আপনি ভালো ভালো তথ্য লিখতে পারবেন এবং কোন বিষয়ে লিখতে আপনি অধিক পছন্দ করে থাকেন সেটা খুঁজে বের করুন।
একবার, যখন আপনি নিজের রুচি হিসেবে টপিক খুঁজে পাবেন তারপর ধীরে ধীরে আপনি একজন সফল কনটেন্ট রাইটার এর দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
আপনাকে ক্রিয়েটিভ হতে হবে এবং লেখনের নতুন নতুন কৌশল শিখতে হবে। আপনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে আর্টিকেল রাইটিং স্কিলস শিখতে পারবেন।
প্রত্যেক দিন কিছু না কিছু লিখুন এবং নিজের ভুল গুলো শুধরাতে থাকুন। এতে, ধীরে ধীরে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে নিজেকে উন্নত করতে পারবেন।

বিভিন্ন অনলাইন ব্লগ সাইট গুলোতে গিয়ে দেখুন তারা কিভাবে আর্টিকেল লিখছেন।
নিজের একটি ফ্রি ব্লগার ব্লগ তৈরি করুন এবং সেখানে প্রত্যেক দিন কিছু লিখুন।
লেখার সাথে সাথে পড়ার অভ্যেস থাকতে হবে। এতে, আপনি অন্যদের লেখনের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।

শব্দের সঠিক বোঝা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। কারণ, আর্টিকেলের মধ্যে শব্দের সঠিক ব্যবহার না করে থাকলে আপনার আর্টিকেল পড়তে রিডার দের সমস্যা হতে পারে। তাই, যেই ভাষাতে কনটেন্ট লিখতে চাইছেন সেই ভাষা এবং শব্দ গুলো ভালো করে শিখুন ও জানুন।
আপনার লেখনের একটি মজার ধরণ থাকতে হবে। এনাহলে, আপনার কনটেন্ট পড়তে লোকেরা পছন্দ করবেননা। তাই, একটি আকর্ষণীয় এবং মজার ধরণ দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। এখানেও আপনাকে নিজের কৌশল এবং ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগাতে হবে।
সম্পূর্ণ রিসার্চ এর সাথে তথ্যবহুল কনটেন্ট লেখার চেষ্টা করবেন।
এভাবেই কিছু সাধারণ বিষয় গুলোর ওপরে নজর দিয়ে আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার হতে পারবেন।

তাহলে বন্ধুরা, আশা করছি কন্টেন্ট রাইটিং কাকে বলে (What Is Content Writing), বিষয়টা সম্পূর্ণ ভালো করে বুঝতেই পেরেছেন।
তাই, যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
তাছাড়া, আর্টিকেলের সাথে জড়িত কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে,
নিচে কমেন্ট করে জিগেশ করতে কিন্তু ভুলবেননা।
আমার সব সময় এটাই চেষ্টা রয়েছে, আমি যাতে আপনাদের সম্পূর্ণ কাজের তথ্য দিতে পারি।
আর তাই, কন্টেন্ট রাইটিং এর বিষয়ে এই আর্টিকেল আপনার কাজে আসবে বলেই আমি আশা করছি।

২. সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার

Social media influencing করে ঘর থেকে কাজ করে অনলাইনে টাকা আয় করার সুযোগ প্রত্যেকের জন্যেই রয়েছে।
আজ হাজার হাজার লোকেরা নিজের জনপ্রিয় social media page / account এর মাধ্যমে ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন।

এটাকে part time job form home হিসেবে নিয়েও কাজ করতে পারবেন।
আজকাল online industry হলো referral এবং promotion এক সাংঘাতিক দারুন মাধ্যম।
তাই, আজকাল প্রায় প্রত্যেক কোম্পানি গুলো তাদের products এবং services গুলোর অনলাইন প্রচার (marketing) করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন social media influencers দের সাহায্য টাকার বিপরীতে নিয়ে থাকেন।

আপনার মধ্যে যদি নিজের social media পেজ গুলোতে followers নিয়ে আসার দক্ষতা (skill) রয়েছে তাহলে আপনি ঘর থেকে কাজ করে দারুন ইনকাম করতে পারবেন।

কিভাবে একটি social media page তৈরি করে সেখানে আকর্ষণীয় কনটেন্ট (images, videos, text etc.) পাবলিশ করে নিজের social media profile এর followers বাড়াতে পারবেন, সেটা আপনার জানা থাকতে হবে।
প্রথম অবস্থায় আপনার social media page এর মধ্যে কমেও ৫০০০ ফলোয়ার্স থাকলে আপনাকে social media influencer category তে ধরা যেতে পারে।

একবার ভালো পরিমানে followers হয়ে গেলে আপনারা বিভিন্ন কোম্পানি গুলোর products এর paid promotion/review এবং affiliate marketing এর মাধ্যমে প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন।
যদি আপনি ভারতে (India) বসবাস করছেন তাহলে আপনার জন্য টাকা আয় করার একটি দারুন সুযোগ রয়েছে।
আপনারা Meesho app এর মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করে মাসে প্রায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পার্ট-টাইম ইনকাম করতে পারবেন।

৩. Meesho app

Meesho হলো একটি product reselling company যেখানে একটি account তৈরি করে জেকেও তাদের products গুলোকে নিজের দামে বিক্রি করিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Products এর মধ্যে মূলত kitchen items, clothing, fashion ইত্যাদি এই ধরণের প্রচুর categories রয়েছে। Customer এর দেওয়া order এর delivery, payment collect ইত্যাদি সবটাই meesho company দ্বারা করা হবে।
আপনাকে কেবল ভালো ভালো products গুলো select করে সেগুলোকে বিভিন্ন social media platforms গুলোতে নিজের লাভ সহ দাম লাগিয়ে শেয়ার করে বিক্রি করাতে হবে।

৪. Blogging

Blogging সব সময় best work from home business model ছিল এবং এখনো রয়েছে।
আমার মতোই বিশ্বজুড়ে লক্ষ লোকেরা professionally blogging করে online income করছেন।
এবং সত্যি বললে, সঠিক ভাবে করলে blogging থেকে যেকোনো সাধারণ চাকরির তুলনায় প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

আমার নজরে blogging একটি সেরা online business যেটাকে একজন student, housewife, retired person বা যেকোনো ব্যক্তি শুরু করতে পারবেন।
আজ school এবং college এর ছাত্ররা পর্যন্তই ঘরে বসে ব্লগিং করে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন।

এখানে আপনি যত বেশি কাজ করবেন ততটাই অধিক টাকা ইনকাম করার সুযোগ হয়ে দাঁড়াবে।
তবে, ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে ধর্য্য ধরে হাতে কিছুটা সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।
কেননা, একটি ব্লগ থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে সেখানে প্রত্যেক দিন কমেও ১০০০ user / visitors আসতেই হয়।
এবং, ভালো পরিমানে traffic / visitors আসার ক্ষেত্রে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাসের সময় লেগে যেতে পারে।

৫. YouTube Channel

Blogging এর মতোই YouTube অবশই একটি professional business model যেটা online income করার প্রমাণিত একটি পদ্ধতি বা উপায়।
Students থেকে শুরু করে বয়স্ক লোকেরাও নিজের একটি YouTube channel তৈরি করে এর থেকে ইনকাম করছেন।
আপনাকে নিজের একটি YouTube চ্যানেল তৈরি করে সেখানে নিয়মিত ভাবে videos বানিয়ে upload করতে হয়।

আপনি নিজের রুচি এবং অভিজ্ঞতা হিসেবে যেকোনো ধরণের ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারবেন।
ধীরে ধীরে যখন আপনার চ্যানেলে প্রচুর subscribers হতে থাকবে তখন আপনার video গুলোতে views বাড়বে এবং আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

যেমন, Google AdSense, affiliate marketing, paid promotion ইত্যাদি।
Blogging এর মতোই এখানেও আপনারা এক রাতের মধ্যে ধনী হয়ে যেতে পারবেননা।
আপনাদের কিছুটা সময় নিয়ে ধর্য্য ধরে নিয়মিত content publish করতে থাকতেই হবে।

ইউটিউব মনিটাইজেশন চালু করে সহজেই নিজের ভিডিও গুলোতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনলাইন আয় করা সম্ভব।
আপনি ঘরে বসে বা যেকোনো জায়গার থেকে এই অনলাইন ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।
একটি laptop বা desktop দিয়ে কাজ করাটা সুবিধাজনক যদিও আপনি চাইলে নিজের মোবাইল থেকে কাজ করেও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন।

৬. Graphics designer

যদি আপনার মধ্যে গ্র্যাফিক্স ডিজাইনিং, লোগো তৈরি করা ইত্যাদি এই ধরণের দক্ষতা (skills) রয়েছে, তাহলে অবশই এর মাধমেও ইনকাম সম্ভব।
অনলাইনে প্রচুর website, business, social media page রয়েছে যারা তাদের online portal গুলোর জন্য বিভিন্ন ধরণের graphics designing এর কাজ করাতে চান।

তাই, যদি আপনি এই কাজে ভালো অভিজ্ঞতা রাখেন, তাহলে অবশই কাজটি করেও ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি সম্পূর্ণ কাজ ঘর থেকে একটি laptop এর মাধ্যমে করতে পারবেন।
কাজ খোঁজার জন্যে আপনি বিভিন্ন জনপ্রিয় freelancing website বা Facebook page গুলোতে গিয়ে কাজ খুঁজতে পারবেন।
সেরা ৯ ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেখানে অনলাইনে কাজ পাবেন

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

গ্রাফিক্স ডিজাইন চাহিদা এবং চাকরির সুযোগ (Graphics designing)

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি (What Is Graphics Design In Bangla) : আজ ১২ ক্লাসের পর, আমাদের কাছে অনেক রকমের আলাদা আলাদা ক্যারিয়ার অপসন রয়েছে। সেই, ক্যারিয়ার অপসন গুলির মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন আজ অনেক প্রচলিত এবং এই প্রফেশনাল (professional) কোর্স করার পর চাকরির সুযোগ অনেক বেশি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কি

About graphics design in bangla.
আজ বিভিন্ন রকমের organization বা কোম্পানি যেমন, ওয়েব ডিজাইনিং কোম্পানি, এডভার্টাইসিং এবং মার্কেটিং কোম্পানি, Game development কোম্পানি, application development এবং এরকমি অনেক  national এবং multinational কোম্পানি রয়েছে, যেগুলিতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার দেড় প্রয়োজন হয়।

কিন্তু, এর চাহিদার তুলনায় অনেক কম লোকেরা বা ছাত্ররা গ্রাফিক্স ডিজানিং এর কোর্স কোরে ক্যারিয়ার বানানোর কথা ভাবেন। এতে, এই ক্ষেত্রে কাজ করা লোকেদের চাহিদা অনেক বেড়েযাচ্ছে এবং এই লাইনে পাওয়া চাকরিতে (job) মাইনে বা স্যালারি অধিক পরিমানে দেয়া হয়।
তাই, আপনি যদি এমন একটি প্রফেশনাল কোর্স (professional course) কোরে নিতে চান, জেটাতে ক্যারিয়ার বানিয়ে ভবিষ্যতে ভালো মাইনে (salary) থাকা একটি চাকরি পাওয়া যাবে, তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স বা ডিগ্রি (degree) করার পরামর্শ আমি দেব।

তাহলে চলুন, বেশি সময় না নিয়ে আমরা নিচে “graphics design কি” বা “গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে কি বুঝায়” এবং এর সাথে জড়িত অন্য অনেক প্রশ্নের উত্তর জেনেনেই।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি বা কাকে বলে ? (Meaning Of Graphics Design)

সোজা ভাবে বললে, গ্রাফিক ডিজাইন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আমরা নিজের ধারণা, শিল্প (art) এবং দক্ষতা (skills) ব্যবহার কোরে ছবি (pictures), শব্দ (words), পাঠ (text) এবং ধারণার মিশ্রণ (combine) কোরে একটি আলাদা এবং নতুন ছবি (picture) তৈরি করি।

Text, pictures এবং ধারণার মিশ্রনের দ্বারা তৈরি হওয়া এই নতুন ছবি বা গ্রাফিক বিভিন্ন advertisements, magazine, books, website বা logo সাজানোর জন্য বা ডিজাইন এবং তৈরি করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর মাধ্যমে আমরা অনেক রকমের visual concepts তৈরি করতে পারি। আসলে এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের আইডিয়া এবং জ্ঞান আমরা ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করি।

এই Graphics design এর কাজ আমরা, নিজের হাত দিয়েও করতে পারি বা বিভিন্ন কম্পিউটার সফটওয়্যার (computer software) বা এপ্লিকেশন (application) এর মাধ্যমেও করে নিতে পারি।
কিন্তু, অ্যাডভান্সড (advanced) এবং প্রফেশনাল ভাবে ডিজাইন তৈরি করার জন্য, আমাদের একটি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যার ব্যবহার করাটা জরুরি।

এখন এক কথায় বললে, গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে, আমরা বিভিন্ন ধরণে চাক্ষুষ ধারণার (visual concept) তৈরি বা ডিজাইন করতে পারি, এই বিষয়ে থাকা নিজের দক্ষতা এবং জ্ঞানের মাধ্যমে। পুরোটাই, আপনার হাথের শিল্প, জ্ঞান এবং ধারণার ওপরে নির্ভর।
তাহলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন কি বা কাকে বলে, সেটা হয়তো আপনারা ভালো করেই বুঝে গেছেন। এখন নিচে, আমরা এর বিষয়ে আরো কিছু জেনেনেই চলুন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগে ?

আপনি যদি কোনো কলেজ থেকে graphic designing এর bachelor degree course করছেন, তাহলে ৩ থেকে ৪ বছর সময় লাগবে। এবং, সঠিক এবং ভালো ভাবে এই কোর্স শেখার জন্য bachelor degree করাটাই লাভজনক হবে।
গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর ওপরে যখন আপনার ৪ বছরের একটি degree certificate থাকবে, তখন যেকোনো কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যাবে।

আপনি চাইলে, bachelor degree করার পর, এই বিষয়ে মাস্টার ডিগ্রী (master degree) কোরে, নিজেকে আরো বেশি expert এবং professional বানিয়ে নিতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে, masters in graphics design এর কোর্স করার জন্য আপনাদের আরো ২ বছর সময় লেগে যাবে।
তাছাড়া, যদি আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ডিপ্লোমা কোর্স (diploma course) করার কথা ভাবছেন, তাহলে এতে আপনার ৬ থেকে ৮ মাস সময় লেগে যাবে।

আসলে, অনেক রকমের institute বা education center রয়েছে যেখানে আপনারা এই বিষয়ে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করতে পারবেন। এবং, আলাদা আলাদা institute এর শেখানোর স্থিতিকাল (duration) আলাদা আলাদা।
তবে, এই বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রী (bachelor degree) করলে ৩ থেকে ৪ বছর, ব্যাচেলর ডিগ্রী কোরে মাস্টার ডিগ্রী করার জন্য আরো ২ বছর সময় লাগবে। এবং ডিপ্লোমা কোর্স করলে প্রায় ১ বছর সময় আপনার দিতে হবে।

এর পর, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার স্থিতিকাল নির্ভর করবে আপনার শেখার ইচ্ছা, অনুশীলন (practice) এবং কতটা জলদি আপনি বিষয়টি ধরে নিতে পারছেন সেগুলির ওপরে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি লাগে ?
এমনিতে, একটি graphic design diploma course জেকেও করতে পারেন। কিন্তু, এই বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রী (bachelor degree) করার জন্য, আপনার আগেই কিছু সাধারণ শিক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

১. প্রথম প্রয়োজনীয়তা: গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ ক্যারিয়ার বানানোর জন্য, আপনার সবচে প্রথমেই ১২ ক্লাস উত্তীর্ণ করতে হবে। কারণ, যেকোনো কলেজে এই বিষয়ে ডিগ্রী কোর্স করার জন্য, ১২ ক্লাসের সার্টিফিকেট (certificate) জমা দিতে হবে। তবে হে, আপনি ১২ ক্লাস যেকোনো বিষয় নিয়ে উত্তীর্ণ করলেও চলবে (arts, commerce, science).

২. সাধারণ জ্ঞান: এই বিষয়ে ক্যারিয়ার বানানোর জন্য এবং ভবিষ্যতে আরো বেশি শিক্ষা ফারহান করার জন্য, আপনার communication skills, creativity এবং drawing এর জ্ঞান থাকতে হবে।

অনেক বিখ্যাত কলেজ বা institutes রয়েছে, যেখানে admission নেয়ার আগেই আপনাকে প্রবেশিকা পরীক্ষা (entrance exam) দিতে লাগতে পারে। এবং, সেই পরীক্ষাতে আপনাকে অঙ্কন (drawing) এবং অন্যান্য দক্ষতার এবং জ্ঞানের বেপারে প্রশ্ন করা হবে।
আপনি যখন graphic designing এ ক্যারিয়ার বানানোর কথা ভাবছেন, তখন এই ধরণের সাধারণ দক্ষতা থাকাটা অনেক লাভজনক এবং জরুরি।
Graphic design ক্যারিয়ারে চাকরির সুযোগ

এই বিষয় নিয়ে ডিগ্রী (degree) করার পর এবং সব ধরণের দক্ষতা এবং জ্ঞান নিয়ে নেয়ার পর, আপনার জন্য প্রায় অনেক ক্ষেত্রে চাকরির সিযোগ এগিয়ে আসে।
সেগুলির মধ্যে কিছু হলো,

Logo designer হিসেবে।
বিভিন্ন advertisement company তে।
Web designer হিসেবে।
Digital marketing agency তে।
Magazine এবং news paper কোম্পানির থেকে।
Application and game development কোম্পানি।
Media publishing কোম্পানি।
Brand identity designer.
Animation designer.


এবং, আরো অনেক কোম্পানি এবং ভাগ রয়েছে যেগুলিতে আপনারা একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
কি কি কাজে গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয় ?
বর্তমানে বিভিন্ন এবং প্রায় অনেক কাজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহার করা হয়। সেই, কাজ গুলির কিছু আমি নিচে আপনাদের বলে দিচ্ছি।

কোম্পানির ব্র্যান্ড (brand) পরিচয় বা লোগো (logo) তৈরি।
প্রিন্টেড করা জিনিসে (বই, নিউস পেপার, ম্যাগাজিনে) .
অ্যালবাম কভার (album cover) তৈরি।
ব্যানার বিজ্ঞাপন (banner advertisement) তৈরি।
Digital advertisement তৈরি করার সময়।
বিভিন্ন blog এবং website এ এর ব্যবহার হচ্ছে।
জলের বোতলে থাকা ওই ডিজাইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য (consumer products) তে থাকা ডিজাইন।

অনলাইন এবং টিভি (TV) তে ব্যবহার করা গ্রাফিক্স (GRAPHICS) এবং টাইটেল (TITLE) .
বিভিন্ন GREETINGS CARDS এ।
 বিয়ের invitation cards এ।
T-shirts এবং জামা কাপড় ডিজাইন করার সময়।
অ্যানিমেশন (animation) বানানোর সময়।
Business ও visiting cards বানানোর সময়।

এ ছাড়া আরো অনেক অনেক কাজ রয়েছে, যেখানে গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজের প্রয়োজন।
কত টাকা আয় করা যেতে পারে ?
যদি আপনি graphics designing শিখে এই লাইনে চাকরি করার কথা ভাবছেন, তাহলে প্রথম অবস্থায় মাইনে বা বেতনের পরিমান তেমন কোনো খারাপ না।

চাকরির মাধ্যমে আয়

ভারতে (India), এই ক্যারিয়ার নিয়ে চাকরি করা লোকেরা প্রথমেই ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ এর ভেতরে মাইনে (salary) পেয়ে যাচ্ছে।
তাছাড়া, আপনার কাজের অভিজ্ঞতা (experience) এবং knowledge যত বেশি বাড়বে ততটাই বেশি মাইনে বা স্যালারি আপনার বৃদ্ধি পাবে। অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনাল দক্ষতা থাকা লোকেরা গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যারিয়ারে ৫০,০০০ থেকে ১ লক্ষ টাকা অব্দি মাইনে ভারতে পাচ্ছেন।
তাই, অধিক মাইনে বা স্যালারি চাকরির মাধ্যমে পাওয়ার জন্য, গ্রাফিক ডিজাইনের ডিগ্রী এবং তার সাথে কিছু বছরের অভিজ্ঞতা থাকাটা জরুরি।
অবশই, প্রথমেই একজন নতুন (fresher) হিসেবে ২০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বেতনে কাজ করে নিজের অভিজ্ঞতা বাড়াতে থাকতেই পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়

ফ্রিল্যান্সিং কি, এবেপারে আমি আপনাদের আগেই বলেছি। এ হলো এমন এক মাধ্যম, যেখানে জেকেও নিজের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা এবং জানা কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের কাজ অন্যদের জন্য করেন এবং সেই কাজের বিনিময়ে আপনাকে টাকা দেয়া হয়।

Freelancing আপনি পার্ট-টাইম বা ফুল-টাইম যেরকম খুশি সেরকম করতে পারবেন। আপনি, অনলাইন বিভিন্ন freelancing websites বা social media র মাধ্যমে গ্রাফিক ডিজাইন এর সাথে জড়িত কাজ যেমন, logo design, web design, poster design, infographic বা আরো অনেক ধরণের কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।

এই মাধ্যমে কাজ করলে আপনার টাকা আয়ের সংখ্যা নির্ভর করবে আপনার করা কাজের ওপরে। আপনি যত বেশি কাজ পাবেন এবং সেগুলি যত জলদি করবেন, ততটাই বেশি এবং জলদি টাকা আয় করতে পারবেন।

গ্রাফিক ডিজাইনার দে বর্তমান চাহিদা

আমি শুরুতেই আপনাদের বলেছি, আমরা বেশিরভাগ ছাত্ররা commerce, Arts, Science এবং কিছু ক্ষেত্রে engineering ছাড়া অন্য কোনো ডিগ্রী করার কথা ভাবিনা।

তাই, অন্য অন্য বিষয় গুলি, যেগুলির মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইনিং ও রয়েছে, অনেক কম পরিমানের ছাত্ররা করছেন।
এতে, এই বিষয়ে দক্ষতা, জ্ঞান বা নলেজ থাকা লোকেদের চাহিদা অনেক পরিমানেই বেড়ে গেছে। বিভিন্ন কোম্পানি রয়েছে, যেখানে product marketing, promotion, product design বা অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে একজন graphic designer এর প্রয়োজন।

কিন্তু, এই বিষয়ে ডিগ্রি, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অনেক কম লোকের থাকার জন্যে, কোম্পানিরা অধিক বেতন (salary) দিয়ে কর্মচারী দেড় রাখছেন।
আজ, গাড়ির কোম্পানি থেকে আরম্ভ করে website agency, advertising company, digital marketing agency এবং প্রায় সব ধরণের ছোট বড়ো কোম্পানিতে একজন গ্রাফগিন ডিজাইনার এর প্রয়োজন।

তাই, যখন কথা আসছে, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদার, তখন আমি বলবো, “এই শিল্প (art) শিখে আপনি এক উজ্জ্বল ভবিষৎ বানিয়ে নিতে পারবেন।
কিন্তু হে, আপনার সফলতা আপনার হাতে। আপনি কত রুচি রেখে ডিজাইনিং (designing) শিখবেন, কতটা ইন্টারেস্ট আপনার রয়েছে এবং কাজ শেখার ইচ্ছা আপনার রয়েছে কি না, সবটার ওপরে নির্ভর আপনার সফলতা পাওয়া।
ঘরে বোসে অনলাইন graphic design কিভাবে শিখবো ?

এখন আপনারা যদি ঘরে বসেই ফ্রীতেই গ্রাফিক ডিজাইনিং এর কাজ শিখতে চান, তাহলে সেটার দুটো মাধ্যম রয়েছে।

YouTube ভিডিও দেখে।
বিভিন্ন tutorial websites এ গিয়ে।
Udemy র মাধ্যমে কোর্স।


ঘরে বসে graphic design শেখার জন্য প্রথমেই আপনারা Photoshop, CorelDraw, Adobe Illustration এগুলির মতো সফটওয়্যার বা গ্রাফিক্স টুল ব্যবহার করা শিখুন।
এই ধরণের গ্রাফিক্স টুলের ব্যবহার শিখলে আপনারা logo, business ও visiting cards, nameplate design এর মতো অনেক ডিজাইন বানিয়ে নিতে পারবেন।

তারপর, আস্তে আস্তে এই বিষয়ে আরো অ্যাডভান্সড ভাবে শেখা শুরু করতে পারবেন।
YouTube এর দ্বারা শিখুন :
YouTube এর মাধ্যমে আপনারা অনেক সহজেই অনেক গ্রাফিক ডিজাইন টিউটোরিয়ালের ভিডিও পেয়ে যাবেন। ভিডিও গুলি এক এক করে দেখে, নিজের দক্ষতা, জ্ঞান এবং নলেজ আপনারা বাড়িয়ে নিতে পারবেন। ভিডিও দেখে যেকোনো জিনিস শিখাটা কিন্তু অনেক সহজ এবং সোজা।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিখুন :

ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলিতে গিয়ে আপনারা ফ্রীতে graphics design course শিখতে ও করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে, আপনারা Google এ গিয়ে সার্চ করলেই এরকম বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।


Udemy র মাধ্যমে অনলাইন কোর্স


Udemy এমন একটি অনলাইন learning ও teaching ওয়েবসাইট বা মার্কেটপ্লেস যেখানে বিভিন্ন শিক্ষকরা ভিডিওর মাধ্যমে আপনাকে যেকোনো জিনিসের বিষয়ে শিখান। এখানে বিভিন্ন বিষয়ে ১০০০০০ থেকেও বেশি অনলাইন ভিডিও কোর্স পাবেন। হে, আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য পুরো কোর্স পেয়ে যাবেন। সবটাই ভিডিওর মাধ্যমে দেখে শিখতে পারবেন।

কিন্তু হে, এখানে থাকা কোর্স গুলি আপনাকে ফ্রীতে দেয়া হয়না। প্রায়, ৪০০ থেকে ১০০০ টাকার ভেতরে আপনারা যেকোনো বিষয় বা সাবজেক্টে কোর্স পাবেন। কোর্স কেনার আগেই আপনারা রিভিউ (review) পোড়ে কোর্সটি কতটা ভালো বা কাজের সেটা জেনেনিতে পারবেন।
তবে, এখানে অনেক ফ্রি কোর্স রয়েছে যেগুলি আপনারা শিখতে পারবেন। যদি আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এ নিজের দক্ষতা (skills), ইন্টারেস্ট (interest) এবং নলেজ বাড়িয়ে নিতে চান, তাহলে Udemy তে গিয়ে একটি ভালো কোর্স অবশই নিন। মাত্র ৪০০ টাকায় আপনারা অনেক কিছুই শিখতে পারবেন।

তাহলে, গ্রাফিক্স ডিজাইন কি বা কাকে বলে, এর চাহিদা কত এবং চাকরির সুযোগ রয়েছে কি না, এ বেপারে হয়তো আপনারা ভালো করেই বুঝে গেছেন।
একজন ভালো শিল্প (artist) হওয়ার জন্য আপনার রেগুলার নতুন নতুন দক্ষতা এবং জিনিস শিখতে থাকতেই হবে। শেষে, আপনার শেখা কাজ এবং অভিজ্ঞতা আপনাকে সফলতার রাস্তায় নিয়ে যাবে।

৭.অনলাইন টিউশন (online tutor)

করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ এর ভয়ে school, college, coaching classes ইত্যাদি সবটাই বন্ধ রাখা হয়েছে।
তবে এক্ষেত্রে আমাদের কাছে একটি নতুন পার্ট-টাইম ব্যবসার সুযোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেটা ঘরে বসেই করা যাবে।
আর সেই ব্যবসাটি হলো ঘরে বসে অনলাইনে টিউশন ক্লাস করিয়ে ইনকাম করাটা।
আজ ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইনে নিজের smartphone থেকে video calling apps এর মাধ্যমে tuition classes করছেন।
এক্ষেত্রে, আপনিও সাধারণ ইন্টারনেটের জ্ঞান এর সাথে এই ধরণের online tutor business শুরু করতে পারবেন।

এভাবে, আপনি ঘরে বসেই নিজের সুবিধে হিসেবে একাধিক ছাত্র দের অনলাইন ক্লাস করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
যিহেতু class সম্পূর্ণ online হচ্ছে, তাই জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা থাকছেনা।
আপনি প্রচুর ছাত্রদের একসাথেই class করাতে পারবেন।
ঘরে বসে লেখালেখি করে আয় করুন এভাবে

৮. ওয়েবসাইট ডেভেলপার

যদি আপনার website development ও designing নিয়ে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা রয়েছে, তাহলে অবশই অন্যদের জন্য website তৈরি করে টাকা আয় করতে পারবেন।

আমি প্রচুর ব্যক্তিদের দেখেছি যারা বিভিন্ন ধরণের blog site, business page, portfolio website বা e-commerce ওয়েবসাইট তাদের clients দের জন্যে তৈরি করে থাকেন।
তাই, website বানাতে ও design করতে জানলে এর সাথে জড়িত কাজ আপনি খুঁজে করতে পারবেন।
Freelancing websites গুলোতে গিয়ে, Facebook group এর মাধ্যমে বা online paid ads চালিয়ে আপনি কাজ খুঁজতে পারবেন।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি

কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায়
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট হলো ইন্টারনেটের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরির সাথে জড়িত কাজ। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর পরিসর হতে পারে প্লেইন টেক্সটের একটি সাধারণ একক স্ট্যাটিক পৃষ্ঠা তৈরি করা থেকে শুরু করে জটিল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ইলেকট্রনিক ব্যবসা (e-Commerce), সামাজিক নেটওয়ার্ক পরিষেবা পর্যন্ত।

আপনি যদি ওয়েব ডেভলপমেন্টকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার চিন্তা করেন তাহলে কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায় সেই পথ খুঁজতে হবে।  ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি, কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায় এবিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই লেখাটি আপনার জন্য।
আশেপাশে আমরা যা দেখি সবকিছু্রই একজন ডেভলপার আছেন। একটি ওয়েবসাইটও এমনিই তৈরি হয়না, এর পিছনে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মতো কাজ এবং একজন ওয়েব ডেভেলপার।

আপনি যেখান থেকেই এই পেইজটি ব্রাউজ করছেন না কেনো এই ওয়েব পেইজ বা ওয়েবসাইটটি কিন্তু আগে থেকেই এমন ছিলো তা কিন্তু ভাবা যাবে না। আপনি কতটুকু শক্তি বা সময় খরচ করলেন এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার জন্য? আপনার হয়তো কিছু ইন্টারনেট ডেটা খরচ হয়েছে, এরচেয়ে বেশি আপনার কিছু করতে হয়নি নিশ্চয়ই।

ওয়েবসাইটটি খুঁজেছেন এবং নির্ধারিত ক্যাটাগরি চেপে পছন্দমত তথ্য পেয়ে গেছেন। কিন্তু এই পেজটি বা ওয়েবসাইটটি তো একদিন দুদিনে হয়ে উঠেনি। কেউ একজন এই ওয়েবসাইটটিকে বানিয়েছেন, সাজিয়েছেন। আপনার প্রয়োজনমত সুবিধা মতো বিভিন্ন লে-আউট দিয়েছেন।

ঠিক কোথায় গেলে আপনি ক্যাটাগরি পাবেন এবং কোথায় গেলে বা সার্চ করলে আপনি আপনার পছন্দের লেখা পাবেন সবকিছুই কেউ একজন গুছিয়ে রেখেছেন।
যে ব্যক্তিই এই সার্বিক কাজটি নিয়ন্ত্রন করেছেন, তিনিই হলেন ওয়েব ডেভেলপার (Web Developer)। একজন ওয়েব ডেভেলপারের কাজ গুলোকেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট (Web Development) বলে। একইভাবে একটি অ্যাপের জন্য যিনি করেন তাকে অ্যাপ ডেভলপার বলে।

আমাদের আজকের আলোচনায় জানবো ওয়েব ডেভলপমেন্ট কি? কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায়, একজন পূর্ণাঙ্গ ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে কি কি শিখতে হবে, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স কোথায় করা যায়, ওয়েব ডেভেলপার কিভাবে আয় করেন, ইত্যাদি সম্পর্কে। চলুন আলোচনায় যাওয়া যাক!

    ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি | What is Web Development?
    কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায়?
    ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স কোথায় করা যায়?
    ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয় করার উপায়
    ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন
    ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে শেষ কথা


ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি | What is Web Development?

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলতে ওয়েবসাইট তৈরি, নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের সাথে যুক্ত কাজগুলোকে বোঝায়। ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপমেন্ট ক্লায়েন্ট-সাইডকে বোঝায় (একটি ওয়েব পেজ কেমন দেখায়)। ব্যাক-এন্ড ডেভেলপমেন্ট সার্ভার-সাইডকে বোঝায় (একটি ওয়েব পৃষ্ঠা কীভাবে কাজ করে)।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি সেবিষয়ে নিশ্চয়ই আপনি এখন অনেকটা জানেন। তবুও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আরো বিস্তারিতভাবে জানার আকাঙ্ক্ষা নিশ্চয়ই আছে! তাহলে চলুন আরো বিস্তারিতভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে জানা যাক।

আমরা যারা পাঠ্যবই পড়ি বা পড়ছি তারা একটি বই কেনার সময় কি কি বিষয় মূলত লক্ষ্য রাখি? বইটি তথ্যবহুল কিনা, লেখার পঠনযোগ্যতা কেমন, দাম কেমন এবং সহজে তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা। এগুলো আমরা সবাই কম বেশী মেনে চলে একটি বই কেনার পূর্বে।
আরো পড়ুন:  সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইট | Best 10 Freelancing websites

কিন্তু, আপনি কি পছন্দের বইটি হাতে পাওয়ার পূর্বে কত মানুষ, কি কি কাজ করেছেন সেই খবর আদৌ জানেন কি? বইটির ভিতরের তথ্যগুলো কতজন লিখেছেন। কেউ একজন আবার লেখাগুলোর ফন্ট ঠিক করে পেইজ নম্বর ঠিক করেছেন। কেউ আবার ভুল ত্রুটি থাকলে তা এডিট করেছেন। এরপর আবার সূচিপত্র গুছানো হয়েছে যেন আপনি যেকোনো চ্যাপ্টারে দ্রুততম সময়ে পৌঁছে যেতে পারেন।

পরিশেষে বিভিন্ন ডিজাইন, লে আউট এবং চমৎকার প্রিন্টিং ব্যবহার করে বইটিকে আপনার কাছে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়েছে।
বইয়ের এই সমগ্র কাজের সাথে একবার যদি ওয়েবসাইটকে মিলিয়ে দেই তবেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যায়।
প্রতিটি ওয়েবসাইটের পিছনে একজন থাকেন যিনি তার নিজের দক্ষতা, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ওয়েবসাইটটিকে আমাদের নিকট আকর্ষণীয়, সহজে নেভিগেশন এবং তথ্যবহুল করে তোলেন। যিনি এই কাজটি করে থাকেন তাকে ওয়েব ডেভেলপার বলে এবং তার এই দায়িত্বশীল কাজকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়।


কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হওয়া যায়?

<!DOCTYPE html>
<html lang="en">
<head>
<title>Title of the document</title>
</head>
<body>
<h1>I love my Country</h1>
<p>The name of my country is Bangladesh</p>
</body>
</html>

একজন ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরি করা শিখতে হবে। উপরের এই যেই লেখাগুলো আছে এটি কিন্তু একটি ভাষা। এই ভাষাটিতে একটি হেডিং এবং একটি প্যারাগ্রাফ আছে।
আমরা যদি এই স্ট্রাকচারটি আমাদের ব্রাউজে রান করি তবে দেখতে পাবো প্রথমে লেখা, “I love my country” এবং এর নিচে ছোট করে প্যারাগ্রাফ শুরু হয়ে লেখা আসবে, “The name of my country is Bangladesh”.

এই ভাষাটিকে HTML ল্যাঙ্গুয়েজ বলে। কম্পিউটারের ভাষা আর আমাদের ভাষা এক নয়। কম্পিউটার বুঝবে মেশিনারি ভাষা।
কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখা যেতে পারে:
ওয়েব-ডেভেলপমেন্ট

ধাপ ১: আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্টে আগ্রহী হন তবে আপনাকে জানতে হবে মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ।

Markup Language কী?

 HTML
 CSS


এই দুটি ভাষাকে মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ বলে। এই দুটি ভাষা আয়ত্তে আনলে আপনি ওয়েব পেইজ বা সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট করার প্রথম ধাপ অতিক্রম করবেন।

ধাপ ২: ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার এই এই ধাপে আপনাকে শিখতে হবে একটি প্রোগ্রামিং ভাষা এবং একটি ডাটাবেজ ভাষা।

    PHP – প্রোগ্রামিং ভাষা

SQL – ডাটাবেজ ভাষা

এই দুটি ভাষায় আপনি পারদর্শী হলে আপনি কিছু দক্ষতা অর্জন করবেন যা একটি Dynamic ওয়েবসাইট এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজে যথেষ্ট।

ধাপ ৩: যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটটিকে দৃষ্টিনন্দন এবং আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে, তাই আপনাকে জাভাস্ক্রিপ্ট ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে। আপনার গ্রাফিক্সের বেশ কিছু কাজ করার প্রয়োজনও দেখা দিতে পারে।

সেক্ষেত্রে আপনাকে Adobe PhotoShop, Illustrator বা Graphics এর বেসিক ধারণা থাকতে হবে। আপনি চাইলে C, C++, Python, Visual Basic দিয়ে সফটওয়্যার তৈরি করতে পারবেন।
আরো পড়ুন:  অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৩ | 18 Ways to Earn Money in Bangladesh
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স কোথায় করা যায়?

হ্যাঁ! ওয়েব ডেভেলপার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের উপর বিভিন্ন মেয়াদী কোর্স করায় এবং বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এতে সার্টিফিকেটেও প্রদান করে।

এমন অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে যেখানে ঘরে বসে ফ্রি অনলাইন কোর্স করে ওয়েব ডেভলপমেন্ট শেখা যায়। যেমন:

    Udemy
    Coursera
    Google Developer Skills & Web Development Training
    codecademy
    Khan Academy, ইত্যাদি

আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় সমস্যা অনুভব করেন, তবে বাংলা ভাষায় কোর্স করার সাইট রয়েছে যেখানে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কোর্স অফার করে যেমন:

বহুব্রীহি
 শিক্ষক. কম
 ১০ মিনিট স্কুল
Interactive Cares
মুক্তপাঠ, ইত্যাদি

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয় করার উপায়
web development কি

১. পার্মানেন্ট জব:
আমাদের দেশে স্বনামধন্য বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের ওয়েবসাইট তদারকির জন্য বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপার এবং সফটওয়ার ডেভেলপারদের নিয়োগ রাখেন। খুবই স্বল্প পদে এই নিয়োগটি বরাদ্দ থাকে।

২. ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপিং:
দেশের ঘরোয়া প্রতিষ্ঠান গুলোর ওয়েব ডেভেলপিং করার শেষে আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোতে গিগ আপলোড করতে পারেন। আপনার কাজের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন Buyer নিজে থেকে আপনাকে কাজ দিবেন। আপনি যদি আপনার এই কাজকে নিয়মিত ধৈর্য্যের সাথে চালিয়ে যেতে থাকেন তবে প্রতি মাসে আপনার আয় সর্বনিম্ন ৫০ হাজার হতেই পারে।
একটি ওয়েবসাইট ডেভলপ করতে একজন দক্ষ ডেভলপার ২০ হাজার থেকে লাখ টাকাও নিতে পারেন, সবকিছু সাইটটির কাঠামোর উপর নির্ভর করছে।

৩. পার্ট টাইম জব:
প্রতিটি ওয়েবসাইটের দেখাশোনা করার জন্য একজন ওয়েব ডেভলপারকে নিয়োগ দিতে হয়, প্রতি মাসে এজন্য একজন ডেভেলপার গড়ে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। এমন ৫টি সাইটের দায়িত্ব নিলেও মাসে ১ লাখ টাকা আসবে।

৪. সোর্স কোড বিক্রি:
আমরা প্রায়শই বিভিন্ন সাইট দেখার পর তার ডিজাইন পছন্দ করে ফেলি এবং নিজেদের ওয়েবসাইটকে সেভাবে সাজানোর চেষ্টা করি। ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগস্পট, শপিফাই এবং অন্যান্য কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম আসার পর থিমগুলোর চাহিদা বেড়ে গেছে। একেকটি থিম ৫০ থেকে ২০০ বা তারও বেশি ডলারে বিক্রি হয়। আবার এমন কিছু থিম আছে, যা বাৎসরিক চার্জ করে থাকে।

এছাড়া, ছোট ছোট প্লাগইন, টুলস এর সোর্স কোড বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন স্টক সাইট রয়েছে। যেখানে আপনার ডেভেলপ করা থিম, টুলস সোর্স কোড, প্লাগইন বিক্রি করে আজীবন টাকা আয় করতে পারবেন।

৫. অনলাইন কোর্স:

একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য আমরা সব সময়ই সেরা ওয়েব ডেভেলপার শিক্ষকের কাছে শিখতে চাই। আপনার ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ভালো দক্ষতা তৈরি হলে বিভিন্ন অনলাইন কোর্স করার সাইটে নিজের কোর্স আপলোড করে বিক্রি করতে পারবেন।
আরো পড়ুন:  সেরা অনলাইন ইনকাম সাইট এর তালিকা | Best 15 Online income Site

তাছাড়া, নিজেও ফেসবুক গ্রুপ, ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

প্রশ্ন: ওয়েব ডেভেলপার হতে কি বিজ্ঞান শাখার ছাত্র হতে হয়?
এই প্রশ্নটা সবারই মনে আশা স্বাভাবিক তবে বিভিন্ন অফিসে খোঁজ নিতে গেলে দেখা যাবে যে ৮৫% এর বেশী ওয়েব ডেভেলপাররাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার ছিলেন না। তবে তারা কম্পিউটার চালনাতে খুবই ভালোভাবে দক্ষ ছিলেন। মূলত কথাটা এটাই। আপনি কোন বিভাগের ছাত্র তা মুখ্য নয় তবে কম্পিউটার চালনায় বিশেষ দক্ষতা থাকলে আপনি এই দক্ষতার জোরে এগিয়ে থাকতে পারবেন।

প্রশ্ন: কম্পিউটার চালনাতে অভিজ্ঞতা ছাড়াও আর কোনো কিছুর প্রয়োজন আছে কি?
আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনার একটি কম্পিউটার থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনাতে দক্ষ হতে হবে। এছাড়াও আপনার যেই বিশেষ গুণগুলোর প্রয়োজন হবে তা হলো ধৈর্য্য ও আত্মবিশ্বাস।

এমন বহু স্বনামধন্য ওয়েব ডেভেলপারের নাম আমরা শুনতেই পারতাম যদি না তারা তাদের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস উঠিয়ে না দিতো। আপনি প্রথম প্রথমই উন্নতির চরম শিখরে পৌছে মাসে লাখ টাকা আয় করে ফেলবেন তা সম্পূর্ণই আপনার ভুল ধারনা। আপনাকে ধৈর্য্য ধারন করতেই হবে। ধৈর্য্য এবং কঠোর পরিশ্রম আপনাকে নিয়ে যাবে উন্নতির শীর্ষে।

প্রশ্ন: আমি কি একজন ওয়েব ডেভেলপার হবো নাকি ওয়েব ডিজাইনার?
প্রশ্নের উত্তরটি সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভর করে আপনারই উপর। যদি আপনি একটি ওয়েব পেইজ ডিজাইন (গ্রাফিক্স, এনিমেশন, কালারফুল ফন্ট, লে আউট ইত্যাদি) নিয়ে কাজ করতে বেশী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তবে আপনি হবেন একজন ওয়েব ডিজাইনার। একজন সফল ওয়েব ডিজাইনারও বিভিন্ন উপায়ে আয় করতে পারেন।

তবে যদি আপনি একটি পেইজের বা ওয়েবসাইটের এডমিনিস্ট্রেটের কাজগুলো করতে পারেন এবং তথ্য নিয়ন্ত্রন করতে পারেন তবে আপনাকে অভিনন্দন আপনি হচ্ছেন একজন ওয়েব ডেভেলপার।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে শেষ কথা

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি, কিভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হবে এবং কিভাবে ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে আয় করা যায় সেসম্পর্কে আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

পরিশেষে পরামর্শ থাকবে একটাই, এই প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ পরিবেশে টিকে থেকে ব্যবসায় করা দুষ্কর। চাকুরীজীবীরাও নিজেদের চাকুরীর নিশ্চয়তা কোনো ভাবেই দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় নিজেকে এই প্রতিকূল পরিবেশে টিকিয়ে রাখতে হলে অবশ্যই বিকল্প কিছু আবিষ্কার করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং জগতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার এবং ওয়েব ডেভেলপারদের জয়জয়কার। একজন ওয়েব ডেভেলপারকে কখনই আয় – ইনকাম নিয়ে ভাবতে হবে না। তিনি যতটুকু সময় দিবেন ততটুকুই তিনি আয় করতে পারবেন। গতানুগতিক চাকুরী ও ব্যবসা থেকে একজন ওয়েব ডেভেলপারদের আয়ও ভালো।

আশা করি, আর্টিকেলটি পড়ার পর বাংলাদেশ থেকে আরো অনেকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হবেন এবং কিছু নতুন ওয়েব ডেভেলপার সৃষ্টি হবে, যারা তাদের সৃজনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিবেন।

৯. ডিজিটাল মার্কেটিং
বিভিন্ন ছোট-বড় company গুলো রয়েছে যারা digital marketing এর মাধ্যমে নিজেদের products, business এবং brands গুলোকে অনলাইনে প্রচার করতে চান।
এবং এক্ষেত্রে, তাদের প্রয়োজন হয়ে থাকে একজন ডিজিটাল মার্কেটিং করতে জানা ব্যক্তির।

তাই, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং দক্ষতা রাখেন, তাহলে অবশই ঘরে বসে clients দের জন্য অনলাইন মার্কেটিং এর কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

মনে রাখবেন এই ধরণের অনলাইন মার্কেটিং এর কাজ সবাই করতে পারেননা।
আর তাই, এই কাজে প্রচুর ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
Digital marketing এর বিভিন্ন ভাগ রয়েছে যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং ইত্যাদি।
একটি laptop এবং internet connection থাকলেই আপনি যেকোনো জায়গায় বসে কাজ করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা
ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এটির প্রয়োজনীয়তাই বা কি? এই প্রশ্নটি এখন সবার। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সবাই এখন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে চায়। বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। এখন ঘরে বসে অনলাইনে কেনা কাটা থেকে শুরু করে, অনলাইনে ইনকাম করা সবটাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভর করে।

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে মানুষ মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় পন্যের বিজ্ঞাপনকেই বুঝে। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা কি তাই? আসুন আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানার চেষ্টা করি, ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং এর সাথে আরো কি কি ব্যাপার জড়িত আছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপগুলোই বা কি? কি কি উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়? এই সব বিষয়গুলো নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা। কথা না বাড়িয়ে আসুন জেনে নেই ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং মানে অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই বুঝায়। এখন সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে, আবার হতে পারে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
আবার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন, টিভি, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও এক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়া মোবাইলে ইন্সট্যান্ট মেসেঞ্জিং, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে।

বুঝতেই পারছেন, আধুনিক বিশ্বে নিজেকে ও নিজের ব্যবসার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার কোনো বিকল্প নেই।
এতো গেল ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে আমরা কি বুঝি। কিন্তু এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপগুলো কি কি? কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই ধাপগুলো কি হতে পারে? আসুন আমরা এবার এই ধাপগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপসমূহ

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ধাপ আছে। যেগুলো প্রয়োগ করে মূলত ডিজিটাল মার্কেটাররা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন। নিচের লিস্টে আপনি সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কতগুলো ধাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন। আসুন লিস্টটা দেখে নেই।

এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিং
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এসএমএম
এফিলিয়েট মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং
ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
সিপিএ মার্কেটিং


ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ। কারণ মানুষ এখন যেকোন পণ্য ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে ওই পন্য সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর ক্রয় করে। তাছাড়া মানুষ এখন দোকানে ঘুরে ঘুরে না কিনে, অনলাইন থেকেই বেশিরভাগ কেনা কাটা করে থাকে।

তাই আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন, তাহলে আপনার উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। আসুন আমরা বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাগুলো জেনে নেই।

 সমগ্র বিশ্বে মোট প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যাটি নিয়মিতভাবে বেড়ে চলেছে। মানুষ যত বেশি ইন্টারনেটে ব্যবহার করবে তত বেশি মানুষের সামনে আপনি আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন। আর ইন্টারনেটে পণ্যের মার্কেটিং এ ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতখানি তা আপনি আমাদের উপরের আলোচনা পড়লেই বুঝতে পারার কথা।


বর্তমান বিশ্বে মোট প্রায় ৫.১১ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যা খুবই দ্রুত গতির সাথে বেড়ে চলেছে। এখন অনেক মানুষ আছে যারা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্যে। আর এই মোবাইল ফোন হচ্ছে ক্রেতার তথ্য কালেকশনের অন্যতম মাধ্যম। কারণ প্রায় সকল মোবাইল ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। তাই এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।

আপনি জেনে অবাক হবে যে, একটা স্ট্যাটিসটিক্সের মাধ্যমে ইউজার সার্ভে রিপোর্ট উল্লেখ করেছে যে, প্রায় ৮৪% বিক্রেতা, মার্কেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে।
এছাড়া আরো একটি সার্ভে রেজাল্ট দেখিয়েছে যে, সারা বিশ্বে ৫৫% মানুষ যেকোন পন্য ক্রয়ের জন্যে সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। মানে হচ্ছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাদের পছন্দের পণ্য সম্পর্কে তথ্য এবং রিভিউ জানতে পারে। আর ক্রেতা যার প্রেজেন্টেশন ও পণ্যকে পছন্দ করবে তার কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই ক্রয় করে ফেলে।

৪৩% ই-কমার্স ক্রেতা গুগলে সার্চ করে তাদের পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে।
বিশ্বে প্রায় ৫১% ক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে। এই সংখ্যাটিও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
৭০% ক্রেতা যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টার্নেটে সার্চ দিয়ে সেই পণ্য সম্পর্কে যাচাই বাছাই করেন। পণ্যটি পচ্ছন্দ হলে সাথে সাথেই ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করে ফেলেন।
আরো একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৮২% ক্রেতা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বিক্রেতার সাথে তাদের লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে চান।

আপনি হয়ত এখন কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন, আপনার ক্রেতারা কিভাবে অনলাইনে তাদের কেনাকাটা সম্পন্ন করেন। তাই আপনি যদি এই ডিজিটাল যুগে, ডিজিটাল মার্কেটে টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনার এখনই ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ভাবা উচিত।
কারণ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু বসে নেই, সে কিন্তু তার ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন। Coca-Cola, Unilever, Nestlé এর মতো বড় বড় কোম্পানীগুলোও কিন্তু বেশ তোড়জোড়ের সাথেই বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়াতে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।

আসুন এখন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করি।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?
দেখুন, বর্তমান বিশ্বের বাজার ব্যবস্থা যেভাবে ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যখন মানুষ আর দোকানে কিংবা বাজারে গিয়ে পণ্য কেনা বন্ধ করে দিবে। তারা সবকিছু অনলাইনেই কিনে নিবে। কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।

আর মানুষ সময় নষ্ট করে বাজারে গিয়ে পণ্য যাচাই বাছাই করার থেকে অনলাইনে যেকোন পণ্য সম্পর্কে সার্চ করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জেনে নিতে পারে। আর পছন্দ হলে সেই পণ্য একটি বিশ্বাসযোগ্য বিক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই কিনে নিতে পারে।

 আর এই অনলাইন বাজার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল। আপনি যদি এখনই নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ করে না তুলতে পারেন, তাহলে আপনি এই বাজার ব্যবস্থায় টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ আপনার পণ্য সম্পর্কে যদি মানুষ অনলাইনে জানতেই না পারে, কিংবা আপনার পণ্য যদি অনলাইনে কিনতে না পারে, তাহলে কোন ক্রেতাই আপনার পণ্য কিনবে না।

আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার ব্যবসাকে সফল হিসাবে দেখতে চান তাহলে এখনি সময়। এখনি উত্তম সময়, নিজেকে এবং নিজের ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর আওতায় নিয়ে এসে, ক্রেতার সামনে আকর্ষনীয়ভাবে নিজের পণ্যকে তুলে ধরার।
উপসংহার

পরিশেষে বলতে চাই, ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে রাখাটা এখন সময়ের দাবী। আপনি যদি ধৈর্য্য এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিতে পারেন তাহলে ধরে নিবেন আপনি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত। তবে ব্যাপারটা বলা যত সহজ করাটা ঠিক তার থেকে কয়েকগুণ বেশি কঠিন।

অনেক সময়, অনেক এক্সপেরিমেন্ট, অনেক কিছু বোঝার মাধ্যমে আপনার নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ করে তুলতে হবে। আপনি যদি কিছুদূর যাওয়ার পর হাল ছেড়ে দেন তাহলে হবে না। তবে আশার কথা হচ্ছে, ঘুড়ি লার্নিং এর ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা বিষয়ের ওপর একটি দারুণ কোর্স আছে। আপনি চাইলে যেকোন সময় কোর্সটিতে ভর্তি হতে পারেন।

এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা। আশা করছি, আমাদের আজকের আলোচনা আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আসলে আমাদের উদ্যেশ্য ছিল আপনাদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটি সম্মক ধারণা দিতে যেন আপনারা আপনাদের ব্যবসা কে অনেক দূরে নিয়ে যেতে পারে

১০. অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম

ইন্টারনেটে এমনিতে online income করার প্রচুর পদ্ধতি বা উপায় রয়েছে।
এবং এই উপায় গুলোর মধ্যে একটি সেরা উপায় হলো “paid survey website” গুলোর থেকে ইনকাম করা।
এরকম অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে একাউন্ট তৈরি করে আপনারা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
Paid survey গুলো প্রায় ১০ থেকে ২০ মিনিটের সময় নিয়ে আপনাকে বিভিন্ন products, company বা services এর সাথে জড়িত প্রশ্ন করবেন।

আপনাকে, নিজের মতামত গুলো জমা দিতে হবে এবং প্রত্যেক survey করে প্রায় $0.50 থেকে প্রায় $10 বা তার থেকেও অধিক ইনকাম করা সম্ভব।
Paid survey করে আপনারা তেমন বেশি টাকা আয় করতে পারবেননা যদিও ঘরে বসে পার্ট-টাইম ইনকাম কিছুটা হয়েই যাবে।
পেইড সার্ভে করে ইনকাম করার সাইট গুলো

১১. অনলাইনে ছবি বিক্রি করুন

অবশই, ইন্টারনেটে এরকম অনেক ইমেজ ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে account তৈরি করে জেকেও নিজের তোলা ছবি গুলো আপলোড করে সেগুলোকে বিক্রি করতে পারবেন।
এই ধরণের ওয়েবসাইট গুলোকে বলা হয় স্টক ইমেজ ওয়েবসাইট।

যেমন, iStock photo, Shutterstock, BigStock, Adobe Stock, Getty Images ইত্যাদি।
তবে এই ওয়েবসাইট গুলোর মাদ্ধমে আপনি কেবল সেই ছবি গুলো বিক্রি করতে পারবেন যেগুলো আপনি নিজে তুলেছেন এবং যেগুলোর কোয়ালিটি প্রচুর ভালো (HD).

এছাড়া, আপনি যত বেশি unique images তুলে upload করবেন সেগুলো বিক্রি সবার সুযোগ অধিক থাকবে।
আপনার কাছে যদি একটি DSLR camera আছে এবং আপনি ছবি তুলে ভালো পান, তাহলে অবশই অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করাটা আপনার জন্যে লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে।
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয় করুন

১২. ডাটা এন্ট্রি জব

ইন্টারনেটে ডাটা এন্ট্রি (data entry) করে টাকা আয় করার জন্য আপনারা প্রচুর ডাটা এন্ট্রি সাইট অবশই পাবেন।
Google এর মধ্যে সার্চ করলেই আপনারা প্রচুর ডাটা এন্ট্রি ওয়েবসাইট পাবেন যেগুলোর থেকে ইনকাম সম্ভব।
তবে এই কাজ আপনি ফুল-টাইম বা পার্ট-টাইম দুধরণেই করতে পারবেন।
এছাড়া, ডাটা এট্রির কাজ করার জন্য আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকতে হবে।

যতটা সম্ভব ভুলভাল না করে তাড়াতাড়ি data type বা entry করতে পারলেই এই কাজে লাভ আছে।
Data entry কাজ বলতে সে বিভিন্ন ধরণের কাজ হতে পারে।
যেমন, captcha এন্ট্রির কাজ, translation, editing, copy pasting ইত্যাদি।
 ডাটা এন্ট্রি কি এবং কত প্রকারের

১৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং

বর্তমান সময়ে যদি আপনি এমন একটি অনলাইন কাজ খুজছেন যার মাধ্যমে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করা যাবে,
তাহলে আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কথা আপনাদের বলবো।
এটা হলো এমন একটি অনলাইন ব্যবসা (online business) যেখানে আপনি বিভিন্ন e-commerce company গুলোর থেকে টাকা ইনকাম করেন।

আসলে, এই প্রক্রিয়াতে আপনাকে একটি অনলাইন কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর সাথে যুক্ত হতে হয়।
এর পর, সেই কোম্পানির পণ্য বা সেবা গুলোকে আপনাকে নিজের অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করতে হয়।
Products / services শেয়ার করার জন্য আপনাকে একটি বিশেষ ধরণের link দেওয়া হবে। আর এই link-এর নাম হলো, “affiliate link”.
এখন, যদি আপনার প্রচার করা product / service টি কোনো user আপনার সেই বিশেষ affiliate link-এর মধ্যে click করে কিনেন,

তাহলে সেই বিক্রির জন্যে আপনাকে কোম্পানির তরফ থেকে কমিশন দেওয়া হবে।
আর, এভাবেই কাজ করে affiliate marketing business model.
আপনি নিজের social media profile (Facebook, Instagram, YouTube, Telegram) বা নিজের blog / website এর মাধ্যমে এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলোর প্রচার করতে পারেন।
অধিক জানার জন্যে আমাদের এই আর্টিকেল পড়ুন – এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? কিভাবে করবেন

১৪. ফ্রিল্যান্সিং

অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার একটি অনেক দারুন ও জনপ্রিয় উপায় হলো, “ফ্রিল্যান্সিং“.
এক্ষেত্রে, আপনি নিজের ঘরে বসে নিজের সুবিধা হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
কাজ সম্পূর্ণ অনলাইনে করতে হবে আর তার জন্যে আপনার প্রয়োজন হবে একটি laptop এবং internet এর।
আপনি নিজের কাছে থাকা সময় এবং নিজের দক্ষতা (skill) হিসেবে কাজ খুঁজতে পারবেন তবে সেগুলোকে দিয়ে দেওয়া সময় মতো সম্পূর্ণ করতে হয়।

ফ্রীল্যানসিং এর কাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কাজ গুলো রয়েছে।
যেমন, video editing, content writing, animation, coding, app / website development, SEO এবং আরো অনেক।
তাই, আপনি যেই কাজ জানেন সেই হিসেবে কাজ খুজুন এবং কাজ সম্পূর্ণ করে টাকা ইনকাম করুন।
আপনি নিচে দিয়ে দেওয়া এই  freelancing websites গুলোতে গিয়ে কাজ খুঁজতে পারবেন,

Freelancer
Upwork
Truelancer
Toptal


১৫. কোডিং (coding)

কোডিং কি ? এই বিষয়ে আমি আপনাদের আগেই বলেছি।
যদি আপনার কাছে কোডিং এর ভালো জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আছে এবং আপনি ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন
তাহলে আপনি একজন Developer, programmer, এবং analysts হিসেবে অনলাইনে কাজ করতে পারেন।
অনলাইনে এমন অনেক freelancing marketplace গুলো রয়েছে যেগুলোতে বিভিন্ন coding ও development-এর কাজ পাবেন।

যেমন, Upwork, Fiverr, PeoplePerHour এবং Freelancer, কোডিং এর কাজ পাওয়ার জন্যে অনেক জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।
মনে রাখবেন, বিভিন্ন ছোট কোম্পানি থেকে শুরু করে বড় বড় ব্র্যান্ড ও কোম্পানি গুলো এরকম coders-দের খুজেঁ যারা ঘর থেকেই কাজ করতে পারবেন।
তাই, একজন professional coder হিসেবেও আপনি ঘরে বসে অনলাইনে টাকা আয় অবশই করতে পারবেন।
১৬. App design / developing

ঘরে বসে অনলাইন কাজ করে টাকা ইনকাম করার আরেকটি দারুন উপায় হলো mobile app designing এবং developing.
বর্তমান সময়ে একজন সেরা app developer (mobile app developer) বা app designer হওয়াটা এতটা কঠিন কাজ না।

আপনি একটি সেরা ও ভালো কোর্স এর দ্বারা app development-এর কাজ শিখতে পারবেন।
 বিজিত কিছু বছর থেকেই, android app development experts-দের চাহিদা প্রচুর বেড়েছে।
আপনাকে বিভিন্ন জনপ্রিয় freelancing website গুলোতে একজন app developer হিসেবে নিজের একটি portfolio তৈরি করতে হবে।

আপনি, Upwork বা Fiverr থেকে শুরু করতে পারেন।  
ধীরে ধীরে আপনি বিভিন্ন app development এর কাজ গুলোর notification পেতে থাকবেন।
এখন, সরাসরি projects গুলোতে গিয়ে apply করুন, কত টাকা নিবেন সেটা আলোচনা করুন এবং সময় মতো কাজ করে জমা দিয়ে দিন।

আজকে আমরা কি শিখলাম ?
বন্ধুরা আজকে আমরা জানলার যে ঘরে বসে কি কি কাজ করে অনলাইনে টাকা ইনকাম সম্ভব (make money online working from home).
আর্টিকেলের মধ্যে বলা অনলাইনে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতি গুলো যদি আপনাদের পছন্দ হয়ে থাকে, তাহলে অবশই আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।
আমি আশা করছি যে ওপরে বলা ঘরে বসে ইনকাম করার উপায় গুলো আপনাদের কাজে অবশই আসবে।

Read More: এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

Read More: ডাটা এন্ট্রি কি

Post a Comment

0 Comments