Upwork কি? নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে শুরু করবেন | আপওয়ার্ক এ অনলাইনে আয় করুন

কিভাবে Upwork এ কাজ শুরু করবেন

Upwork কি? নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে শুরু করবেন | আপওয়ার্ক এ অনলাইনে আয় করুন

Upwork কি

নতুন ফ্রিল্যান্সাররা কিভাবে শুরু করবেন

Upwork কি এবং Upwork এ কোন কাজের চাহিদা বেশি যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন তাদের মনে এই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে।
সকল ফ্রিল্যান্সারদের ইচ্ছা প্রফেশেনাল ভাবে আপওয়ার্কে কাজ করার। কারণ, অনলাইনে যতগুলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস রয়েছে তার মধ্যে সেরা হলো আপওয়ার্ক।

Read More: কিভাবে একজন গৃহিণী ঘরে বসে ইনকাম করতে পারে


বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা এখানে তাদের দক্ষতা, স্কিল দিয়ে কাজ করে। এবং কাজের মজুরি হিসেবে বায়ারের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করে।
তাই আপনি যদি upwork এ কাজ করতে চান তাহলে আগে কাজের উপর পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করে তারপর আপওয়ার্কে আসুন কাজ করার জন্য।
Upwork এমন একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি প্রচুর কাজ পাবেন। কিন্তু, আপনাকে কাজের উপর দক্ষতা থাকতে হবে।

MS Word কি? কিভাবে চালু করতে হয়
আপনি যদি মোটামুটি কাজ শিখে আপওয়ার্কে একাউন্ট তৈরি করে কাজ করার জন্য আসেন তাহলে কিন্তু কাজ পাবেন না।
কারণ, এখানে কাজ পেতে হলে আপনাকে কমপিটিশন করতে হবে। যদি আপনি কমপিটিশনে টিকে থাকেন তাহলে কাজ পাবেন।

  • Table of Contents
  • Upwork কি? (What is Upwork)
  • আপওয়ার্কে কি কি কাজ পাওয়া যায়?
  • Upwork এ কোন কাজের চাহিদা বেশি?
  • আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম
  • Upwork এ কিভাবে বিট করবেন?
  • আপওয়ার্ক মেম্বারশিপ ও কানেক্টস কি?
  • Upwork থেকে কিভাবে টাকা তুলব?


Upwork কি? (What is Upwork)
Upwork হলো একটি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। তবে, আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসের নাম শুরুতে আপওয়ার্ক ছিলো না।
শুরুতে আপওয়ার্কের নাম ছিলো ওডেক্স। পরবর্তীতে ইল্যান্সের নামের সাথে একত্রিত হয়ে আপওয়ার্ক (Upwork) নাম দেওয়া হয়।
আপওয়ার্ক ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সারগণ তাদের কাজের অভিজ্ঞতা গুলো তুলে ধরে। এবার ক্লায়েন্ট তার প্রয়োজন অনুযায়ী কাজের বিবরণ এবং কাজের বাজেট উল্লেখ করে পোস্ট করেন।

ফ্রিল্যান্সারগণের কাজের সাথে যদি ক্লায়েন্টের কাজের মিল থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সার কাজ করার জন্য ক্লায়েন্টের কাছে প্রপোজাল পাঠায়।
ক্লায়েন্ট প্রপোজাল পাঠানো ফ্রিল্যান্সারগণ থেকে যাকে পছন্দ করবে তাকে কাজ দিয়ে দিবে। আবার ক্লায়েন্ট চাইলে ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল দেখে ভালো লাগলে তার কাছে কাজের রিকেষ্ট (request) পাঠাতে পারে।

মাইক্রোসফট অফিস কি? 

Microsoft office এর কাজ কি
সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আপওয়ার্ক হলো ক্লায়েন্ট এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে কাজের বিষয় সংযোগ সৃষ্টি করে। আর এই সম্পূর্ণ বিষয় গুলো হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে।

আশাকরি, আপনারা সহজে বুঝতে পারছেন Upwork কি?

আপওয়ার্কে কি কি কাজ পাওয়া যায়?
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপওয়ার্কে কাজ করতে চান তাহলে বিভিন্ন ধরনের কাজ upwork এ পেয়ে যাবেন।

আপওয়ার্ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে আপনি সব ধরনের কাজ পেয়ে যাবেন। তার মধ্যে কিছু উল্লেখ্য যোগ্য কাজের ক্যাটাগরি নিচে উল্লেখ করেছি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন
ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট
কনটেন্ট রাইটিং
ভিডিও এডিটিং
অ্যানিমেশন
সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
কনটেন্ট কপিরাইটিং
ফটোগ্রাফি এন্ড এডিটিং
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
অনুবাদ করা
ভয়েস ওভার
মার্কেটিং


এছাড়া আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ আপনারা আপওয়ার্ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে পেয়ে যাবেন।

Upwork এ কোন কাজের চাহিদা বেশি?
আমরা যারা আপওয়ার্কে কাজ করতে চান তাদের মনে একটা কমন প্রশ্ন থাকে মার্কেটপ্লেসে কোন কাজের চাহিদা বেশি।
আজকে আমি এমন কিছু কাজের নাম উল্লেখ করবো যে গুলোর চাহিদা অনেক বেশি এবং যেগুলো করে দ্রুত ইনকাম করা সম্ভব।
যারা আপওয়ার্কে এক্সপার্ট হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছে তাদের মতে এমন কিছু ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে যেগুলোর চাহিদা সময় সময় বেশি। যেমন –

১. ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট : আপনি যদি একজন ভালো মানের ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন তাহলে মার্কেটপ্লেসে এর চাহিদা প্রচুর। তাছাড়া, আপনাকে কাজের পিছনে ছুটতে হবে না। বরং কাজ এবং টাকা দুইটা আপনার পিছনে ছুটবে।

২. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট : একজন ভালো মানের সফটওয়্যার ডেভেলপারের চাহিদা শুধু আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে না সারা বিশ্বে। এক্সপার্ট সফটওয়্যার ডেভেলপারদের প্রতি ঘন্টায় আয় $100 এর বেশি।

৩. গ্রাফিক্স ডিজাইন : অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের চাহিদা সেই শুরু থেকে। আপওয়ার্কে প্রতি মিনিটে কয়েক শত কাজ পাবলিশ করা হয়।

৪. কনটেন্ট রাইটিং : কনটেন্ট রাইটিং মানে কোনো ওয়েবসাইটের জন্য লেখালেখি করা। আমি হাই-কোয়ালটির কনটেন্ট লিখতে পারলে মার্কেটপ্লেসে কাজের অভাব হবে না। মার্কেটপ্লেসে কাজ করার পাশাপাশি নিজে ওয়েবসাইট তৈরি করে কনটেন্ট লিখে ইনকাম করতে পারবেন।

৫. এসইও : এসইও (SEO) সেক্টরে কাজ করা অনেক ধৈর্যের ব্যাপার। তাছাড়া বর্তমানে এসইও এক্সপার্টদের চাহিদা প্রচুর। একজন এসইল এক্সপার্ট যে কত টাকা আয় করতে পারে সেটা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না।

বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সিং সাইট | bangladeshi freelancing site

এছাড়াও আপওয়ার্ক অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন ধরনের কাজ আপনারা প্রচুর পরিমানে পেয়ে যাবেন। তবে, কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে কাজের উপর।

মনে রাখবেন, আপনি যদি মোটামুটি কাজ শিখে মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে কাজ খুঁজতে থাকেন তাহলে কখনো কাজ পাবেন না। আগে কাজ শিখুন তারপর মার্কেটপ্লেসে আসুন।

আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম
আপনি যদি আপওয়ার্কে কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে। আপনি দুই ভাবে এখানে একাউন্ট খুলতে পারবেন।

১. আপওয়ার্ক ওয়েবসাইটে সাইনআপ এর মাধ্যমে।
২. আপওয়ার্ক এন্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে।
৩. সাইনআপ করার জন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দিতে হবে।
৪. আপনার মোবাইল নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস সঠিক ভাবে দিয়ে ভেরিফাই করে নিতে হবে।
৫. সকল তথ্য সঠিক ভাবে দিয়ে সাবমিট অপশনে ক্লিক করুন এবং একাউন্ট এপ্রুভ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
৬. এবার আপনার প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাতে হবে যাতে ক্লায়েন্টের ভালো লাগে।
এর আগের আর্টিকেলে কিভাবে আপওয়ার্ক একাউন্ট খুলতে হবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা সহজে একাউন্ট খোলার জন্য ঔ আর্টিকেলটি পড়ুন।

Upwork এ কিভাবে বিট করবেন?
আপওয়ার্কে একাউন্ট খোলার পরে আপনাকে কাজ পাওয়ার জন্য ক্লায়েন্টদের পাবলিশ করা কাজে আপনাকে বিট করতে হবে। এজন্য আপনার প্রোফাইল ভালো ভাবে সাজাতে হবে।

আপনি যে কাজ পারবেন সেই কাজে বিট করবেন। পারবেন না এমন কাজে কখনো বিট করবেন না। এতে আপনার নিজের ক্যারিয়ারের সমস্যা হতে পারে।
আপনি যে কাজ করতে পারবেন সেটার টাইটেলের উপর ক্লিক করবেন এবং কাজের বিষয় বিস্তারিত পড়ে নিবেন ক্লায়েন্ট কি বলতে চেয়েছে।

এরপর সাবমিট প্রোপোজাল (Submit Proposal) নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে নতুন পেজে টারমস টিক চিহ্ন দিন। ডিসক্রেপশন বক্সে কিছু লিখতে হবে এবং এমাউন্ট ও তারিখ দিন।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো?


কত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে দিতে পারবেন সেটাও লিখে দিন। এরপর ২০০-৩০০ অক্ষরের মধ্যে কভার লেটার লিখতে হবে। মনে রাখবেন কভার লেটারে অতিরিক্ত কিছু লিখবেন না।

প্রথমে hi, hello বা sir দিয়ে শুরু করবে এবং আপনার কাজের দক্ষতা গুলো তুলে ধরবেন। আর আপনার কাজের পোর্টফলিও এর লিংক দিবেন। শেষ thanks লিখে শেষ করুন।
সব শেষে সাবমিট প্রোপোজাল (Submit Proposal) অপশনে ক্লিক করলে আপনার কাজের জন্য বিট করা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

আপওয়ার্ক মেম্বারশিপ ও কানেক্টস কি?
আপওয়ার্কে কাজের জন্য আপনাকে ক্লায়েন্টের কাছে প্রোপোজাল পাঠাতে হবে। প্রোপোজাল পাঠানোর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে কানেক্টস এর।
কানেক্টস গুলো অনেকটা টোকেনের মতো। আপনি ক্লায়েন্টের কাছে কাজের প্রোপোজাল পাঠানোর জন্য ১-৬ টা কানেক্টস এর দরকার হয়।

যদি কোনো কারণে আপনার পাঠানো প্রোপোজাল বাতিল হয় তাহলে কানেক্টস গুলো ফেরত পাবেন। আপনি নতুন একাউন্ট তৈরি করার পরে কিছু কানেক্টস ফ্রিতে পাবেন।
কিন্তু, এই ফ্রি কানেক্টস গুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তাই আপনাকে $14.99 ডলারের বিনিময়ে ১ মাসের জন্য কানেক্টস কিনে নিবেন।

Upwork থেকে কিভাবে টাকা তুলব?
ক্লায়েন্টের কাজ করার বিনিময়ে আপনি টাকা পাবেন। এই টাকা আপনার আপওয়ার্ক একাউন্টে যোগ হবে।
আপনার ইনকাম করা টাকা ব্যাংক ট্রান্সফার, পেপাল, পেওনিয়ার ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা তুলে নিতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি মোবাইলে করা যায়?
যদিও আমাদের বাংলাদেশে পেপাল সাপোর্ট করে না। তাই পেওনিয়ার বা ব্যাংকের মাধ্যমে আপওয়ার্কের টাকা তুলতে পারবেন।


আপওয়ার্ক কি – আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফ্রিল্যান্সিং করেন বা করতে চান, কিংবা আপনি আইটি ক্যারিয়ারের সাথে সম্পৃক্ত, আর আপওয়ার্ক এর নাম শুনেন নাই, এরকম মানুষ হয়তো খুজে পাওয়া যাবেনা । ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক সম্পর্কে আজকে আমাদের আলোচনা । আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার দের জন্য এক আদর্শ মার্কেটপ্লেস। অন্যান্য মার্কেটপ্লেস এর চেয়ে আপওয়ার্কে কাজ করার প্রক্রিয়া বেশ আলাদা, আবার প্রক্রিয়া গুলো বেশ সুবিধাজনক যেকোনো ফ্রিল্যান্সারদের জন্য। কেন আপওয়ার্ক সুবিধাজনক কিংবা আদর্শ মার্কেটপ্লেস সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো আজকে।

  • Table of Contents
  • আপওয়ার্ক এর শুরু
  • আপওয়ার্ক একাউন্ট
  • একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে ?
  • একাউন্ট খোলার জন্য ভিপিএন/ট্রিকস
  • আপওয়ার্ক জব
  • আপওয়ার্ক আওয়ারলি (HOURLY) জব
  • আপওয়ার্ক ফিক্সেড(FIXED) প্রাইস জব


আপওয়ার্ক এর শুরু
আপওয়ার্ক ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করার তথ্য গুগলে রয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আপওয়ার্ক এর অনেক আগেই যাত্রা শুরু করেছিল। তখন আপওয়ার্ক পুর্বে ওডেস্ক(ODESK) নামে পরিচিত ছিল। ২০১৩ সালে ওডেস্ক এবং ইল্যান্স মার্জ হয়ে ২০১৫ সালে ফাইনালি আপওয়ার্ক তাদের যাত্রা শুরু করে, এবং একটা ব্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আপওয়ার্ক বিশ্বের প্রায় ১৮০ টি দেশের বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

আপওয়ার্ক একাউন্ট
আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল একাউন্ট খোলার জন্য দুটি অপশন রাখা হয়েছে, একটা হচ্ছে ক্লায়েন্ট দের জন্য, অন্যটি ফ্রিল্যান্সার বা সেলাদের জন্য। আমরা মুলত ফ্রিল্যান্সার বা সেলাদের জন্য বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।
যে কোন ফিল্ডের স্কিল মানুষ খুলতে পারবে আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার একাউন্ট । কারন আপওয়ার্কে মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ধরনের কাজের সুযোগ রয়েছে।

একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে ?
একাউন্ট খুলতে একটি ইমেইল, এবং আপনার ব্যক্তিগত কিছু ইনফরমেশন প্রয়োজন হবে। তারপর প্রোফাইল ফিলাপ করার জন্য ডেসক্রিপশন, ওভারভিউ, ছবি, পোর্টফলিও ইত্যাদি আপনাকে এড করতে হবে।

একাউন্ট খোলার জন্য ভিপিএন/ট্রিকস
একাউন্ট খোলার জন্য ভিপিএন ইউজ করা, বা কারো দেয়া কোন অবৈধ ট্রিকস ফলো করা থেকে বিরত থাকা উচিত। মনে রাখুন, সঠিকভাবে একাউন্ট খোলার সবচেয়ে সহজ উপায় আপনি সকল বৈধ পথ ফলো করবেন। ১০০% সঠিক এবং আপনার আইডেটিটির সাথে মিল রেখে যদি আপনি খোলেন, আপনি কখনো কোন সমস্যা পড়বেন না। হয়তো প্রোফাইল এপ্রুভে টাইম লাগতে পারে, কিন্তু আপনি থাকবেন শতভাগ নিরাপধ।

আপওয়ার্ক জব
প্রচলিত সকল মার্কেটপ্লেস থেকে আপওয়ার্কের সিস্টেম বেশ কিছুটা আলাদা৷ এখানে জব করা যায় প্রধানত দুইটি সিস্টেমে, এক আওয়ারলি (HOURLY) হিসেবে,  দুই ফিক্সেড(FIXED) প্রাইস হিসেবে।

আপওয়ার্ক আওয়ারলি (HOURLY) জব
আওয়ারলি জবগুলো ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজের টাকা দেবে আপনি কয় ঘন্টা কাজ করেছেন, তার উপর ডিপেন্ড করেছেন। কাজের পুর্বে অবশ্যই ক্লায়েন্ট এবং আপনি ফিক্সড করে নিবেন কত ডলার প্রতি ঘন্টা কাজের জন্য আপনি নিবেন। উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি ৫ ডলার ঘন্টাপ্রতি নিবেন, তাহলে আপনি দশ ঘন্টা কাজ করলে সেই ক্লায়েন্ট আপনাকে ১০*৫=৫০ ডলার আপনাকে পেমেন্ট করবে।  

আপওয়ার্ক ফিক্সেড(FIXED) প্রাইস জব
ফিক্সেড প্রাইস জবগুলোর ক্ষেত্রে আগেই প্রাইস ফিক্স করে নেওয়া হয়৷ অর্থাৎ ক্লায়েন্ট আপনাকে একটা নিদিষ্ট কাজ দেবে, এমাউন্টও ফিক্স করে দেবে, এরপর আপনি ক্লায়েন্টকে কাজ ডেলিভারি করলে, ক্লায়েন্ট আপনাকে সেই ফিক্সড করা এমাউন্ট টা দিয়ে দিবে।

Ways to get work on Upwork and Fiver
What is the easiest way to get a job on Upwork and Fiver

আপওয়ার্ক এবং ফাইভারে সহজে কাজ পাওয়ার উপায় কী?
আপওয়ার্ক ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ফ্রিল্যান্সিং গাইড ফ্রিল্যান্সিং টিপস মার্কেটপ্লেস

বর্তমানে বাংলাদেশী তরুণদের মাঝে ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পেশা। সবাই এখানে নিজেদের দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে পুঁজি করে হাজারো তরুণ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে নিজেদের মুক্ত করে স্বনির্ভর হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে। পর্যাপ্ত দক্ষতা  পাশাপাশি  সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে যে কেউই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো থেকে বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে বেশ ভাল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারে। বিশ্বজুড়ে হাজারো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে আপওয়ার্ক এবং ফাইবার সবথেকে জনপ্রিয়, এবং অন্যান মার্কেটপ্লেস এর তুলনায় এখানে কাজের ডিমান্ডও তুলনামুলক ভাবে বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কী?
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বায়াররা তাঁদের প্রয়োজনীয় কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে জব পোষ্ট কিংবা অন্য বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁদের কাজের জন্য উপযোগী দক্ষ ফ্রিল্যান্সারের খোঁজ করে থাকেন। আর ফ্রিল্যান্সাররা এই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাঁদের দক্ষতা অনুযায়ী পছন্দসই কাজটি খুঁজে থাকেন। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বায়াররা ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ নির্ধারিত পারিশ্রমিকের বিনিময়ে করিয়ে থাকেন।

মূলত এই বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে সংযোগস্থাপনারী ওয়েবসাইট ই হলো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। আপওয়ার্ক, ফাইভার, গুরুকূল, পিপল পার আওয়ার সহ বর্তমানে আরো অনেক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে। মার্কেটপ্লেসের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ও তেমনি বাড়ছে বহুলাংশে। তাই এসব মার্কেটপ্লেসে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ থাকার পাশাপাশি একটু কৌশলী হতে হবে।

আজ আমরা সবচেয়ে জনপ্রিয় দুইটি মার্কেটপ্লেস অর্থাৎ আপওয়ার্ক এবং ফাইভারে কিভাবে খুব সহজেই কাজ পেতে পারেন সে সম্পর্কে আলোচনা করবঃ
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ পাওয়ার উপায় কি? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই পোষ্টটি ফলো করতে পারেন।
 
আপওয়ার্ক
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং সাইট হচ্ছে আপওয়ার্ক (Upwork). ফ্রিল্যান্সার এবং বায়ারদের কাছে আস্থার অন্যতম প্রতীক এই আপওয়ার্ক। ১৯৯৮ সালে বিশ্ববাজারে সর্বপ্রথম ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসেবে আসা ওডেক্স (Odesk) ই বর্তমানে আপওয়ার্ক হিসেবে সর্বজন পরিচিত। মূলত ২০১৫ সালে ওডেক্স আর ইল্যান্স একত্রিত হওয়ার পরই আপওয়ার্ক এর সূচনা হয়।

কাজের প্রকারকভেদ
আপওয়ার্ক এ প্রায় সব ধরনের কাজই পাওয়া যায়। আপনার দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে পুঁজি করে সঠিক কাজটি বাছাই করে কাজ শুরু করতে পারেন। আপওয়ার্ক মূলত কয়েকটি ক্যাটাগরিতে নানান ধরনের কাজ থাকে। যেমনঃ

ডেভেলপমেন্ট এবং আইটি
ডিজাইন এবং ক্রিয়েটিভ
ফিন্যান্স এবং একাউন্টিং
এডমিন এবং কাস্টোমার সাপোর্ট
ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার
সেলস এবং মার্কেটিং
রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন


আপওয়ার্ক এ কাজের পরিমাণ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর তুলনায় তুলনামূলক বেশি। তবে প্রতিটি কাজের বিপরীতে আগ্রহী ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। তাই বুঝতেই পারছেন, এই মার্কেটপ্লেসে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই প্রতিযোগিতা করেই টিকতে হবে। তবে একটু কৌশলী এবং সূক্ষ্মবিষয় লক্ষ করলেই কিন্তু এই মার্কেটপ্লেসটিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

আপওয়ার্ক এ কাজ পেতে হলে যা যা করণীয়ঃ
প্রথমে আপওয়ার্ক ওয়েবসাইটে গিয়ে সাইন আপ পেইজে প্রবেশ করুন। অতঃপর প্রয়োজনীয় সব তথ্যাদি ঠিকঠাক ভাবে দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরী করুন। অ্যাকাউন্ট তৈরী হয়ে গেলে, প্রোফাইল তৈরীতে মনোযোগী হোন।

প্রোফাইলটিকে যথাসম্ভব সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করুন। কারণ একটি সুন্দর এবং তথ্যবহুল প্রোফাইল কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম নিয়ামক। বায়ার প্রদত্ত কোনো একটি কাজের বিপরীতে যখন অনেক ফ্রিল্যান্সার বিড করে থাকে, তখন প্রাথমিকভাবে বায়াররা ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল দেখেও অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নেন যে কাজটির জন্য আপনি উপযোগী কিনা। তাই ভূল কিংবা অবাঞ্চিত তথ্য পরিহার পূর্বক সুশৃঙ্খল এবং পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা সম্বলিত একটি প্রোফাইল তৈরী করুন।

একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য পোর্টফোলিও খুবই  দরকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ। মূলত পোর্টফোলিও হচ্ছে আপনার পূর্ববর্তী কাজের সুবিন্যস্ত সংকলন। অর্থাৎ আপনার করা পূর্ববর্তী প্রজেক্ট  বা কাজের বিবরণ সম্বলিত একটি ওয়েবসাইট। পোর্টফোলিও শুধু ওয়েবসাইট আকারেই হয়ে থাকে নাহ, বরং কাজের ধরন এবং প্রয়োজনীয়তাভেদে ওয়ার্ড ডকুমেন্ট, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন, এক্সেল শীট ইত্যাদি আকারেও হয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজন অনুসারে পছন্দসই একটি পোর্টফোলিও তৈরী করুন। পোর্টফোলিও টি এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যেন কোনো বায়ার খুব সহজেই আপনার কাজের ধরণ সম্পর্কে বুঝতে পারে।

একটি সুন্দর পোর্টফোলিও সংযুক্ত প্রোফাইল তৈরী হয়ে গেলে, আপনার কাজ খোজায় মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপওয়ার্ক এর “ফাইন্ড ওয়ার্ক” ট্যাবটিতে প্রবেশ করলে অনেক কাজের সন্ধান পাবেন। এবং কাজগুলোতে ডেসক্রিপশন তথা কাজের বিবরণ ও দেখতে পাবেন। সেগুলো ভালোভাবে পড়ে কাজের ধরন বা মূল্যের দিক বিবেচনা করে প্রোপোজাল পাঠাতে পারেন। এক্ষেত্রে “সেন্ড প্রোপোজাল” বাটনে ক্লিক করে আপনার কাজের ধরন, পরিচয়, কাঙ্ক্ষিত মূল্য ইত্যাদি উল্লেখ করে দিবেন।

আপনার প্রোফাইল, পোর্টফোলিও, প্রোপোজাল ইত্যাদি বিবেচনাপূর্বক বায়ার যদি আপনাকে দিয়ে কাজটি করাতে আগ্রহী হয় তবে আপনার সাথে ফোন কিংবা মেসেজে যোগাযোগের চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে আপনার যোগাযোগ দক্ষতাটা অবশ্যই ভালো হওয়া চাই। নতুবা কাজটিতে আপনার পারদর্শীতা থাকলেও সঠিক যোগাযোগ দক্ষতার অভাবে কাজটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও সাবধানী হতে হবে। সবদিক বিবেচনায় বায়ার যদি আশ্বস্ত হয় তবেই কাজটি আপনি পাবেন।

ফাইভার
বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইভার প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১০ সালে। বর্তমানে বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সারদের কাছে মার্কেটপ্লেসটি তুমুল জনপ্রিয়। নানাবিধ সেবা শত ডলারের পাশাপাশি মাত্র পাঁচ ডলারে দিয়েও বায়াররা খুব সহজেই পেয়ে যান বলে ফাইভারের প্রতি বায়াররা অনেক বেশি আস্থাশীল। আর অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের মতো কোনো কাজের জন্য বিড করলে অর্থ পরিশোধের প্রয়োজন নেই বলে ফ্রিল্যান্সারদের কাছেও নির্ভরযোগ্য ফাইভার।

কাজের প্রকারভেদঃ
আপওয়ার্ক এর মতো ফাইভারেও প্রায় সব ধরনের কাজই পাওয়া যায়। এখানেও নানান রকম কাজ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। যেমনঃ

  • গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন
  • ভিডিও এবং এনিমেশন
  • মিউজিক ও অডিও
  • প্রোগ্রামিং এবং টেক
  • বিজনেস
  • লাইফস্টাইল

ফাইভ ডলারে ফ্রিল্যান্সার পাওয়া যাবে এমন ধারণা নিয়ে উৎপত্তি হওয়া ফাইভারে বায়াররা খুব কম মূল্যের বিনিময়ে ছোট-ছোট কাজগুলো করিয়ে নিতেন পারেন বলে ভীড় জমান। তাই কাজের পরিমাণ নিয়ে এখানে সংশয় নেই। দক্ষতা থাকলে আপনিও খুব সহজেই এখান থেকে কাজ পেতে পারেন। এখানে মূলত বায়াররা ফ্রিল্যান্সার খুজে অর্ডার দিয়ে থাকেন কোনো কাজের জন্য।

ফাইভারে কাজ পেতে হলে যা যা করণীয়ঃ
প্রথমেই ফাইভার ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে সাইন আপ করে পূর্বের ন্যায় বিভিন্ন তথ্য যেমন, মোবাইল নম্বর, ইমেইল এড্রেস সহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য প্রদান করে একটি একাউন্ট তৈরী করুন।
এরপর আপওয়ার্ক এ দেখানো পদ্ধতি অনুসারে প্রোফাইল তৈরী করে নিন। এখানেও পূর্বের বর্ণনা অনুযায়ী একদম সঠিক এবং নির্ভূল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করুন। এবং সর্বোপরি প্রোফাইলটিকে সুন্দর, তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করুন। এরপর আপনার পূর্ববর্তী কাজের অভিজ্ঞতা সম্বলিত পোর্টফোলিও টি সংযোজন করে দিন।


প্রোফাইল তৈরী হয়ে গেলে এবার গিগ তৈরীর পালা। মূলত গিগ হচ্ছে আপনি যে সার্ভিস বা প্রজেক্ট বিক্রি করতে চাচ্ছেন সেগুলো কিংবা কোনো কাজের অফার। ফাইভারে বিভিন্ন বায়াররা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তাঁদের পছন্দের গিগগুলো খুজে ক্রয় করে থাকেন। তাই বুঝতেই পারছেন আকর্ষণীয় ভাবে গিগ উপস্থাপন কতটা জরুরি। আপনি যে সার্ভিস বা সেবা দিতে চাচ্ছেন সেই বিষয় সম্পর্কে সুন্দর একটি বর্ণনা প্রদান করে গিগ ডেসক্রিপশন দিন। এবং গিগের টাইটেল এবং থাম্বনেইল সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। প্রয়োজনে আপনি গিগে ভিডিও সংযুক্ত করতে পারেন।

গিগে ভালভাবে সার্চ ট্যাগ গুলো দিন এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদিতে গিগ লিংক পাবলিশ করুন। এতে গিগের প্রতি ইম্প্রেশন বাড়ার দরুন, কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের সার্চে আপনার গিগটি উপরে থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। যার ফলে বায়ার পাওয়াটা তুলনামূলক বেড়ে যাবে। বায়ার রিকোয়েস্ট ফাইভারে কাজ পাওয়ার জন্য আরেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই মার্কেটপ্লেসে মূলত বায়াররা গিগ খুঁজে ফ্রিল্যান্সারদের কাজ অফার করে থাকেন।

বিপরীতে অনেক বায়ার আছেন, যারা এই এত এত গিগ দেখে পছন্দসই গিগটি বাছাই করে কাজ অফার করার মতো সময় কিংবা ধৈর্য্য থাকেনা। তাই এক্ষেত্রে তাঁরা বিভিন্ন জব পোষ্ট দেয় এবং সেখানে বায়ার রিকোয়েস্ট থেকে তাঁদের কাজের জন্য উপযোগী ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে নেয়। তাই আপনার পছন্দসই কোনো কাজ পেলে বায়ার রিকোয়েস্ট সেন্ড করুন। এবং বায়ারদের সাথে মার্জিত এবং দক্ষভাবে যোগাযোগ করুন। আপনার কাজ পারদর্শীতা, মূল্য নির্ধারণ ইত্যাদির ভিত্তিতে খুব সহজেই এখান থেকে কাজ পেয়ে যেতে পারেন।

পরিশেষে আপনার ধৈর্য্য, পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতাই আপওয়ার্ক বা ফাইভারের মতো সেরা মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার কাজ পাওয়ার পথকে সুগম করে দিবে। নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত দক্ষতার পাশাপাশি সময়ানুবর্তিতা, যোগাযোগদক্ষতার সমন্বয়ই আপনাকে একজন পরিপূর্ণ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রতিষ্ঠা করবে। তাই পর্যাপ্ত দক্ষতা ও আপনার কৌশলী পদক্ষেপের মিশেলে আপওয়ার্ক কিংবা ফাইভারে কাজ করে আয় করুন, নিজে স্বাবলম্বী হোন, দেশের উন্নতিতে ভূমিকা রাখুন।

How to Find the Right Client at Upwork

আপওয়ার্ক এ সঠিক ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন কিভাবে

আমরা আপওয়ার্ক এ প্রপোসাল পাঠানোর সময় বা বিড করার সময় ক্লায়েন্ট এর আগের জব হিস্ট্রি বা ক্লায়েন্ট সম্পর্কে কিছু চেক না করেই বিড করে ফেলি, যার জন্য আপওয়ার্ক এ প্রচুর বিড করার পর ও আমরা অনেক সময় কাজ পাই না। আজ আমরা জেনে নিবো আপওয়ার্ক এ প্রপোসাল পাঠানোর আগে এ সঠিক ক্লায়েন্ট চিনবেন কিভাবে?

১. ক্লায়েন্ট এর হায়ার রেট (%):

আপওয়ার্ক এ যেকোনো জব এ ক্লিক করলে হাতের ডান পাশে ক্লায়েন্ট এর প্রিভিয়াস অনেক ইনফরমেশন দেয়া থাকে। দেখে নিন ক্লায়েন্ট এর হায়ার রেট কত পার্সেন্ট। কোনো ক্লায়েন্ট এর হায়ার রেট ৬০% মানে ওই ক্লায়েন্ট ১০০ টি জব পোস্ট করলে ৬০টি জব এ কাউকে না কাউকে হায়ার করে। অনেক ক্লায়েন্ট এর স্বভাব এমন হয়, অনেক জব পোস্ট করে কিন্তু পছন্দের ফ্রিল্যান্সার খুঁজে পায় না, তাই সচরাচর হায়ার করে না। এমন ক্লায়েন্ট এর জব এ বিড করলে আপনি যত ভালো কভার লেটার লিখেন না কেন হায়ার করার চান্স কম থাকবে। তাহলে কেনই বা আপনি আপনার পেইড কানেক্ট নষ্ট করবেন বিড করে। তাই বিড করার আগে দেখে নিন ক্লায়েন্ট এর হায়ার রেট ৭০% এর উপর আছে কিনা।

২. ক্লায়েন্ট এর অ্যাভারেজ আওয়ারলি রেট:

এটি হলো ক্লায়েন্ট প্রিভিয়াস ফ্রিল্যান্সারদের হায়ার করার সময় অ্যাভারেজ কত ডলার আওয়ারলি রেট এ হায়ার করে। আমাদের প্রোফাইল এ আমাদের যোগ্যতা ও এক্সপেরিয়েন্স অনুযায়ী আওয়ারলি রেট দিয়ে থাকি। ধরা যাক আমার প্রোফাইল এর আওয়ারলি রেট ১৫/hr (ঘন্টায় ১৫ ডলার), এখন একটা আওয়ারলি বেসিস কাজে বিড করার সময় আমরা ক্লায়েন্ট এর অ্যাভারেজ আওয়ারলি রেট চেক না করেই আমাদের প্রোফাইল এ দেয়া রেট এ বিড করি। ধরা যাক ক্লায়েন্ট এর অ্যাভারেজ আওয়ারলি রেট হলো ৭ ডলার, অর্থাৎ আগের ফ্রীলান্সারদের তিনি এই রেট এই হায়ার করেছেন। তো আপনি সেটা না দেখে আপনার প্রোফাইল এ দেয়া ১৫ ডলার / hr এ বিড করলে অবশ্যই আপনার কাজটি পাওয়ার চান্স কম থাকবে। তাই বিড করার আগে ক্লায়েন্ট এর অ্যাভারেজ আওয়ারলি রেট দেখে তার কাছাকাছি এমাউন্ট এ বিড করুন।

৩. ক্লায়েন্ট এর প্রিভিয়াস অ্যাভারেজ রেটিং:

বিড করার আগে এ দেখে নিন ক্লায়েন্ট এর আগে কতজন ফ্রিল্যান্সারকে হায়ার করেছেন ও তার অ্যাভারেজ রেটিং কত? জব পোস্ট এর ডানেই এটি দেখতে পারবেন। চেষ্টা করবেন যেসব ক্লায়েন্ট এর অ্যাভারেজ রেটিং ৫ এ ৪.৮ বা তার উপরে তাদের কাজে বিড করতে।

৪. ক্লায়েন্ট এর টোটাল স্পেন্ডিং ও পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা দেখে নিন:

অনেক ফেইক ক্লায়েন্ট থাকে যারা নতুন একাউন্ট খুলে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে পেমেন্ট না করেই চলে যায়, তাদের পেমেন্ট মেথড সাধারণত ভেরিফাইড হয় না। তবে আন-ভেরিফাইড ক্লায়েন্ট মানে-ই যে খারাপ তা নয়, নতুন ক্লায়েন্টদেরও পেমেন্ট মেথড আন-ভেরিফাইড থাকতে পারে। সুতরাং বিড করার আগে দেখে নিন ক্লায়েন্ট এর যথেষ্ট স্পেন্ডিং আছে কিনা (মানে টোটাল কত ডলার স্পেন্ড করেছে ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে) ও পেমেন্ট মেথড ভেরিফাইড কিনা।

৫. ক্লায়েন্ট এর প্রিভিয়াস জব হিস্ট্রি ও রিভিউ দেখে নিন:

সাধারণত ফ্রিল্যান্সাররা খুব খারাপ পরিস্থিতির শিকার না হলে ক্লায়েন্ট কে খারাপ রিভিউ দেয়না। চলে যান জব পোস্ট এর একদম নিচে। দেখতে পাবেন ক্লায়েন্ট এর আগের জব হিস্ট্রি। প্রতিটি জব এর ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সার রিভিউ দুটোই দেখে নিন। ফ্রিল্যান্সার ক্লায়েন্ট সম্পর্কে কি বলছে তা দেখে আইডিয়া করতে পারবেন ক্লায়েন্ট এর স্বভাব সম্পর্কে। আবার ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারদের ভালো রেটিং ও রিভিউ দিয়েছে কিনা তাও দেখে নিন। কারণ অনেক ক্লায়েন্টকে সহজে সন্তুষ্ট করা যায় না এবং ম্যাক্সিমাম ফ্রিলান্সারকেই খারাপ রেটিং দিয়ে থাকে। আপনি নিশ্চই চান না এমন ক্লায়েন্ট এর হাতে পড়তে?

৬. আপওয়ার্ক এ বিড করার আগে দেখে নিন ক্লায়েন্ট এর লোকেশন:

পৃথিবীর সব দেশেই ভালো খারাপ ক্লায়েন্ট আছে। "নিজে ভালো তো সব ক্লায়েন্ট ভালো" - কথাটি প্রচলিত থাকলেও আমার প্রায় এক যুগ এর ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেল এর অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ইউরোপ, আমিরিকা ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের ক্লায়েন্টরা ভালো। আফ্রিকা ও এশিয়া কন্টিনেন্ট এর ক্লায়েন্টদের কাজ শুরুর দিকে না নেয়াই ভালো। আমি আসলে তাদের ছোট করছি না। তবে তাদের মধ্যে বাজেট যাচাই, খুঁতখুঁতে ভাব, সহজেই রেগে যাওয়া, বার বার রিভিশন ও ক্যানসেল এর প্রবণতা রয়েছে। আর লেডি ক্লায়েন্ট নিয়ে আমার মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

৭. ক্লায়েন্ট এর মেনশন করে দেয়া স্কিল এন্ড এক্সপার্টাইস দেখে নিন (প্রপোসাল বেস্ট ম্যাচ):

আপওয়ার্ক এর জব ডেসক্রিপশন এর একটু নিচেই পাবেন ক্লায়েন্ট কি কি স্কিল চাচ্ছে। দেখে নিন আপনার প্রোফাইল এ এই স্কিলসেট গুলো অ্যাড করা আছে কিনা। তাহলে অনেকের মাঝে বা অনেকের পরে বিড করেও আপনি চলে আসতে পারেন টপ এ (বেস্ট ম্যাচ) সেকশন এ। সাধারণত অনেক প্রপোসাল এর মাঝে আপওয়ার্ক ১-২ জনকে বেস্ট ম্যাচ দেখিয়ে সবার উপরে নিয়ে আসে। তবে বেস্ট ম্যাচ আপনার টোটাল ইনকাম, জব সাকসেস স্কোর, টপ রেটেড ব্যাজ ও সেই স্কিল এর কয়টি কাজ করেছেন তার উপরও নির্ভর করে।

৮. তুলনামূলক কম কানেক্ট এর জব এ বিড করুন:

নতুন অবস্থায় আপনার কানেক্ট কিন্তু মূল্যবান। আপওয়ার্ক আপনাকে প্রথম মাসে কিছু কানেক্ট ফ্রি দিবে। তার পর কিন্তু আপনাকে কানেক্ট কিনে বিড করতে হবে। আর আপওয়ার্ক এর জব এর বাজেট ও ক্লায়েন্ট এর প্রিভিয়াস রেকর্ড এর উপর ভিত্তি করে ওই জব এ এপলাই করতে কত কানেক্ট খরচ করতে হবে তা আপওয়ার্ক-ই নির্ধারণ করে। নতুন অবস্থায় ৪ বা ৬ কানেক্ট এর বেশি লাগে এমন জব এ এপলাই না করা ভালো।

৯. ২০% জব এ বিড করতে প্রপোজাল বুস্ট ফীচার ব্যবহার করুন:

প্রপোজাল বুস্ট হলো এক্সট্রা কিছু কানেক্ট এর বিনিময়ে আপনি পরে বিড করেও উপরে চলে আসতে পারেন (ধরা যাক আপনার মতো ৫০ জন বিড করলো, আপনাকে টপ এ দেখাচ্ছে) । অর্থাৎ ক্লায়েন্ট আপনাকে একদম টপ এ দেখবে। তবে আপনার প্রপোসাল এর পাশে "বুস্টেড" লিখা দেখাবে। নতুন অবস্থায় এই ফীচার একদম ব্যবহার না করাই ভালো। তাহলে ক্লায়েন্ট ভাবতে পারে আপনার যথেষ্ট কাজ এর অভিজ্ঞতা নেই, প্রোফাইল এ রিভিউ নেই, বুস্ট করে টপ এ এসেছেন। সেক্ষেত্রে হায়ার হওয়ার চান্স আরো কমে যায়।

তবে যাদের যথেষ্ট রিভিউ রয়েছে প্রোফাইল এ তারা ২০% জব এ বুস্ট ফীচার ব্যবহার করতে পারেন। সাধারণত ক্লায়েন্ট এর জব পোস্ট এর ডেসক্রিপশন দেখে বোঝা যায়, ক্লায়েন্ট আর্জেন্টলি হায়ার করতে চাচ্ছে কিনা। আর্জেন্টলি হায়ার করতে চাওয়া ক্লায়েন্ট এর জব এ বুস্ট করে টপ এ থেকে দ্রুত হায়ার হওয়ার একটি সুযোগ থাকে। তবে বেশি কানেক্ট দিয়ে বুস্ট না করে ২-৩ কানেক্ট বাড়িয়ে বুস্ট করা ভালো। বুস্ট আউটডেটেড হয়ে গেলে আপনি বুস্ট এ ব্যবহৃত আপনার কানেক্ট গুলো ফেরৎ পেয়ে যাবেন।

১০. ফিক্সড প্রাইস এর কাজ এ প্রিভিয়াস ফ্রিল্যান্সারদের বিড রেঞ্জ দেখুন ও ক্লায়েন্ট এর এস্টিমেটেড বাজেট এর কাছাকাছি বাজেট এ বিড করুন:

আপওয়ার্ক এ মেম্বারশিপ প্লাস নেয়া থাকলে আপনি প্রতিটি জব এ বিড করার সময় ম্যাক্সিমাম ও মিনিমাম বিড রেট দেখতে পাবেন। অর্থাৎ আপনার আগে যারা ওই জব এ বিড করেছে তাদের ম্যাক্সিমাম ও মিনিমাম বিড রেঞ্জ দেখতে পাবেন। আইডিয়া পাওয়ার পর আপনি দেখুন ক্লায়েন্ট এর বাজেট কত? ফিক্সড প্রাইস এর কাজে ক্লায়েন্ট এর এস্টিমেটেড বাজেট দেখতে পাবেন।

যদি ক্লায়েন্ট এর বাজেট ২০০ ডলার হয়, আপনি ওই কাজ ৫০০-৬০০ ডলার এ বিড করলে ইন্টারভিউ বা ইনবক্স এ knock পাওয়ার চান্স থাকবে না বললেই চলে। ধরা যাক আপনার বাজেট মন মতো হলো না, তারপর ও বিড করার সময় ক্লায়েন্ট এর এস্টিমেটেড বাজেট এর কাছাকাছি এমাউন্ট এ বিড করুন। তারপর ক্লায়েন্ট ইনবক্স এ আসলে আপনি ভিডিও কল এ নিয়ে আসুন, আপনি সুন্দর ভাবে ভিডিও কল এ যদি ক্লায়েন্ট এর সাথে কম্যুনিকেট করতে পারেন, আপনি কি কি ফীচার দিবেন বুঝিয়ে বলতে পারেন, আপনার আগের কাজের স্যাম্পল দেখতে পারেন, ক্লায়েন্ট এর বাজেট এমনিতেই বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

১১. জব পোস্ট হওয়ার সাথে সাথে বিড করুন ও বেস্ট ম্যাচ সেকশন থেকে জব ফাইন্ড করার চেষ্টা করুন:

সাধারণত একটা জব পোস্ট করার পর ১৫-২০ মিনিট ক্লায়েন্ট অনলাইন এ থাকে। যদি এই সময়ের মধ্যে বিড করে ফেলা যায় তাহলে কম্পিটিশন কম থাকে, ক্লায়েন্ট এর নজরে পড়ার চান্স ও বেশি থাকে এবং সর্বোপরি হায়ার হওয়ার চান্স বেড়ে যায়। বিশেষ করে নতুন ক্লায়েন্টদের ক্ষেত্রে এই ট্রিকসটি চমৎকার কাজে দেয়। ২০-৫০ জন এপলাই করে ফেলার পর বিড করলে কাজ পাওয়ার সুযোগ যথেষ্ট কমে যায়। কারণ ততক্ষনে অনেক এক্সপার্টরা বিড করে ফেলে, ক্লায়েন্ট এর হাতে যথেষ্ট অপসন চলে আসে। সাধারণত ভোরের দিকে US, UK সহ ভালো ক্লায়েন্টদের জব পোস্ট গুলো আসতে থাকে।

আরেকটি ব্যাপার হলো, আমরা সবসময় "ফাইন্ড জব" এ ক্লিক করে আমাদের স্কিল লিখে সার্চ করি। যেমন : লোগো ডিজাইন, ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ডিজাইন। এভাবে সবাই বিড করে। তাই কমন কিছু জব এ প্রচুর প্রপোসাল জমা পড়ে। আসুন অন্যভাবে ভাবি। "ফাইন্ড জব" এ ক্লিক করে "বেস্ট ম্যাচ" সেকশন এ চলে যান। এখানে সেই জব গুলোই থাকে যা আপনার আপওয়ার্ক প্রোফাইল এর স্কিল এ দেয়া স্কিলসেট গুলোর সাথে ম্যাচ করে। সুতরাং "বেস্ট ম্যাচ" সেকশন এর কাজ গুলোর ৭০% ই আপনি পারেন। কিন্তু দেখবেন এই জব গুলোতে প্রপোসাল অনেক কম জমা পড়েছে কারণ ক্লায়েন্ট এর জব টাইটেল, ডেসক্রিপশন-এ "লোগো ডিজাইন, ল্যান্ডিং পেজ ডিজাইন" এই কমন ওয়ার্ড গুলো নেই। বিড করে ফেলুন এই কাজগুলোতে। প্রপোসাল কম জমা পড়ায় আপনার হায়ার হওয়ার চান্স বেড়ে যাবে।

১২. ফিক্সড বাজেট এর কাজ গুলো মাইলস্টোন এ ভাগ করে নিন:

ফিক্সড জব এ বিড করার সময় ২ টি অপশন পাবেন। By মাইলস্টোন ও By প্রজেক্ট। By প্রজেক্ট মানে হলো পুরো কাজের বাজেট যদি ২০০ ডলার হয় পুরোটা একটি মাইলস্টোন এ নেয়া। মানে কাজ শেষ হলে পুরো প্রজেক্ট এর টাকা একবারে পাবেন। আর By মাইলস্টোন মানে হলো ২-৩ ভাগ এ আপনি পুরো প্রজেক্ট এর বাজেট কে ভাগ করে নিলেন।

বিড করার সময় প্রজেক্ট কে ২টি মাইলস্টোন এ ভাগ করে নেয়া ভালো। অনেক সময় ক্লায়েন্ট এর পুরো প্রজেক্ট-এ অনেক গুলো ছোট ছোট কাজ থাকতে পারে। অনেক সময় এমন হতে পারে আপনি সব গুলো কাজ প্রপারলি করতে পারছেন না, বা ক্লায়েন্ট আপনার কাজ এর কিছু অংশ পছন্দ করলো আর কিছু করলো না। তখন আপনি একটি মাইলস্টোন এর টাকা নিয়ে প্রজেক্ট টি এন্ড করে দিতে পারলেন। যদি কাজ টি By প্রজেক্ট নেয়া হতো তাহলে পুরো জবটি ক্যানসেল হতো।

১৩. ফেইক ক্লায়েন্ট থেকে দূরে থাকুন। ফেইক ক্লায়েন্ট চিনবেন কিভাবে?

অনেক জব পোস্ট এ দেখা যায় ক্লায়েন্ট টেলিগ্রাম বা হোয়াটসএপ বা অন্য কোনো সোশ্যাল চ্যানেল এ যোগাযোগ করতে বলছে। দূরে থাকুন এই সব ক্লায়েন্ট থেকে।

 জব এর মার্কেট ভ্যালু থেকে বাজেট অনেক বেশি। আপনি জানেন একটা সিম্পল ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে ৫০০-৮০০ ডলার যথেষ্ট। এমন একটি জব এ দেখলেন ক্লায়েন্ট এর এস্টিমেটেড বাজেট ২০০০-৩০০০ ডলার। দূরে থাকুন এই ক্লায়েন্টদের থেকে।
অনেক সময় জব ডেসক্রিপশন এ আপনাকে বলা হচ্ছে কোনো অপরিচিত লিংক এ ক্লিক করতে। বার বার বলা হচ্ছে লিংক এ ক্লিক করে ডাউনলোড করতে, ধরে নিন ইনি কোনো মালিসিয়াস লিংক দিয়ে আপনার ব্রাউসার এ কুকি হাইজ্যাক বা কম্পিউটার এ Ransomware বা ভাইরাস এটাক করে আপনার কম্পিউটার হ্যাক করতে চাচ্ছে। আর লিংক দেখেই বুঝতে পারবেন এটা স্প্যাম লিংক। সাধারন ওয়েবসাইট লিংক বা গুগল ডক্স এর লিংক নয়।

অনেক সময় ক্লায়েন্ট ইনবক্স এ এসে বলে আগে কাজ করে দিতে পারে হায়ার করবে। দূরে থাকুন এই ক্লায়েন্ট দের থেকে। ৮০% ক্ষেত্রেই তারা আপনাকে কাজ করিয়ে চলে যাবে। পেমেন্ট দিবে না।
ইনবক্স এ আপনাকে বলবে বাইরে পেমেন্ট করবে, ধরুন আপনাকে বলবে - আমেরিকার কোনো ব্যাঙ্ক ইনফো দিতে সেখানে চেক দিবে, বা ক্রিপ্টো তো পেমেন্ট করতে চাবে। এদের থেকে দূরে থাকাই ভালো।

১৪. রিভিউ বিক্রেতা ক্লায়েন্ট এর জব এ বিড করে কানেক্ট নষ্ট করবেন না? রিভিউ বিক্রেতা ক্লায়েন্ট চিনবেন কিভাবে?

এখন আপওয়ার্ক এ রিভিউ বিক্রেতাদের দৌরাত্ম অনেক বেড়ে গেছে। এখন তো ফেইসবুক এ বুস্ট করে এই ধরণের সার্ভিস সেল করা হচ্ছে। মনে রাখবেন আজকের একটি ভুল আপনাকে ৫ বছর পর ভুগাতে পারে। ৫ বছর পর ৫০০ রিভিউ সহ আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হলে নিশ্চই আপনার ভালো লাগবে না। তাই কেন এমন রিস্ক নিবেন? আসল কোথায় আসি, আপনি রিভিউ কিনবেন না ভালো কথা। কিন্তু আপনি আপওয়ার্ক এ অনেক জব পোস্ট পাবেন যাদের জব পোস্ট টি করা হয়েছে রিভিউ বিক্রি করার জন্য।

সুতরাং আপনি ওই কাজ এ বিড করলে ও আপনাকে হায়ার করবে না। তাহলে কেন আপনি কানেক্ট নষ্ট করবেন ওই জব এ বিড করে? চিন্তা করছেন কিভাবে বুঝবো? খুব সহজ। আপনি বিড করার আগে এ প্রতিটি ক্লায়েন্ট এর প্রিভিয়াস জব হিস্ট্রি চেক করবেন। যেসব ক্লায়েন্ট প্রোফাইল থেকে রিভিউ বিক্রি হয় তাদের প্রজেক্ট বাজেট ৫-১০ ডলার এর বেশি হয় না। আপনি যখন দেখবেন কোন ক্লায়েন্ট এর প্রিভিয়াস সকল জব ৫-১০ ডলার এর এবং ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারকে সব সময় ৫ ষ্টার দিচ্ছে বুঝে নিবেন উনি রিভিউ বিক্রেতা। বিড করা থেকে বিরত থাকুন।

আশা করি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস এ বিড করার সময় এই স্টেপ গুলো ফলো করলে প্রপোজাল পাঠালে দ্রুত কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। মার্কেটপ্লেস এর ক্লায়েন্ট কে কখনোই বাইরে নেয়ার চিন্তা করবেন না। আর ক্লায়েন্ট এর প্রজেক্ট বাজেট যাই হোক না কেন প্রতিটি ক্লায়েন্ট এর ভ্যালু মার্কেটপ্লেস এ সমান। তাই প্রতিটি ক্লায়েন্ট এর যত্ন নিন।

অ্যানিমেশন কি ধরনের কনটেন্ট

বন্ধুরা, এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করব, “অ্যানিমেশন নিয়ে“.

Animation কি (What is Animation) বা  অ্যানিমেশন বলতে কি বুঝায় এবং এর সাথে জড়িত সম্পূর্ণ বিষয় গুলো বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করতে চলেছি।

আশা করছি আমাদের আজকের আর্টিকেল আপনাদের অবশই ভালো লাগবে এবং কাজে আসবে।
অ্যানিমেশন কি ? (What Is Animation in Bengali)

Animation মানে কি ?
অ্যানিমেশন হল গল্পকারদের এক নতুন উপায়ে গল্প বলার ধরণ।
আর বলা যেতেই পারে যে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে কোন পরিস্থিতি বা ঘটনা বর্ণনা করা যায়।
অন্যভাবে বলতে গেলে বলা যায়, পরপর কতগুলো ছবি যখন চলমান এবং জীবন্ত হয়ে ওঠে তখন তাকে অ্যানিমেশন বলা হয়।
পুরাতন কালে অ্যানিমেশন বলতে আমরা বুঝতাম, স্বচ্ছ সেলুলয়েড শীটে ছবি আঁকা, এবং পরপর সেই ছবিগুলোকে একত্রিত করে তাকে চলমান রুপ প্রদান করা।

তাই, অ্যানিমেশন বলতে সরাসরি চলন্ত ছবি গুলোর (moving images) প্রক্রিয়াকে বা ধরণ কে বলা হয়
শেষে এটাও জেনে রাখা দরকার যে, ল্যাটিন ভাষা থেকে এই অ্যানিমেশন শব্দটির উৎপত্তি।
যেমন: হাতে–কলম পদ্ধতিতে চলমান ছবি, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জিআইএফ ও ডিজিটাল ভিডিও মাধ্যম ব্যবহার করা হয়।
ঠিক তেমনি অ্যানিমেশন প্রদর্শনের জন্য ক্যামেরা, কম্পিউটার বা প্রজেক্টর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সহজ অর্থে একে “চলমান চিত্র” বলা যায়।

তাহলে বন্ধুরা, অ্যানিমেশন মানে কি বা অ্যানিমেশন কাকে বলে বিষয়টা বুঝতেই পেরেছেন হয়তো।
উৎপত্তি:
ল্যাটিন শব্দ anima (আত্মা) থেকে অ্যানিমেশনে শব্দের উৎপত্তি।
Animate শব্দের অর্থ ‘আত্মা দান করা‘, বা ‘প্রাণ দান করা‘।

অর্থাৎ একটি জড় বস্তুর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে স্থির কতগুলি চিত্রকে গতিশীল করে “প্রাণ দেওয়া” হয় বলেই একে অ্যানিমেশন বলা হয়।
অ্যানিমেশনের প্রকারভেদ:

প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে অ্যানিমেশনের বহু অগ্রগতি হয়েছে।
আর ডিজিটাল যুগ অনুসারে অ্যানিমেশনকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়।
 

  • ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন
  •  ২ডি অ্যানিমেশন (ভেক্টর)
  •  ৩ডি অ্যানিমেশন
  •  মোশন গ্রাফিক্স
  •  স্টপ মোশন


ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন:
এটি চলচ্চিত্র অ্যানিমেশনের প্রাচীনতম রূপগুলির মধ্যে একটি।
এই পদ্ধতিকে কখনও কখনও ‘সেল অ্যানিমেশন‘ বলা হয়।
ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশনে, ছবি সেলুলয়েডের স্বচ্ছ কাগজে আঁকা হয়।
অ্যানিমেটেড সিকোয়েন্স তৈরি করতে, অ্যানিমেটরকে (যে অ্যানিমেশন তৈরি করে) অবশ্যই প্রতিটি ফ্রেম আঁকতে হবে।

এটি একটি ফ্লিপবুকের মতো কাজ করে।
ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশন অনেকটাই ২ডি অ্যানিমেশনের মতো।

আলাদিন দ্য লায়ন কিং এবং অন্যান্য অ্যানিমেটেড কার্টুনগুলি এর উদাহরণ।
২ডি অ্যানিমেশন (ভেক্টর):

২ডি অ্যানিমেশন ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশনের অধীনে পড়তে পারে।
যেমন ডিজনি মুভি – পিনোকিও, বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট ইত্যাদি ৷
কিন্তু ভেক্টর অ্যানিমেশন ট্রেডিশনাল অ্যানিমেশনের চেয়ে খানিক আলাদা যা ২ডি অ্যানিমেশনে ধরা পরে না।

জেপিজি, জিআইএফ, বিএমপি–এই ফরম্যাটের ছবিগুলি হল পিক্সেল ছবি, এক্ষেত্রে ছবির মান প্রভাবিত হয়।
এই ছবিগুলিকে বড় করা বা ছোটো করা যায় না ৷
ভেক্টর গ্রাফিক্সের রেজোলিউশন নিয়ে চিন্তা করার দরকার হয় না।
ভেক্টর ছবিগুলি ছোটো ছোটো বিন্দু দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে, গ্রাফিক তৈরি করতে এই বিন্দুগুলিকে সংযুক্ত করে সম্পূর্ণ ছবি তৈরি হয়।

এর মাধ্যমে নিজের ইচ্ছে মত ছবির আকার তৈরি করা যেতে পারে।
৩ডি অ্যানিমেশন:

আজ, ৩ডি বা কম্পিউটার অ্যানিমেশন খুবই সাধারণ বিষয়।
কিন্তু হাতে কলমে ছবি আঁকার পরিবর্তে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রবেশ ঘটেছে, যদিও এটি সহজ নয়।
কম্পিউটারে ছবি আঁকা শুধুমাত্র একটি টুল, এবং ৩ডি অ্যানিমেশন এখনও একটি প্রগতিশীল প্রক্রিয়া।
৩ডি অ্যানিমেটেড মুভিতে, অ্যানিমেটর চরিত্রের শরীরের অংশগুলিকে চারপাশে সরানোর জন্য একটি প্রোগ্রাম লেখে।

সেই চরিত্রের সমস্ত অংশ সঠিক অবস্থানে থাকলে, তারপর ছবিটি নিজের ডিজিটাল ফ্রেম সেট করে।
প্রতিটি ফ্রেমের জন্যই একই নিয়ম মেনে কাজ হয় এবং কম্পিউটার প্রতিটি ফ্রেমের মোশন গননা করে।
মোশন গ্রাফিক্স:

মোশন গ্রাফিক্স হল ডিজিটাল গ্রাফিক্সের একটি অংশ যা সাধারণত বিজ্ঞাপন, চলচ্চিত্রের শিরোনাম সিকোয়েন্সের জন্য ব্যবহার করা হয়, কিন্তু সবশেষে দর্শকের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্যই মোশন গ্রাফিক্স ব্য়বহৃত হয়।
অ্যানিমেশনের এই সমস্ত কিছুই মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে জড়িত।

মোশন গ্রাফিক্স সাধারণত ব্যবসা–ভিত্তিক অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
স্টপ মোশন:

স্টপ মোশনে ক্লেমেশন, পিক্সেলেশন, অবজেক্ট–মোশন, কাটআউট অ্যানিমেশন এবং আরও অনেক কিছু রয়েছে।
কিন্তু এর প্রধান ধারণা একটি ফ্লিপবুকেরই মতো।
আঁকার পরিবর্তে, স্টপ মোশন প্রতিটি ফ্রেমে আলাদা আলাদা চিত্র সংগ্রহ করে একত্রিত করে।

স্টপ মোশন অবশ্যই অ্যানিমেটেড গল্প বলার একটি পুরানো রূপ, বিশেষ করে ৩ডি কম্পিউটার অ্যানিমেশনের তুলনায়।

কিন্তু ছবি অ্যানিমেট করার এই পদ্ধতিটি ডিজনি বা পিক্সারের আগে থেকেই শুরু হয়েছে।
ব্যবসার জন্য অ্যানিমেশন:
সিনেমা এবং টিভির বাইরে, অ্যানিমেশন ডিজিটাল স্পেসে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়।
বিশেষ করে, অ্যানিমেশন ওয়েব/অ্যাপ ডিজাইন এবং ডিজিটাল বিজ্ঞাপণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যা ব্যবসার ক্ষেত্রে দারুণ সুবিধা তৈরি করে দিয়েছে।
ব্যবসার জন্য অ্যানিমেশন ব্যবহার করার অনেক উপায় আছে, যেগুলো হল –

১। কোনও কম্পানির প্রোমোশন ভিডিও তৈরি করতে গেলে অ্যানিমেশন দরকার হয়। কারণ, অ্যানিমেশন ভিডিওর ক্ষেত্রে কোন অভিনেতা দরকার হয় না। অনেক কম খরচে ভিডিও বানানো যায়।

২। কোনও ওয়েবসাইটের লোডিং পেজ তৈরি করতে অ্যানিমেশনের দরকার হয়। এছাড়া যখন কোনও ভিসিটর ওয়েবসাইটে আসে তখন অ্যানিমেশনের সাহায্যে ভিসিটরকে ওয়েবসাইটে অনেকক্ষণ আটকে রাখা যায় ।

৩। বিজ্ঞাপনে অ্যানিমেশন আকর্ষণের এক প্রধান কারণ। বিশেষ করে ব্যানার বিজ্ঞাপন। সঠিক অ্যানিমেশনের সাথে আপনি শ্রোতাদের সাথে নিজের সংযোগ বৃদ্ধি করতে পারবেন।
অ্যানিমেশনের ইতিহাস:

১৯২০ সাল থেকেই  ইউরোপে কয়েকটি অ্যানিমেশন স্টুডিও তৈরি হয়েছিল।
এই স্টুডিওগুলো নিজের ছবির প্রতি দর্শক আকৃষ্ট করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করত।
সেই সময়ে স্টুডিওতে যারা কার্টুন তৈরি করতো তাদের আঁকা ছবি দেখানো হতো।
স্টুডিওগুলি জনপ্রিয়তা ধরে রাখার জন্য যে কার্টুনগুলো আগে থেকেই জনপ্রিয় ছিল সেই কার্টুন গুলোই দর্শকদের দেখতে শুরু করে ।

টয় স্টোরি হল এমন একটি  অ্যানিমেটেড সিনেমা যা পুরোপুরি কম্পিউটারের সাহায্যে তৈরি করা।
এই ছবিটি প্রথম অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র হিসেবে প্রকাশ পায়। এ ছবির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় পিক্সার অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের।
টয় স্টোরি-রও আগে ১৯৩৭ সালে ওয়াল্ট ডিজনির প্রথম অ্যানিমেটেড ফিল্ম ‘স্নো হয়াইট এন্ড দ্যা সেভেন দ্বার্ফস‘ মুক্তি পায়। চলচ্চিত্র দুনিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসে এই সিনেমাটি।

প্রথম ফ্লিপ বুক অ্যানিমেশন প্রকাশ করেন জন বার্নস লিনেট। ১৮৬৮ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অ্যানিমেশন দুনিয়ার বড় পরিবর্তন নিয়ে আসেন। ১৮৯৪ সালে হারমান কেসলার ফ্লিপ বুকের ভিন্ন রূপ দেন। তার নাম দেন মুটোস্কোপ।
১৮৯৭ সালে হেনরি উইলিয়াম শর্ট ফিলোস্কোপ নামে এক ধরনের ফ্লিপ বুক বাজারে প্রকাশ করেন। এতে ফ্লিপ বুকটা একটা হোল্ডারের মধ্যে থাকতো। ফলে পাতা উল্টে ছবি দেখতে ক্রেতাদের সুবিধা হত।

সর্বশেষ ১৮৯৫ সালের দিকে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় সিনেমাটোগ্রাফ আবিষ্কার করেন।
পৃথিবীতে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়, নাম সিনেমা যুগ।
বেশ কিছুদিনের মধ্যে সিনেমাতেও বিভিন্ন অ্যানিমেটেড এফেক্ট যুক্ত হতে থাকে
প্রথম অ্যানিমেটেড এফেক্ট ব্যবহৃত হয় ‘এনচ্যান্টেড ড্রয়িং‘ সিনেমাতে।
অ্যানিমেশন শেখার জন্য কি গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন ?

অ্যানিমেশন শেখার জন্য কোনও গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার প্রয়োজন নেই।
কারণ যখন আপনি কোথাও অ্যানিমেশন শিখতে যাবেন তখন যতটুক গ্রাফিক্স ডিজাইন দরকার সেটুকু আপনাকে শিখিয়ে দেওয়া হবে।

যেমন– এডোবি ফটোশপ-এর কিছু টুল জানতে হয়।
আর অ্যানিমেশন শেখার জন্য গ্রাফিক্স জানতেই হবে তা না হলে যে অ্যানিমেশন শেখা যাবে না এটা একদমই সঠিক কথা নয়।
যদি কেউ গ্রাফিক্স ডিজাইন জানে তবে তার ক্ষেত্রে অ্যানিমেশন শেখা অনেকটাই সোজা ও সুবিধাজনক হয়ে ওঠে।
অ্যানিমেশনের সুবিধা-অসুবিধা:

চলুন, এবার আমরা অ্যানিমেশন এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো নিয়ে আলোচনা করি।
সুবিধা:
পৃথিবীতে অ্যানিমেশনের বাজার অনেক বড় ও প্রগতিশীল, অ্যানিমেশন শিল্পী হিসেবে যে কোনও ভালো অ্যানিমেটার দেশে ও বিদেশে দুই জায়গাতেই কাজের বিভিন্ন সুযোগ পেতে পারে।
অ্যানিমেশন অত্যন্ত লাভজনক ও সৃজনশীল পেশা হিসেবে গণ্য করা হয়।
যদিও অ্যানিমেশন শুধু শিখলেই হয় না, তার বহিঃপ্রকাশের জন্য সৃজনশীল চিন্তার দরকার হয়।
আপনি যে কোনও বয়সে অ্যানিমেশন শিখতে পারেন। বিশেষ করে ১২ ক্লাসের পর বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রীরা অ্যানিমেশন শেখা অনেকে পছন্দ করে থাকেন।
অসুবিধা:

এই পেশায় দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে হয়।
এর ফলে অ্যানিমেটারের শরীরের ওপর চাপ পড়ে এবং সঠিক ব্যবস্থা না নিলে কাজ করার ক্ষমতাও হারাতে পারে।
আমাদের শেষ কথা,

তাহলে বন্ধুরা, অ্যানিমেশন কি (what is animation in Bengali) নিয়ে লিখা আমাদের আর্টিকেল এখানেই শেষ হলো। আশা করছি আজকের আমাদের লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
যদি আর্টিকেলটি সত্যি ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশই সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন।


ডিজিটাল কনটেন্ট কাকে বলে?
ডিজিটাল কনটেন্ট কি | ডিজিটাল কনটেন্ট কত প্রকার
যে কনটেন্ট ডিজিটাল আকারে বিরাজ করে, প্রকাশিত হয় কিংবা প্রেরিত-গৃহীত হয় তাকে ডিজিটাল কনটেন্ট বলে।

ডিজিটাল কনটেন্ট

ডিজিটাল কনটেন্ট কত প্রকার?
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোন তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা উভয়ই ডিজিটাল কনটেন্ট। কাজেই নানাভাবে ডিজিটাল কনটেন্টকে ভাগ করা যায়। তবে ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা যায় যেমনঃ

  • টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট
  • ছবি
  • শব্দ বা অডিও এবং
  • ভিডিও ও এনিমেশন


টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত লিখিত তথ্য বা উপাত্তের পরিমাণই বেশি। সব ধরনের লিখিত তথ্য এই শ্রেণীর কনটেন্ট। এর মধ্য রয়েছে নিবন্ধ, ব্লগ পােস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক,শ্বেতপত্র সংবাদপত্র ইত্যাদি।
ছবি
সব ধরনের ছবি, ক্যামেরায় আলো বা হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে তৈরি সকল ধরনের ছবি এই শ্রেণীর কনটেন্ট। তবে এর মধ্যে রয়েছে ফটো, হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কন করা, কার্টুন, এনিমেটেড ছবি, ইনফো-গ্রাফিক্স ইত্যাদি।শব্দ বা অডিও
শব্দ বা অডিও আকারের সকল কনটেন্ট এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। যেকোন বিষয়ের অডিও ফাইলই অডিও কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট অডিও কনটেন্টের অন্তর্ভুক্ত।

ভিডিও ও এনিমেশন

বর্তমানে মোবাইল ফোনে ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ইউটিউব বা এই ধরনের ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণে ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এছাড়াও বর্তমানে ইন্টারনেটে কোন ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়ে থাকে। এটিকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং। এমন কনটেন্টও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত হয়ে থাকে।
পরিশেষে বলা যায় ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য, ছবি, শব্দ সবই ডিজিটাল কন্টেন্ট।

Read More: ছাত্র জীবনে অভিজ্ঞতা ছাড়াই আয় করার ৫ পদ্ধতি

Read More: কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়

Read More: এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

Read More: ডাটা এন্ট্রি কি

Read More: সেরা ফ্রি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট

Post Tag, আপওয়ার্ক এ অনলাইনে আয় করুন,
কিভাবে upwork এ freelancing শুরু করব,
Upwork কিভাবে কাজ করব 2023 | Upwork এ কাজ করার নিয়ম,
Upwork কিভাবে কাজ করব,
নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য কি,
আপওয়ার্ক ও ফাইভার: কোনটি সেরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস,
Upwork কি? আপওয়ার্কে কিভাবে কাজ করব (বিস্তারিত এখানে),
আপওয়ার্কে কিভাবে কাজ পাওয়া যায়?,
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার ৭ টি টিপস,
Upwork এ কিভাবে কাজ করতে হয়,
আপওয়ার্ক একাউন্ট খোলার নিয়ম,
Upwork থেকে কিভাবে টাকা তুলব,
আপওয়ার্ক এ কাজ পাওয়ার উপায়,
নতুনদের জন্য কাজ Upwork,
আপওয়ার্কে বিড করার জন্য ক্লায়েন্ট এর কোন কোন ইনফরমেশন দেখে বিড করতে হবে,
আপওয়ার্ক কি,
আপওয়ার্ক প্রোফাইল,

Post a Comment

0 Comments